ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫ , ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
রাবিতে তিন কর্মকর্তাকে পুলিশে দিলো সাবেক শিক্ষার্থীরা কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিট সচল, উৎপাদন বেড়ে ২১৮ মেগাওয়াট নোয়াখালীতে বাসে যাত্রীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল গ্রেফতার ২ লাগাতার বৃষ্টিতে ৩শ’ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত জনজীবনে দুর্ভোগ পরিবারের কাছে ফিরলো কেন্দুয়ায় পাওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী ডেমরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু পঞ্চগড়ে নারী-শিশুসহ ২৪ জনকে পুশইন বিএসএফ’র ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩৭৫ জন কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন রাস্তার কাজ শেষ না করেই বিল পাস গাজীপুরে বিএনপি নেতার নামে মামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ বখাটের ছুরিকাঘাত থেকে কিশোরীকে বাঁচাতে গিয়ে দাদি ভাবি নিহত সিলেটে পিডিবি প্রিপেইড বিদ্যুৎ মিটারে বেড়েছে ভোগান্তি নির্বাচন নিয়ে তলে তলে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে- রিজভী বঞ্চিতদের পদোন্নতির পুনর্বিবেচনায় সাত শতাধিক কর্মকর্তা বাংলাদেশে সাহসী সংস্কারেই টেকসই প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সম্ভব : জোহানেস জুট এ সরকারের আমলেই আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে-আইন উপদেষ্টা সীমান্ত হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনেই বিচার চাইলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ নিয়োগ-পদোন্নতিতে রাজনৈতিক পরিচয় যাচাই প্রথা বাতিলের সুপারিশ
কলেজ শিক্ষার্থীর সুইসাইড নোট

‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা’

  • আপলোড সময় : ২০-০৫-২০২৫ ০২:২৭:২৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৫-২০২৫ ০২:২৭:২৮ অপরাহ্ন
‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা’
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা’ নিজের ডায়েরিতে এমন সুইসাইড নোট লিখে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার (২২)। গত রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অমর একুশে হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মনোতোষ কর্মকার এবং সুপ্তা কর্মকার দম্পতির ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসআই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই সুইসাইড নোটে শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার লিখেছেন, ‘সরি মা-বাবা। আমি ধ্রুবজিৎ, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কার্ডের পিন (...) টাকাগুলো মাকে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা। পরেরবার ফার্মেসি নিয়ে পড়বো। এত চাপ আমার পক্ষে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। বিদায়। হরে কৃঞ্চ।’ ধ্রুবজিৎ কর্মকারের একাধিক সহপাঠী জানান, গত রোববার অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধ্রুবজিৎ কর্মকারও পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরীক্ষার হলে সে নকলসহ ধরা পড়ে। এ সময় বহিষ্কারের ভয়ে স্যারদের পায়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করেছিল ধ্রুবজিৎ। এ সময় দায়িত্বরত শিক্ষকরা তার খাতা নিয়ে তাকে হল থেকে বের করে দেন। এরপরই সে হলের কক্ষে এসে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান জানান, ধ্রুবজিৎ কিছুদিন ধরেই হতাশাগ্রস্ত ছিল। হয়তো পরীক্ষায় নকল নিয়ে ধরা পড়ে সে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েছিল। ফলে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স