ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ , ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আনচেলত্তিকে নিয়ে অসন্তুষ্ট ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট! পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে অভিষেক হলো রোনালদোর ছেলের আইপিএল ছাড়ছেন ৮ প্রোটিয়া ক্রিকেটার ভারতে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ব্রাজিলে যেসব সুবিধা পাবেন আনচেলত্তি আইপিএলে চিয়ারলিডারদের নাচ-গান বন্ধ রাখার পরামর্শ গাভাস্কারের আরব আমিরাতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন টাইগাররা আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন মিরাজ রোহিঙ্গাদের জন্য ৩১৬ কোটি টাকায় নিয়োগ হবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রমনা বটমূলে বোমা হামলা: ২ জনের যাবজ্জীবন ৯ জনের ১০ বছর সাজা হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল ইতিহাসে এটাই প্রথম -প্রধান বিচারপতি চিকিৎসাসেবার পরিবেশ নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এনবিআর কেন বিভক্ত হয়েছে ব্যাখ্যা দিলো প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এনবিআর বিভক্ত করায় রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না-অর্থ উপদেষ্টা পুশইন বন্ধে দিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা জনবল সংকটে বঞ্চিত হচ্ছেন অর্ধেক সেবাপ্রত্যাশী এনবিআর কর্মকর্তাদের ৩ দিনের কলম বিরতির ঘোষণা সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করবে ওয়াসা, রাজউক ও ডিএনসিসি আলোচনা ও নির্বাচনী তোড়জোড় বাংলাদেশ-ইতালি সমঝোতায় শ্রমবাজারে নতুন দিশা

চিকিৎসাসেবার পরিবেশ নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

  • আপলোড সময় : ১৪-০৫-২০২৫ ০৭:২৮:১১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৫-২০২৫ ০৭:২৮:১১ অপরাহ্ন
চিকিৎসাসেবার পরিবেশ নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, চিকিৎসাসেবার পরিবেশ নিরাপদ রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর এবং চিকিৎসকদের হুমকির মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। তাই সরকার চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সার্বিক চিকিৎসা পরিবেশকে অনুকূল, নিরাপদ ও জনবান্ধব করতে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে সিভিল সার্জনদের প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় আরও জোরদার করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দুদিনব্যাপী (১২ ও ১৩ মে) সিভিল সার্জন সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিভিল সার্জনদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সমাজের সবচেয়ে মেধাবী অংশ। তাই আপনাদের প্রতি জনপ্রত্যাশাও সবচেয়ে বেশি। জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যখাতের চালিকাশক্তি হিসেবে আপনাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, উদ্যোগ ও ত্যাগ মানুষের জীবনকে সরাসরি প্রভাবিত করে। আপনারাই মানুষের আশার আলো, দুঃসময়ে ভরসার আশ্রয়। এসময় সেবাকে আরও জনমুখী করতে উপদেষ্টা কিছু প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। যেমন- ‘পোস্টমর্টেম সেবা থানা পর্যায়ে বিস্তৃত করা’; ‘নারীদের পোস্টমর্টেম নারী চিকিৎসকের মাধ্যমে সম্পন্ন করা’; ‘ধর্ষণ মামলায় নারী চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকলে নারী সেবিকা দিয়ে পরীক্ষা করে পুরুষ চিকিৎসককে দিয়ে সই করানো’; ‘মানহীন ও শিক্ষকবিহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা’; ‘মেডিকেল কলেজগুলোর মানোন্নয়নে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা’, ‘ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ছয় মাস শহরে ও ছয় মাস গ্রামে প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা’ এবং ‘গ্রামে থাকাকালীন সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করা’। তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে জনগণ দ্রুততর সেবা পাবে এবং জনদুর্ভোগ হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে দেশ অযোগ্য চিকিৎসক তৈরির ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকবে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) আরও বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সিভিল সার্জনদের থানা বা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে পুনর্বাসন ও কাউন্সেলিং কার্যক্রম সফল করতে আহ্বান জানান। চিকিৎসকদের প্রতি কিছু অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসা একটি সম্মানজনক পেশা। চিকিৎসকরাই জনগণের সবচেয়ে বেশি সেবা দেওয়ার সুযোগ পান এবং তা দিতে সচেষ্ট থাকেন। তবুও জনগণের কিছু অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ করে— অনেক সরকারি চিকিৎসক হাসপাতালে নির্ধারিত সময়মতো উপস্থিত হন না বা পূর্ণ সময় থাকেন না। অনেক উপজেলা বা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা পান না। এই অনুপস্থিতি স্বাস্থ্যসেবার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং স্বাস্থ্যখাত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ পরিচালক ফয়সল হাসান জানান, প্রশ্নোত্তর পর্বে উপদেষ্টা সিভিল সার্জনদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সিভিল সার্জনরা এ সময় কয়েকটি দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল— জেলা হাসপাতালগুলোকে কেপিআই স্থাপনার স্বীকৃতি প্রদান ও সেখানে পুলিশ টহল বৃদ্ধি, পোস্টমর্টেম সেন্টার আধুনিকীকরণ ও সিভিল সার্জনদের জন্য গানম্যান প্রদান ইত্যাদি। উপদেষ্টা এসব যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী প্রমুখ।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স