ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ , ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নগর ভবন খুলে দেবেন ইশরাকের সমর্থকরা এভাবে চলতে থাকলে কিয়ামত পর্যন্ত শতভাগ ঐকমত্য হবে না : নুর কিছু বিষয় ‘অমীমাংসিত’ সব দলকে ছাড় দেয়ার আহ্বান আলী রিয়াজের প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে একমত জামায়াত-এনসিপি সায় নেই বিএনপির সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ল ১০ হাজার কোটি টাকা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্র কি ইরাকের ভুল এবার ইরানে করছে-প্রশ্ন চীনের আমরা ইসরায়েলের জন্য সব হুমকি গুঁড়িয়ে দিয়েছি-ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন তুললেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা যুক্তরাষ্ট্রের নির্লজ্জ আগ্রাসন এর নিন্দা জানিয়েছে হামাস যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সংঘাতের তীব্রতা বাড়ার শঙ্কা জাতিসংঘের চট্টগ্রামে করোনায় ২ জনের মৃত্যু কুমিল্লায় কোভিড ও ডেঙ্গুতে ঝরলো ২ প্রাণ সড়কে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ঢাকা বোর্ডের সামনে বিক্ষোভ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সবার মধ্যে স্বস্তি এসেছে- আমির খসরু ভারতীয় ‘রিপাবলিক বাংলা’ টিভির সম্প্রচার বন্ধে হাইকোর্টের রুল ১৮ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করলো বিএসএফ

রপ্তানি বহুমুখীকরণে নানা বাধা, বিপর্যয়ের শঙ্কা

  • আপলোড সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ১১:৩৮:০৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ১১:৩৮:০৭ অপরাহ্ন
রপ্তানি বহুমুখীকরণে নানা বাধা, বিপর্যয়ের শঙ্কা
* সরকারের নানা ধরনের উদ্যোগেও রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা যাচ্ছে না।
* একক পণ্য, একক বাজার বা একক অঞ্চল নির্ভরতার কারণে দেশের পণ্য রপ্তানিতে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে।
* তৈরি পোশাক খাত থেকে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগের বেশি আসে। পোশাকের পর দ্বিতীয় পণ্যের মধ্যে বড় ধরনের তফাত রয়েছে।
* স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বের হওয়ার জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ জরুরি।


পণ্যের বহুমুখীকরণ না হলে রপ্তানিতে বিপর্যয়ের শঙ্কা বাড়ছে। কারণ একক পণ্য ও একক বাজারনির্ভরতায় হঠাৎ বিপর্যয় দেখা দেয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু সরকারের নানা ধরনের উদ্যোগেও রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা যাচ্ছে না। বরং একক পণ্য, একক বাজার বা একক অঞ্চল নির্ভরতার কারণে দেশের পণ্য রপ্তানিতে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে তৈরি পোশাক খাত থেকে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগের বেশি আসে। পোশাকের পর দ্বিতীয় পণ্যের মধ্যে বড় ধরনের তফাত রয়েছে। অথচ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বের হওয়ার জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ জরুরি। কারণ এক পণ্যের ওপর নির্ভর করে যেসব দেশের এলডিসি উত্তরণ হয়েছে, তারাই পরে ঝুঁকিতে পড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৩ হাজার ২৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তার মধ্যে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ৫০, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯, যুক্তরাজ্যে ১১ শতাংশ তৈরি পোশাক যায়। সমপ্রতি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যের ওপর আগের ১৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ২৬ শতাংশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন এক নির্বাহী আদেশে প্রথমে শুল্ক ৩৭ শতাংশ ঘোষণা করেছিল। পরে সেটি স্থগিত করে আগের শুল্কের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করে। ফলে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যের ওপর আগে যেখানে ১৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হতো, এখন সেখানে তিন মাসের জন্য ২৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস জুলাই-মার্চে মোট ৩ হাজার ৭১৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে গত মার্চ মাসে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, চামড়াবিহীন জুতা, প্লাস্টিক, প্রকৌশল পণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। অন্যদিকে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে।
সূত্র জানায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশ থেকে ৩ হাজার ২৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। ওই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। মার্চে ৩৪৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এরপর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য দ্বিতীয় পণ্য হিসেবে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়েছে। ৯ মাসে ৮৫ কোটি ডলারের ওই পণ্য রপ্তানি হয়েছে। শুধু মার্চে ৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। অর্থাৎ পোশাকের তুলনায় ২ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার তফাৎ রয়েছে প্রথম আর দ্বিতীয় পণ্য রপ্তানি পণ্যের মধ্যে। তাছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮১ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে। ওই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। তবে মার্চ মাসে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে ২৫ দশমিক ৭২ শতাংশ।
সূত্র আরো জানায়, পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্যৗ বাড়ানোর জন্য বিদেশে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি। সেজন্য নীতি ঠিক করতে হবে। করপোরেট ট্যাক্স হার কমাতে হবে। অন্যান্য দেশ কীভাবে রপ্তানি বাড়িয়েছে সে নীতি অনুসরণ করতে হবে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, দেশের রপ্তানি একটি পণ্যের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা উচিত। এটি এখন সময়ের দাবি। শুধু কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর নির্ভর করে টিকে থাকা সম্ভব নয়। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উদ্ভাবনে যেতে হবে, নতুন বাজার খুঁজতে হবে। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য আমাদের দুর্নীতি দূর করতে হবে এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। সেজন্য ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সমস্যা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সহযোগী অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা আছে। যেকোনো সমস্যা সমাধান করা হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য