
নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় সন্দেহ বাড়ছেÑ রিজভী
- আপলোড সময় : ১২-০৫-২০২৫ ০৩:৫৭:১৯ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১২-০৫-২০২৫ ০৩:৫৭:১৯ অপরাহ্ন


বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের বর্তমান নীরবতা সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তার মতে, সরকার দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইলেও জনগণের মাঝে সন্দেহ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলছে। রিজভী গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসকাবের সামনে বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত এক শান্তি শোভাযাত্রায় এসব মন্তব্য করেন। নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, “সরকারের সাম্প্রতিক আচরণ দেখে মনে হচ্ছে তারা আবারও শেখ হাসিনার পুরোনো কৌশলের পথেই এগিয়ে চলেছে।” তিনি আরও বলেন, “এতে জনগণের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে এবং রাজনৈতিক সংকট আরও তীব্র হতে পারে।” রিজভী সরকারের সাম্প্রতিক নির্বাচনী নীরবতা নিয়ে বলেছিলেন, “মানুষ দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়, কিন্তু সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এভাবে নীরব থাকলে জনগণের মধ্যে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে।” বিএনপির সিনিয়র নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এমন একজন ফ্যাসিবাদী ব্যক্তির দেশত্যাগ কেন সরকারের দৃষ্টি এড়িয়ে গেল? তার লাল পাসপোর্ট কেন বাতিল করা হয়নি?
তবে, রিজভী শুধু নির্বাচনের বিষয়েই নয়, বরং সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেন, “সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অবাধে লোক ঢ়ুকছে, অথচ সরকারের তরফ থেকে কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই। ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।” তিনি আরও বলেন, “যতই ভারতকে ‘বন্ধু’ বলা হোক, তারা আমাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচারণা চালাচ্ছে, যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য অশনিসংকেত।” সীমান্ত নিয়ে এমন উদ্বেগ সত্ত্বেও সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা সরকারের সময়ও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটলে কোন প্রতিবাদ করা হয়নি, আজও সরকার নিশ্চুপ।”
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে রিজভী আরও উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু সম্প্রদায়ভিত্তিক রাজনীতি এবং কাদা ছোড়াছুড়ির কারণে দেশের শান্তি ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত হচ্ছে।” তিনি আরো বলেন, “গৌতম বুদ্ধের অহিংসার বাণী যদি সবাই মেনে চলতো, তাহলে বাংলাদেশে সহিংসতা, হত্যা ও দমন-পীড়ন না ঘটত।” রিজভী বলেন, “আজকের বাংলাদেশে গৌতম বুদ্ধের অহিংসার বাণী অনুসরণ করলে, না হয় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষকে হত্যা করা হতো না, আর না হয় সীমান্তে ঢ়ুকে পড়া লোকজনকে অবৈধভাবে দেশে ঢ়ুকানো হতো না।” এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য রমেশ দত্ত, বৌদ্ধ ফোরামের নেতা সুশীল বড়ুয়া, প্রার্থ প্রতিম বড়ুয়া অপু প্রমুখ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ