ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকারি চাকরি আইন বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভে কর্মচারীরা ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড ৬ জনের যাবজ্জীবন বহাল কালো টাকা সাদা করার বিধান সংস্কারের সম্পূর্ণ বিপরীত-টিআইবি দূরত্ব ঘুচিয়ে চমৎকার জুলাই সনদ তৈরির প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার সারাদেশে একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি টেকসই অর্থনীতির বাজেট এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বঞ্চনার গল্প যেন অরণ্যেরোদন চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা রাষ্ট্র সংস্কারে উপেক্ষিত নারী তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু-আইন উপদেষ্টা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রথমবারের মতো বিটিভির স্টুডিও থেকে হচ্ছে বাজেট ঘোষণা ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে নতুন বাজেট আজ দুধ শুধু পণ্য নয় এটি সংস্কৃতির অংশÑ মৎস্য উপদেষ্টা রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি পাহাড় ধসের ঝুঁকি সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু বিজিএমইএ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ‘ফোরাম’ প্যানেল বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ জাপা চেয়ারম্যানসহ ২৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা

সাঘাটায় বাঙালি নদীতে বালু উত্তোলন হুমকিতে ব্রিজ ও ফসলি জমি

  • আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৯:৪২:৪৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৯:৪২:৪৬ অপরাহ্ন
সাঘাটায় বাঙালি নদীতে বালু উত্তোলন হুমকিতে ব্রিজ ও ফসলি জমি
সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
সাঘাটা উপজেলার রামনগর ও শতিতলায় বাঙালি নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীর উপর একটি ব্রিজ ও প্রায় দেড়শ’ বিঘা আবাদি জমি ভাঙনের মুখে হুমকি হয়ে পড়েছে। বার বার প্রশাসনে জানিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালী বালুখেকোরা আরও বেপরোয় হয়ে উঠেছে।রামনগর ও শতিতলার বাসিন্দারা জানান, বাঙালি নদীর রামনগরে ৬টি ও শতিতলা পয়েন্টে ৪টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বালু তোলা হচ্ছে।
এতে নদীপারের ফসলি জমিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাটাখালী ব্রিজটিও হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার পদুমশহর ও বোনারপাড়া ইউনিয়নের বৃহৎ একটি অংশকে প্রতিবার আলাই নদীর বন্যার পানি থেকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ডিমলা থেকে রাঘবপুর পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণ করে। স্থানীয় কৃষকরা বিগত বছর থেকেই এর সুফল পেতে শুরু করেছে। রাঘবপুর এলাকার বালু খেকো সাজু মিয়া দির্ঘদিন থেকে আলাই নদীর ওই পাড়ে বাঁধের নিচে ২টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ও বাঁধের রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অভিযুক্ত সাজু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি দম্ভ করে বলেন, বালু উত্তোলন করাই আমার পেশা। কেউ আমার বালু তোলা রোধ করতে পারবে না। পদুমশহর ও বোনারপাড়া ইউনিয়নের ওই এলাকার কৃষকরা বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। এলাকাবাসী জানান, উপজেলার চকদাতেয়া, মিয়ারবাজার, নয়াবন্দর, শতীতলা, ওসমানেরপাড়া সহ বেশ কিছু এলাকায় প্রকাশ্যে নদীর পাড় থেকে বালু তুলে বিক্রি করলেও দেখার যেন কেউ নেই। বাঁধা না পাওয়ায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে বালু দস্যুরা। শতীতলা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী জানান, দির্ঘদিন ধরে স্থানীয় বালুখেকোরা অবাধে নদীর পাড়ে ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলায় নদীর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অথচ প্রশাসন এসব দেখছে না।অন্যদিকে অবৈধ ট্রাক্টরের সাহায্যে এব বালু বোঝাই করে দিনরাত দাপিয়ে চলছে গ্রামের বিভিন্ন ছোট সড়কে। বালুর অধিক বোঝাই নিয়ে বার বার যাতায়াত করায় রাস্তা গুলো ফেটে নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা হলে উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খন্দকার জানান, বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও এসব বালু খেকোরা কথা শুনছে না।
দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ছে এই বালু খেকোরা। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মনোরঞ্জন বর্মণ জানান, কয়েকবার ওই নদী থেকে ড্রেজার জব্দ করে আনা হয়েছে। আবারও বিষয়টি দেখা হবে বলে জানান তিনি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য