
এলজিইডিতে অনিয়ম বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন * মানা হয়নি জ্যেষ্ঠতা তালিকা * জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের মতামত ছাড়াই রাজস্বখাতে স্থানান্তর * রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত এসব প্রকৌশলীকে সংস্থায় নিয়মিতকরণ নিয়ে প্রশ্ন
বিধিমালা অনুসরণ না করে ২৫৭ প্রকৌশলীর পদোন্নতি
- আপলোড সময় : ২২-০৫-২০২৫ ০৫:২৯:১০ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২২-০৫-২০২৫ ০৫:২৯:১০ অপরাহ্ন


স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে (এলজিইডি) ২৫৭ জন প্রকৌশলীর চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, নিয়মিতকরণ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে হওয়া অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত ৭ই মে মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা থেকে প্রতিবেদনটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, আদালতের নির্দেশে ২০১০ সালে ১৩১ জন, ২০১১ সালে ১০৯ এবং ২০১৩ সালে ১৭ জনকে সহকারী প্রকৌশলী পদে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের মতামত ছাড়াই রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা হয়। রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত এসব প্রকৌশলীকে সংস্থায় নিয়মিতকরণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই ক্ষেত্রে বিধি অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলজিইডিতে সর্বশেষ ২০০৮ সালে জ্যেষ্ঠতা তালিকা অনুমোদন ও প্রণয়ন করা হয়। বিধিমালা অনুযায়ী, অনুমোদিত জ্যেষ্ঠতা তালিকা অনুসরণ ছাড়া পদোন্নতির বিধান নেই। কিন্তু অনুমোদিত জ্যেষ্ঠতা তালিকা না থাকলেও প্রকল্প থেকে আসা সহকারী প্রকৌশলীদের ষষ্ঠ গ্রেডের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী (পুর) পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
এই অনিয়মের বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে দু’জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত গত বছরের ৯ ডিসেম্বর প্রকল্পের ২৫৭ জনকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সংঘটিত অনিয়মের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন এবং প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।
আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বর্তমানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পদায়ন) মাহবুব-উল-আলমকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি একাধিক সভার মাধ্যমে তাদের তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি গত ৩০শে এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়। তিনি তদন্ত প্রতিবেদনটি অনুমোদন করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আইন শাখায় প্রেরণ করেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আইন-৩ শাখা থেকে গত ৭ই মে তদন্ত প্রতিবেদনটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠিতে দেখা যায়, তদন্ত কমিটি এলজিইডির দাখিল করা সব কাগজপত্র, প্রমাণক যাচাইবাছাই ও বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব রমিছা জাহান স্বাক্ষরিত চিঠিতে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তা অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে পাঠান।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ