ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি

আমতলীতে তিনদিনের বৃষ্টিতে দেশীয় প্রজাতির কৈ মাছ ধরার হিড়িক

  • আপলোড সময় : ২৩-০৫-২০২৫ ০৯:৪০:১৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০৫-২০২৫ ০৯:৪০:১৪ অপরাহ্ন
আমতলীতে তিনদিনের বৃষ্টিতে দেশীয় প্রজাতির কৈ মাছ ধরার হিড়িক
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলীতে টানা তিন দিনের বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের শব্দে সারিবদ্ধ হয়ে অলৌকিকভাবে যেন কান বেয়ে হেটে উঠছে কৈ মাছের দানা। এতে শত শত মানুষ আগ্রহী হয়ে অগণিত মানুষ কৈ মাছ শিকার করছেন। মেঘে ডাকার সাথে সাথেই যেন পরে যায় মাছ শিকাড়ের হিড়িক।কৈ মাছের স্বাদ একটু ভিন্ন ধরনেরই।শুধু কৈ মাছই নয়,টেংরা, গুলশা,ভেদি,বাম,পাবদা,পুঁটি,বায়লাসহ আরো নানা প্রজাতির মাছ আছে যেগুলোর চেয়ে কৈ মাছগুলোই কান বেয়ে বেয়ে  পানি থেকে শুকনো জায়গায়  উঠতে থাকে তখন এ দৃশ্য দেখে কারইনা মাছ ধরার আগ্রহ জাগে। আমতলী উপজেলা গুলিশাখালি, কুকুয়া, চাওড়া, হলদিয়া, আঠারোগাছিয়া, আমতলী ও আরপাংগাশিয়া জুরে সকল জায়গাতেই গত তিনদিন ধরে হালকা, মাঝারী ও ঘন বৃষ্টিতে বজ্রপাতের শব্দে কৈ মাছ গুলো যেন পানির ভেতর থেকে কান বেয়ে হেটে উঠছে গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে অন্যতম একটি নাম কৈ মাছ। আজকাল প্রায়ই কৈ মাছ বাজারেও পাওয়া যায় তবে সেগুলো  চাষের কৈ মাছ। গত বুধবার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া, হলদিয়া, আঠারোগাছিয়া, চাওরা, আমতলী ও আরপাংগাশিয়া ইউনিয়নের সকল জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে, টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে মাঠ ঘাট ও  জলাশয়ে পানি বৃদ্ধি হয়ে জনজীবনে যেমন নেমে আসে ভোগান্তির ছায়া তেমনি পাশাপাশি পড়ে যাচ্ছে মাছ শিকারের মহাউৎসব। গ্রাম অঞ্চলের অনেকেই লক্ষ্য করে থাকেন, পুকুর বা জলাশয়ের আশপাশে হঠাৎ করেই কিছু মাছ বিশেষ করে কই মাছ মাটির উপর উঠে এসে লাফালাফি করতে থাকে। এমন দৃশ্য গ্রামে বিশেষভাবে দেখা যায় বর্ষাকালে, বাংলা দিনপঞ্জিকায় যখন আশার বা শ্রাবণের সময় চলছে। যাদের বাড়ি খাল-বিল বা পুকুরঘেঁষে, তারা এ দৃশ্যের সঙ্গে পরিচিত। এই ঘটনাকে গ্রামের মানুষজন চেনেন “মাছ উজানি” নামে। “উজান” শব্দটি সাধারণত স্রোতের বিপরীত দিকে যাওয়াকে বোঝায়। কিন্তু এই অদ্ভুত দৃশ্যের প্রকৃত কারণ কী? বিজ্ঞান তা ব্যাখ্যা করেছে “ট্যাক্সিস” নামক একটি জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
ট্যাক্সিস হলো জীবের বাহ্যিক কোনো উদ্দীপনার প্রতি প্রতিক্রিয়ায় নির্দিষ্ট দিক অভিমুখে চলাচল। উদাহরণ স্বরূপ, তাপ, আলো, শব্দ, চাপ, পানি বা স্রোতের মতো উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে কোনো প্রাণীর যে দিকনির্দেশিত চলাচল, তাকেই ট্যাক্সিস বলা হয়। কই মাছের এই আচরণকে বিশেষভাবে ব্যাখ্যা করা হয় “রিও-ট্যাক্সিস” হিসেবে। অর্থাৎ, স্রোতের দিকে মাছের সাড়া দিয়ে চলা। বর্ষার শুরুতে বা বজ্রপাতের সময় হঠাৎ করে পুকুর, খাল বা বিলের পানি বাড়ে। সেই বাড়তি পানির স্রোতের টানে কই, শিং,মাগুর,গুলশা, ইত্যাদি মাছেরা নিজেদের খাবার ও অক্সিজেনের খোঁজে নতুন পানির উৎসের দিকে রওনা হয়। আমতলীর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কলেজ ছাত্র মো: শাহনুর রহিম রিসাদ মন্টি বলেন,আমি কলেজ থেকে বাড়ি ফিরতেই  পাশে জলাশয়ে শতশত কৈ মাছ  কান বেয়ে শুকনো জায়গাতে আসে এবং মানুষজন মাছ ধরতে শুরু করে। আমি এ দৃশ্য দেখে নিজেও নামি আমি ১শ মত কৈ মাছ পেয়েছি। বর্ষার আগে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না থাকলে জলাশয়ে অক্সিজেন ও খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। ফলে মাছেরা অস্থির হয়ে ওঠে। বৃষ্টির আগাম বার্তা বা প্রথম স্রোতের ছোঁয়া পেলে তারা নতুন পানির সন্ধানে ছুটতে শুরু করে। এই ছুটে চলার মধ্যেই অনেক মাছ মাটি ঘেঁষে চলে আসে এবং সেইসময় মাটির উপর মাছ লাফাতে দেখা যায়। আমতলী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা তন্ময় বলেন, আমতলীতে টানা তিন দিনের বৃষ্টির দেশীয় প্রজাতির মাছে ব্যাপক বৃদ্ধির কারন হচ্ছে,আমরা দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণের জন্য নদী, পুকুর, খাল, বিলসহ সকল স্থানে অভিযান পরিচালনা করার কারনে দেশীয় প্রজাতির মাছ কৈ, টেংরা, গুলশা ভেদি, বাইমপাবদা, পুঁটি,বায়লাসহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বোপরি এ মাছগুলো বৃদ্ধি পাওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে আমাদের মাছ সংরক্ষণ অভিযান টিমের সক্রিয়তা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য