ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি পেলো আরও ৫২ প্রতিষ্ঠান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা আম উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে : কৃষি সচিব বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন বনানীতে পেট্রোল ঢেলে প্রাইভেটকারে আগুন সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা গ্রেফতার সিরাজগঞ্জে ১৬ টন সরকারি চাল জব্দ আটক ৮ ঝিনাইদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক যশোরের শার্শা সীমান্তে বিদেশি অস্ত্রসহ দুই ব্যবসায়ী আটক শৈশবের ক্লাবে ফিরে গেলেন ডি মারিয়া রোনালদোর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চায় আল নাসর ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে উঠলো নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ উইন্ডিজের বিপক্ষে ইংলিশদের রানের পাহাড় ৯ বছর পর ফাইনালের টিকেট পেলো আরসিবি পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতাতে চান হাসান আলি সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুকের দেশ ছাড়ার গুজব বিসিবির নতুন সভাপতি হলেন বুলবুল হোটেলে কথা কাটাকাটির জের বালিশচাপা দিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ঝড়ো হাওয়া ভারী বৃষ্টি

সাঘাটায় বাঙালি নদীতে বালু উত্তোলন হুমকিতে ব্রিজ ও ফসলি জমি

  • আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৯:৪২:৪৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৯:৪২:৪৬ অপরাহ্ন
সাঘাটায় বাঙালি নদীতে বালু উত্তোলন হুমকিতে ব্রিজ ও ফসলি জমি
সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
সাঘাটা উপজেলার রামনগর ও শতিতলায় বাঙালি নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীর উপর একটি ব্রিজ ও প্রায় দেড়শ’ বিঘা আবাদি জমি ভাঙনের মুখে হুমকি হয়ে পড়েছে। বার বার প্রশাসনে জানিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালী বালুখেকোরা আরও বেপরোয় হয়ে উঠেছে।রামনগর ও শতিতলার বাসিন্দারা জানান, বাঙালি নদীর রামনগরে ৬টি ও শতিতলা পয়েন্টে ৪টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বালু তোলা হচ্ছে।
এতে নদীপারের ফসলি জমিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাটাখালী ব্রিজটিও হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার পদুমশহর ও বোনারপাড়া ইউনিয়নের বৃহৎ একটি অংশকে প্রতিবার আলাই নদীর বন্যার পানি থেকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ডিমলা থেকে রাঘবপুর পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণ করে। স্থানীয় কৃষকরা বিগত বছর থেকেই এর সুফল পেতে শুরু করেছে। রাঘবপুর এলাকার বালু খেকো সাজু মিয়া দির্ঘদিন থেকে আলাই নদীর ওই পাড়ে বাঁধের নিচে ২টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ও বাঁধের রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অভিযুক্ত সাজু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি দম্ভ করে বলেন, বালু উত্তোলন করাই আমার পেশা। কেউ আমার বালু তোলা রোধ করতে পারবে না। পদুমশহর ও বোনারপাড়া ইউনিয়নের ওই এলাকার কৃষকরা বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। এলাকাবাসী জানান, উপজেলার চকদাতেয়া, মিয়ারবাজার, নয়াবন্দর, শতীতলা, ওসমানেরপাড়া সহ বেশ কিছু এলাকায় প্রকাশ্যে নদীর পাড় থেকে বালু তুলে বিক্রি করলেও দেখার যেন কেউ নেই। বাঁধা না পাওয়ায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে বালু দস্যুরা। শতীতলা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী জানান, দির্ঘদিন ধরে স্থানীয় বালুখেকোরা অবাধে নদীর পাড়ে ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলায় নদীর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অথচ প্রশাসন এসব দেখছে না।অন্যদিকে অবৈধ ট্রাক্টরের সাহায্যে এব বালু বোঝাই করে দিনরাত দাপিয়ে চলছে গ্রামের বিভিন্ন ছোট সড়কে। বালুর অধিক বোঝাই নিয়ে বার বার যাতায়াত করায় রাস্তা গুলো ফেটে নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা হলে উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খন্দকার জানান, বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও এসব বালু খেকোরা কথা শুনছে না।
দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ছে এই বালু খেকোরা। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মনোরঞ্জন বর্মণ জানান, কয়েকবার ওই নদী থেকে ড্রেজার জব্দ করে আনা হয়েছে। আবারও বিষয়টি দেখা হবে বলে জানান তিনি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য