ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন মৎস্য ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ সিলেটে পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে ১৫০০-২০০০ ব্যক্তি বাংলাভাষী লোকজনকে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করতে দেব না- মমতা রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই-জোনায়েদ সাকি ইসির রোডম্যাপে খুশি বিএনপি-মির্জা ফখরুল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেসির জোড়া গোলে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে বিদায় নিলো ম্যানইউ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন হামজা ‘মুসলিম হওয়ার কারণে অনেকে আমাকে টার্গেট করেন’ ভারতের ২৬ বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ দেখছেন না শ্রীকান্ত নতুন ক্যাটাগোরিতে বেতন কত কমল বাবর-রিজওয়ানের? বড় ব্যবধানে হারলো সাকিবের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স বাংলাদেশকে হারানো সহজ হবে না: স্কট এডওয়ার্ডস রাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩য় বারের মতো পুনর্বিন্যস্ত পিছিয়েছে ভোট জকসু নির্বাচনে বয়সসীমা থাকছে না

গাজায় আরও দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

  • আপলোড সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ১০:২৭:৫২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ১০:২৭:৫২ অপরাহ্ন
গাজায় আরও দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল
অবরোধ, আক্রমণ আর আলোচনার দোলাচলে উত্তপ্ত গাজা। উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলের পর এবার দক্ষিণেও প্রবেশ করতে শুরু করেছে ইসরাইলি সেনারা। গত রোববারের নারকীয় অভিযান গিডিয়ন চ্যারিয়টসের হামলার তীব্রতায় দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ভোর থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই ১৫১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার সেনারা।
গাজার হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৬৯ জনই নিহত হয়েছেন উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে। সেখানে দখলদার সেনারা সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। আল জাজিরা বলছে, ইসরাইলি অবরোধ ও টানা হামলার কারণে গাজার অধিকাংশ হাসপাতালই কার্যক্ষমতার বাইরে। রোববার উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হামলার কারণে অন্যতম বৃহত্তম ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল সেবা কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়। অন্যদিকে, তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে ফিলিস্তিনিরা। একবেলার খাবারও জোটে না বহু পরিবারের। কেউ কেউ তিন দিনেও খায়নি কিছু। ইসরাইলি অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি, ওষুধ সবকিছুরই চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে উপত্যকাজুড়ে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, উত্তরাঞ্চলের সব হাসপাতাল এখন কার্যত বন্ধ রয়েছে। এদিকে কাতারের দোহায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসেছে ইসরায়েল ও হামাস। তবে, সেখানে হামাস নেতা ওসামা হামদান জানান, আলোচনায় এমন কিছু প্রস্তাব এসেছে যা তাদের জন্য অগ্রহণযোগ্য। অস্ত্র পরিত্যাগ এবং গাজা থেকে নির্বাসন এমন শর্তে রাজি নয় তারা। এর আগে, নেতানিয়াহু প্রশাসন বলছে, যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে হামাসকে অস্ত্র ছাড়তে হবে এবং গাজা থেকে চলে যেতে হবে। এটিই হবে চূড়ান্ত লক্ষ্য। রোববার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তির প্রস্তাবের পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধের সমাপ্তির বিষয়ও আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিবৃতি মতে, গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে নেতানিয়াহু কয়েকটি শর্ত দিয়েছেন। শর্তগুলো হলো- এক. হামাসকে সব জিম্মি মুক্তি দিতে হবে, দুই. তাদের সব সদস্যকে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং গাজা ছেড়ে চলে যেতে হবে। বিবৃতি অনুযায়ী, ইসরাইলি প্রতিনিধি দল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফের সীমিত কয়েকজন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি অথবা সমস্ত জিম্মির মুক্তি ও হামাসের সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণের বিনিময়ে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে। গাজায় গত ২০ মাস ধরে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ভূমধ্যসাগরের পাড়ের এক সময়ের সাজানো-গোছানো ছোট্ট উপত্যকাটি কার্যত মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। কয়েক লাখ মানুষ হতাহত হয়েছেন। ২০ লক্ষাধিক বাসিন্দা হয়েছে উদ্বাস্তু। ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মধ্যে তারা এখন খোলা আকাশের নিচে তাঁবু টানিয়ে থাকছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স