ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি পেলো আরও ৫২ প্রতিষ্ঠান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা আম উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে : কৃষি সচিব বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা গ্রেফতার সিরাজগঞ্জে ১৬ টন সরকারি চাল জব্দ আটক ৮ ঝিনাইদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক যশোরের শার্শা সীমান্তে বিদেশি অস্ত্রসহ দুই ব্যবসায়ী আটক শৈশবের ক্লাবে ফিরে গেলেন ডি মারিয়া রোনালদোর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চায় আল নাসর ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে উঠলো নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ উইন্ডিজের বিপক্ষে ইংলিশদের রানের পাহাড় ৯ বছর পর ফাইনালের টিকেট পেলো আরসিবি পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতাতে চান হাসান আলি সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুকের দেশ ছাড়ার গুজব বিসিবির নতুন সভাপতি হলেন বুলবুল হোটেলে কথা কাটাকাটির জের বালিশচাপা দিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ঝড়ো হাওয়া ভারী বৃষ্টি

সৈয়দপুর ঢেলাপীর আবাসনের হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

  • আপলোড সময় : ২৩-০৫-২০২৫ ০৯:১৭:০৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০৫-২০২৫ ০৯:১৭:০৩ অপরাহ্ন
সৈয়দপুর ঢেলাপীর আবাসনের হাজারো মানুষের দুর্ভোগ
নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর সৈয়দপুর ঢেলাপীর আবাসন যেন এক চরম দুর্ভোগের নাম। এখানে হাজারো মানুষের বসবাস যেন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। ঘর থেকে বের হবে নেই কোন ভাল রাস্তা। ড্রেন ব্যবস্থা তেমন না থাকায় আজ অল্প বৃষ্টিতে আবাসনে জমে হাঁটু পানি। দেখে মনে হয় যেন এটি একটি বিশাল পুকুর। অথচ এটি কোন পুকুর নয়। আবাসনের এটি একটি মাঠ। ঈদের নামাজ আদায় করা হয় এ মাঠে। আবাসনের পাশের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে আবাসনের ঈদগাহ মাঠ। বর্তমানে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় আবাসন মাঠ যেন বড় পুকুরে পরিনত হয়েছে। সামনে ঈদ উল আযহা। এ মাঠে কেমন করে নামাজ আদায় হবে তা নিয়ে চিন্তিত আবাসনবাসী। আবাসনের বাসিন্দা রহিম মন্ডল জানান, ড্রেন না থাকায় কয়েকদিন থেকে মাঠে হাঁটু পানি জমে আছে। ছেলেরা ওই পানিতে কাগজের নৌকা ভাসিয়ে খেলা করছে। তাছাড়া আবাসনের ছোট ছোট রাস্তাগুলোর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। আবাসন নির্মাণকালে রাস্তাগুলো করা হয়। সে সময় থেকে আর কোন সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে সকল রাস্তা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। রাস্তার মধ্যখানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। আবাসনে যেন কাঁদা পানি একাকার হয়ে গেছে। এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সৈয়দপুর ঢেলাপীর আবাসন প্রকল্প নির্মিত হয় বিগত বিএনপি সরকারের আমলে। সেনাবাহিনীর তত্বাবধায়নে নির্মিত হয় ৯শ ৯৯টি ঘর। বরাদ্দ দেয়া হয় গরীব ও অসহায় ভুমিহীনদের। তবে সে সময় দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার ভুমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্তে গাফলতি থাকায় ভুমিহীনের পাশাপাশি ঘর বরাদ্দ পায় সবলরাও। যাদের সৈয়দপুর শহরে পাকা ঘর রয়েছে তারাও সরকারি এ আবাসনে ঘর পায়। যার ফলে রাতের বেলা দেখা যায় আবাসনের অনেক ঘর তালাবদ্ধ থাকে। অনেকে আবার লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাদের বরাদ্দকৃত ঘর অন্যের কাছে বিক্রি করে চলে গেছে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে আবাসনে বেশ কয়েক বার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হয় অভিযান। ওই অভিযানে অনেকের ঘর সিলগালা করা হয়। যারা সরকারি ঘর বরাদ্দ পেয়ে বিক্রি করে চলে গেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা কেন যেন থেমে যায়। আবাসনের বাসিন্দা অন্তরা জানান, এখানের রাস্তাগুলো ভাঙ্গা চূড়া। কাঁদায় রাস্তা যেন ভরপুর। মাঠ ভরে গেছে পানিতে। রাতে ঘর থেকে বের হতে পারি না। ঘরের মধ্যে পোকামাকড় চলে আসে। শিশু বাচ্চারা এতে ভয় পায়। অপর বাসিন্দা কৃষ্ণ রায় জানান, আবাসনে ছোট ছোট ড্রেন আছে। সেগুলো পরিস্কার করার কথা পৌরসভার কিন্তু পৌরসভা বছরেও একবার পরিস্কার করতে আসে না। অনেক সময় ড্রেনের পানি ঘরে উঠে আসে। তখন আমরা নিজেরাই ড্রেন পরিস্কার করে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাই।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য