
হাইকোর্টের সামনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান
- আপলোড সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ০৫:১৪:৫৪ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ০৫:১৪:৫৪ অপরাহ্ন


ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের রিটের প্রেক্ষিতে দেওয়া রায় বাতিলের দাবিতে হাই কোর্টের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দুপুর পর্যন্ত তাদের সেখানে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এছাড়া এ দিন সারাদেশে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা। কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান দুপুরে বলেন, ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের পদোন্নতির রায়ের ওপর আপিল শুনানি হচ্ছে। “আপিল বিভাগ ইতোমধ্যে রায়টি স্থগিত করেছেন। সেটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য এখন শুনানি হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। চূড়ান্ত রায় জানতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমাদের মানববন্ধন ও অবস্থান। “আমরা আশা করি আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায়টি বাতিল করবেন। আমরা সে অপেক্ষায় আছি।” এর আগে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতির জন্য ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পক্ষে যে রিট আবেদন করা হয়েছে, তাকে ‘কালো রিট’ আখ্যায়িত করেছিলেন মাশফিক ইসলাম দেওয়ান। ছয় দফা পূরণে দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা গত ১৬ এপ্রিল থেকে জোরালো আন্দোলন শুরু করেন। সপ্তাহখানেক ধরে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন করলে তারা আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন। তবে পরদিনই সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আসে তাদের তরফ থেকে। গত ২৯ এপ্রিল থেকে সব পলিটেকনিকে তালা ঝুলিয়ে শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে ৭ মে সে কর্মসূচি শিথিল করে ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেও শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো-
জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাই কোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া; ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদী অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা; উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬০০০ টাকা দেওয়া; কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্বনিয়োগ দেওয়া; কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা; ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ