ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়-আইএসপিআর সারাদেশে মবোক্রেসির রাজত্ব হচ্ছে-সালাহউদ্দিন আহমদ পোরশায় ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের উপজেলা কাউন্সিল গঠিত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কথাই বলছেন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ : বিএনপি আবার গোপালগঞ্জ যাবো, জেলার মানুষকে মুজিববাদ থেকে মুক্ত করবো -নাহিদ গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা তদন্তের দাবি আসকের গোপালগঞ্জে নিহত চার জনের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন এসএসসিতে অকৃতকার্যদের মার্চ টু সচিবালয় কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ড্রিমলাইনার রক্ষণাবেক্ষণে বাড়তি নজর দিচ্ছে বাংলাদেশ বিমান উদীচী সভাপতি বদিউর রহমান না ফেরার দেশে দুদকের মামলায় সম্রাটের বিচার শুরু, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ২১ আগস্টের মামলায় তারেক ও বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ২৪ জুলাই সমাগমে দুর্ভোগের আশঙ্কায় আগাম দুঃখ প্রকাশ জামায়াতের ভেঙে ফেলা বাড়িটি সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটা নয়-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ পূর্বপরিকল্পিত রাবিতে তিন কর্মকর্তাকে পুলিশে দিলো সাবেক শিক্ষার্থীরা কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিট সচল, উৎপাদন বেড়ে ২১৮ মেগাওয়াট নোয়াখালীতে বাসে যাত্রীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল গ্রেফতার ২

শৈশবের ক্লাবে ফিরে গেলেন ডি মারিয়া

  • আপলোড সময় : ৩১-০৫-২০২৫ ০৬:৪৩:২২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩১-০৫-২০২৫ ০৬:৪৩:২২ অপরাহ্ন
শৈশবের ক্লাবে ফিরে গেলেন ডি মারিয়া
সময়টা ২০০৭ সাল। এক তরুণ রাইটব্যাক উইঙ্গার আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরের আলো-আঁধারিতে ফুটবল খেলে বেড়াতেন। তখনকার সেই ছেলেটিই আজ বিশ্বের অন্যতম নামী ফুটবল তারকা। আর ১৮ বছরের ইউরোপভিত্তিক ঝলমলে অধ্যায় শেষে তিনি ফিরেছেন ঠিক সেই পুরোনো ঠিকানায়-রোজারিও সেন্ট্রাল। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে নিয়ে। ৩৭ বছর বয়সে, ক্যারিয়ারের শেষভাগে এসেও তার ভেতরের ছেলেটি হারিয়ে যায়নি। বরং অনেক দূর থেকে ফিরে এসে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমাদের গল্প এখনও শেষ হয়নি।’ ডি মারিয়ার এই ফিরে আসাটা শুধুই এক ক্লাব বদলের গল্প নয়। এটা তার শিকড়ে ফেরার, নিজের শৈশবকে আবার ছুঁয়ে দেখার প্রয়াস। রোজারিও সেন্ট্রালের যুব দলে পা রাখা সেই কিশোর আজ বিশ্বজয় করে ফিরেছেন একই মাঠে, যেখানে একদিন স্বপ্ন বুনেছিলেন। তার ফিরে আসার ঘোষণায় রোজারিওর আকাশে যেন উৎসবের আলো। সমর্থকরা অপেক্ষায়-আবারও মাঠে দেখবেন তাদের ‘হারানো রত্ন’কে। ২০০৭ সালে ডি মারিয়া ইউরোপে পা রাখেন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকাতে। সেখান থেকেই শুরু তার নতুন জীবন। এরপর রিয়াল মাদ্রিদে পাঁচ মৌসুম; যেখানে তিনি জিতেছেন লা লিগা, কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো শিরোপা। এরপর একের পর এক গন্তব্য- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি, জুভেন্টাস। সব জায়গায় রেখে গেছেন নিজের স্বাক্ষর। সবশেষ মৌসুমেও তিনি খেলেছেন বেনফিকায়। এবং এখানেই এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী মাসে ক্লাব বিশ্বকাপে বেনফিকার জার্সিতেই মাঠে নামবেন তিনি। এরপরই একেবারে নিজের দেশে ফিরে আসবেন চূড়ান্তভাবে। ডি মারিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও বার্তাটি যেন তার ফিরে আসার সবচেয়ে সুন্দর ভাষ্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের গল্প এখনও লেখার অনেক পৃষ্ঠা বাকি। এটা কোনো বিদায় নয়, এটা হলো নতুন করে শুরু।’ এই কয়েকটি বাক্যেই যেন ফুটে উঠেছে তার আবেগ, ভালোবাসা আর রক্তে মিশে থাকা রোজারিও। ডি মারিয়ার ফেরা কেবল একটি ক্লাব পরিবর্তনের ঘটনা নয়, বরং এটি ফুটবলপ্রেমী আর্জেন্টিনার এক আবেগঘন মুহূর্ত। বিশ্বজয়ী একজন সৈনিক নিজের শেকড়ে ফিরেছেন, হাতে করে নিয়ে এসেছেন বিশ্বমঞ্চের অভিজ্ঞতা, সাফল্য আর ভালোবাসা। রোজারিও সেন্ট্রালের সমর্থকেরা জানেন, তাদের মাঠে যে আবার খেলতে নামবে, সে একজন কিংবদন্তি-তাদেরই ঘরের ছেলে। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ক্লাববদল যেন শুধুই একটি চুক্তি নয়, বরং নিজের অতীতকে আবার ছুঁয়ে দেখার এক স্মৃতির খোঁজ। যেখানে শেষ হতে যাচ্ছে এক জৌলুমপূর্ণ অধ্যায়, সেখানে শুরু হচ্ছে এক নতুন আবেগের অধ্যায়, ফুটবল যখন হৃদয়ের গল্প।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ