ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন মৎস্য ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ সিলেটে পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে ১৫০০-২০০০ ব্যক্তি বাংলাভাষী লোকজনকে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করতে দেব না- মমতা রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই-জোনায়েদ সাকি ইসির রোডম্যাপে খুশি বিএনপি-মির্জা ফখরুল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেসির জোড়া গোলে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে বিদায় নিলো ম্যানইউ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন হামজা ‘মুসলিম হওয়ার কারণে অনেকে আমাকে টার্গেট করেন’ ভারতের ২৬ বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ দেখছেন না শ্রীকান্ত নতুন ক্যাটাগোরিতে বেতন কত কমল বাবর-রিজওয়ানের? বড় ব্যবধানে হারলো সাকিবের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স বাংলাদেশকে হারানো সহজ হবে না: স্কট এডওয়ার্ডস রাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩য় বারের মতো পুনর্বিন্যস্ত পিছিয়েছে ভোট জকসু নির্বাচনে বয়সসীমা থাকছে না
* হামলায় একদিনে নিহত আরো ৮৫ * ৯০ ট্রাক ঢুকলেও যথেষ্ট নয় ২১ লাখ মানুষের জন্য * ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বহু মানুষ

গাজায় ক্ষুধা-অনাহারে ২৯ জনের মৃত্যু

  • আপলোড সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ১২:০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ১২:০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
গাজায় ক্ষুধা-অনাহারে ২৯ জনের মৃত্যু
ইসরায়েলি আগ্রাসনে রক্তাক্ত গাজায় খাবারের জন্য হাহাকার করছেন ফিলিস্তিনিরা। এরই মধ্যে ক্ষুধা ও অনাহারে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৯ জন। এদিকে নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলায় উপত্যকায় একদিনে নিহত হয়েছেন ৮৫ জন। উপত্যকাটিতে মানবিক সহায়তা পৌঁছালেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ৯০টি ট্রাকে খাদ্য, ওষুধ ও পুষ্টি উপকরণ গাজায় ঢুকেছে। এটা ২১ লাখ মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়। রেড ক্রিসেন্ট বলছে, জ্বালানির অভাবে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলও সংকট দেখা দিয়েছে।
গাজায় প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ৮৫ জন নিহত হন। শহর ও শরণার্থী শিবিরগুলোতে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে বহু মানুষ। এর মধ্যে খাদ্য, ওষুধ আর নিরাপত্তার অভাবে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও বয়স্করা। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত কয়েকদিনে গাজা উপত্যকায় ক্ষুধা ও অনাহারের কারণে কমপক্ষে ২৯ জন মারা গেছে। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্ক মানুষ রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন, বিধ্বস্ত ছিটমহলে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছালে আরও হাজার হাজার মানুষ মারা যেতে পারে। এদিনই দক্ষিণ লেবাননের অন্তত পাঁচটি এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বলছে, এসব হামলা ছিল সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। এতে সীমান্ত থেকে অনেক দূরের এক শহরে একটি বহুতল ভবন ধ্বংস হয়েছে। আগুন আর ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে আবাসিক এলাকা। বৈরুত বলছে, এসব হামলা যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন। তবে ইসরায়েল জানায়, তারা হিজবুল্লাহকে নিরস্ত করতে এ হামলা চালিয়েছে। এদিকে ইসরাইলে ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া হয় ক্ষেপণাস্ত্র। এতে বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির চারপাশে সাইরেন বেজে উঠলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে জনসাধারণের মধ্যে। পরে ইসরায়েল জানায়, তারা ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। হামলার দায় স্বীকার না করলেও এটিকে হাউথিদের অভিযান বলেই মনে করছে তেল আবিব। 
এর মাঝেই ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস। একইসঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গত কিছুদিনে গাজায় যা ঘটছে তা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। ইসরায়েলকে অবিলম্বে এসব অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং জাতিসংঘসহ অন্যান্য মানবিক সংস্থাকে সহায়তা দিতে হবে, যাতে দ্রুত খাদ্য, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী গাজার মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। তিনি স্বীকার করেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের বিষয়ে নীরব থাকার অভিযোগে সরকার ব্যাপক জনসমালোচনার মুখে পড়েছে, এমনকি বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকেও সমালোচনা হচ্ছে। এর জবাবে মিতসোতাকিস বলেন, আমরা নীরব নই। গ্রিস ও ইসরায়েলের কৌশলগত মিত্রতা থাকলেও আমাদের অবশ্যই মিত্রদের কাছে কঠিন সত্যগুলো বলতে হবে। বক্তব্যে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী ইইউয়ের ‘রিআর্ম ইউরোপ’ কর্মসূচিতে তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেন। গ্রীক ও গ্রীক-সাইপ্রাস প্রশাসন এই উদ্যোগে আপত্তি জানালেও ইউরোপীয় কমিশনের আলোচনায় তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই বিষয়ে মিতসোতাকিস বলেন, এই মুহূর্তে ব্রাসেলসে কী আলোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে অনেক ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। কোনো তৃতীয় দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে গেলে বিশেষ করে প্রার্থী দেশের ক্ষেত্রে সকল ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতি প্রয়োজন, আর গ্রিস ও সাইপ্রাসের ‘যুক্তিসংগত উদ্বেগ’ অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। মিতসোতাকিস জানান, গ্রিস সরকার তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে। তিনি বলেন, আমরা একদিকে গ্রিসের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছি, অন্যদিকে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছি। এই সম্পর্ক ইতোমধ্যে অভিবাসন, পর্যটন ও অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল দিচ্ছে। তিনি আরও জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে শিগগিরই দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পরিষদের আওতায় বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে, যদিও এখনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স