ঢাকা , শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫ , ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিবিসির প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা হাসিনাপুত্র জয়ের শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু শব্দ সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে ভোটার কার্যক্রমের অনুমোদন পেল ইসি বাংলাদেশে বিনিয়োগে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে-চীনা রাষ্ট্রদূত ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের পাশে তারেক রহমান দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়লেও কমানো হয়েছে বরাদ্দ আমতলিতে মির্জাগঞ্জ দরবার শরীফের দান বাক্সের টাকা চুরি ডুবে গেছে উপকূলীয় অঞ্চল এস আলমের ১১৩ কোটি টাকা ফ্রিজ আরও ৭ জনের করোনা শনাক্ত গণহত্যায় দায়ী সবার বিচার করতেই হবে-সোহেল তাজ দুদকের সেই শরীফকে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ এলজিইডির ২৫৭ প্রকৌশলীর নিয়োগ-পদোন্নতিতে অনিয়ম শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম রোবটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের পাইলট প্রকল্প পুলিশের পাঁচ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি কয়রার পর্যটন কেন্দ্র অর্থনীতিতে অবদান রাখবে -জেলা প্রশাসক খুলনা কুমিল্লায় ৩ হত্যা ৮ আসামির তিনদিনের রিমান্ড সিলেটে অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধের আদেশ মানছে না প্রশাসন ছেলেকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুই বাসের চাপায় প্রাণ গেলো বাবার
২শ’ বছর আগে মেলা শুরু করেন হরিকিশোর রায় চৌধুরী

সত্যজিৎ রায়ের বাড়িতে জমজমাট বৈশাখী মেলা

  • আপলোড সময় : ১৭-০৫-২০২৫ ০১:৩৫:১০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৫-২০২৫ ০১:৩৫:১০ অপরাহ্ন
সত্যজিৎ রায়ের বাড়িতে জমজমাট বৈশাখী মেলা
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে মো. মফিজ উদ্দিন নয়ন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের মসুয়াগ্রামে অস্কার বিজয়ী বিশ্বনন্দিত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি প্রাঙ্গণে চলছে ঐতিহাসিক বৈশাখী মেলা। প্রায় দুইশত বছর আগে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ হরিকিশোর রায় চৌধুরী কালভৈরবী পূজা নামে মেলাটি শুরু করেন। গত বুধবার থেকে টানা ৫ দিনব্যাপী চলবে এই মেলা। তবে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই জমজমাট মেলা চলছে। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থান থেকে নানান রকম দোকান নিয়ে এসেছেন ব্যাবসায়ীরা। নাগরদোলায় চড়ে আনন্দ উপভোগ করছে মেলায় আগতরা। মেলা উপলক্ষে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কবি, সাহিত্যিক ও বহু দর্শনার্থীর আগমন ঘটে থাকে। গ্রাম বাংলার লোকজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে মেলায় নানা ধরনের স্টল দিয়েছে বিভিন্ন দোকানিরা। এ মেলাকে ঘিরে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে এখন উৎসবের আমেজ। মেলার আয়োজকরা জানান, বৈশাখী এই মেলায় রয়েছে রকমারি পণ্যের কয়েকশত স্টল। এর মধ্যে রয়েছে কাঠের আসবাবপত্র, গৃহস্থালির নানা সামগ্রী, খেলনা, মিষ্টান্ন ও প্রসাধনী সহ নানা ধরনের পণ্য সামগ্রীর দোকান। এছাড়াও রয়েছে শিশুদের চিত্ত বিনোদনের জন্য নাগরদোলা সহ নানা আয়োজন। স্থানীয় বাসিন্দা মানিক ভট্টাচার্য জানান, মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কবি সাহিত্যিক ও বহু দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। প্রতিবছরের মত এবছরও মেলায় বসবে গান ও কবিতা পাঠের আসর। মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি গোলাপ নিয়া জানান, প্রায় দুইশত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মেলা এখন এই অঞ্চলের সম্প্রীতির প্রতীক। মেলাকে ঘিরে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে এখন বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। স্থানীয় বাসিন্দা টুটুল মিয়া জানান, মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কবি সাহিত্যিক ও বহু দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। প্রতিবছরের মত এ বছরও মেলায় বসছে গান ও কবিতা পাঠের আসর। একইকথা জানিয়েছেন পং মসুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাজহারুল হক জাকির। মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি গোলাপ মিয়া জানান, প্রায় দুইশত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মেলা এখন এই অঞ্চলের সম্প্রীতির প্রতীক। মেলাকে ঘিরে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে এখন বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। মেলার আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আবদুল কুদ্দুস রতন বলেন, ঐতিহ্যবাহি বৈশাখী মেলাটি প্রায় দুইশত বছর যাবত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার মেলাটি সুশৃঙ্খল ও মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মেলায় আগত সকল ক্রেতা-বিক্রেতা এবং দুর দুরান্ত থেকে আসা কবি-সাহিত্যিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। সকলের সহযোগিতায় আমরা শতভাগ সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। এরআগে মেলা পরিদর্শন করেছেন কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাঈদুল ইসলাম জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. রুহুল আমীন আকিল,কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন খাাঁন দিলীপ সহ উপজেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতৃবৃন্দ। এ সময় মো. মাইদুল ইসলাম বলেন মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে এবং এ বছর মেলার সরকারি ডাক হয়েছে ৭১ হাজার ৭শত টাকা। তবে কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, গ্রাম বাংলার লোকজ সাংস্কৃতি হলো মেলা। মেলা উপলক্ষে নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, জনশ্রুতি আছে, প্রায় দুইশত বছর আগে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ হরিকিশোর রায় চৌধুরী, কালভৈরবী পূজা উপলক্ষে এই মেলার প্রচলন করেছিলেন। এরপর থেকে প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শেষ বুধবার এই মেলা বসে। বর্তমানে সেই কালভৈরবীর পূজা না হলেও বন্ধ হয়নি মেলাটি। সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়িটি রায় বাড়ী নামে পরিচিত। রায় বাড়ীর সামনে খোলা মাঠ ও পুকুরের আশেপাশে বিশাল জায়গা জুরে বসে এ মেলা। এ বাড়িতেই ১৮৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী এবং ১৮৮৭ সালের জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতা বিশিষ্ট ছড়াকার সুকুমার রায়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির আগেই উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সপরিবারে কলকাতা চলে যান। তাদের পরিত্যক্ত কারুকার্য খচিত ভগ্ন ও প্রাচীন দালান পরিবেষ্টিত বিশাল আয়তনের রায় বাড়িটি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে আংশিক সংস্কার হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

বিবিসির প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা হাসিনাপুত্র জয়ের

বিবিসির প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা হাসিনাপুত্র জয়ের