ঢাকা , সোমবার, ০২ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বঞ্চনার গল্প যেন অরণ্যেরোদন চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা রাষ্ট্র সংস্কারে উপেক্ষিত নারী তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু-আইন উপদেষ্টা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রথমবারের মতো বিটিভির স্টুডিও থেকে হচ্ছে বাজেট ঘোষণা ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে নতুন বাজেট আজ দুধ শুধু পণ্য নয় এটি সংস্কৃতির অংশÑ মৎস্য উপদেষ্টা রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি পাহাড় ধসের ঝুঁকি সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু বিজিএমইএ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ‘ফোরাম’ প্যানেল বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ জাপা চেয়ারম্যানসহ ২৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা ঝিনাইদহে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত আহত ৪ কেএনএফের ইউনিফর্ম জব্দের ঘটনায় কারখানা মালিক রিমান্ডে মবের নামে নাশকতার সুযোগ নেই আরও ১১ জনকে পুশইন, মোট সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে নয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিমি. বেগে ঝড়ের আভাস সিলেট-মৌলভীবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

মূল্যস্ফীতির উদ্বেগ কাটেনি বাড়ি ভাড়া-চালের দামে অস্বস্তি

  • আপলোড সময় : ০৮-০৫-২০২৫ ০৭:২২:৫৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৫-২০২৫ ০৭:২২:৫৭ অপরাহ্ন
মূল্যস্ফীতির উদ্বেগ কাটেনি বাড়ি ভাড়া-চালের দামে অস্বস্তি
গত কয়েক মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে। মূলত চালের দাম, বাড়ি ভাড়া, পোশাক ও তামাক পণ্যের কারণে মূল্যস্ফীতিতে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ এসব খাতে খরচ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশে পৌঁছায়। তবে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে শীতকালীন সবজির কারণে মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। ১২ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত ফেব্রুয়ারিতে এক অংকে নেমে আসে। মার্চেও এ ধারা অব্যাহত থাকে। মার্চ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
গতকাল বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মাসিক ইকোনমিক আপডেট ও আউটলুক প্রকাশ করে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিতে প্রধান অবদান ছিল খাদ্য খাতে ৪২ দশমিক ৭১ শতাংশ। এর পরে মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী গৃহায়ন (বাড়ি ভাড়া) ১৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এছাড়া পোশাক ও জুতা ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতিতে ভূমিকা রাখে।
বিস্তৃত শ্রেণি অনুসারে সাধারণ মূল্যস্ফীতিতে প্রধান অবদান রাখে চাল ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। এছাড়া মূল্যস্ফীতিতে মাছ ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং শাকসবজি ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ অবদান রাখে। তবে মৌসুমি সবজির দাম কম থাকায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কমিয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরিবহন, শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতি খাতকেও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হয়েছে।
জিইডি সদস্য (সচিব) ড. মনজুর হোসেন বলেন, বিগত সময়ে দেখা গেছে খাদ্যের কারণে মূল্যস্ফীতি বেশি ছিল। তবে সব থেকে বেশি দায়ী চাল। আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে দেশে বন্যা ছিল। এতে চালের উৎপাদন কমে যায়। ফলে চালের দামও বাড়তি ছিল। এছাড়া বাড়ি ভাড়া, পোশাকের কারণেও মূল্যস্ফীতি বাড়তি ছিল। তবে এটা ধীরে ধীরে কমে আসছে। শহর থেকে গ্রামে মূল্যস্ফীতি বাড়তি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মূলত সাপ্লাই চেইন সঠিকভাবে না হওয়ার কারণেই শহরের থেকে গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেশি হয়ে থাকে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স