ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি

নিষেধাজ্ঞা শেষেও চাল পায়নি লক্ষ্মীপুরের ২৮ হাজার জেলে

  • আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৬:৫৮:২৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৬:৫৮:২৬ অপরাহ্ন
নিষেধাজ্ঞা শেষেও চাল পায়নি লক্ষ্মীপুরের ২৮ হাজার জেলে
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও সরকারি চাল পায়নি লক্ষ্মীপুরের ২৮ হাজার জেলে। এ নিয়ে জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মার্চ-এপ্রিল মেঘনা নদীতে মাছ ধরার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা ছিল। জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় নিবন্ধিত ৩৮ হাজার ৫৭৫ জন জেলে রয়েছে। এরমধ্যে নিষেধাজ্ঞাকালীন খাদ্য সহায়তার চাল পাবেন ২৮ হাজার ৩৪৪ জন জেলে। তারা দুই ধাপে ৮০ কেজি করে ১৬০ কেজি চাল বরাদ্দ পাবেন। এর মধ্যে মার্চে প্রথম ধাপের চাল বিতরণ করা হলেও দ্বিতীয় ধাপেরটি এখনো বরাদ্দ আসেনি। যদিও ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। তবে বেসরকারি হিসেবে লক্ষ্মীপুরে ৬০ হাজার জেলে রয়েছে। ওই সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞাকালে জেলায় ২৭৬টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ৩২টি মামলায় ৯৪ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারা ও অর্থদণ্ড দিয়ে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ২০ লাখ মিটার জাল, ৬৪টি মাছ শিকারি নৌকা ও দেড় টন মাছ জব্দ করা হয়। করাতিরহাট এলাকার জেলে বাদশা মিয়া বলেন, নদীতে গিয়ে জ্বালানি তেলের খরচও উঠে না, ইলিশ নেই। জালে ছোট দুই-একটি ইলিশ ধরা পড়ে। কিছু পাঙাশের পোনা, ছোট পোয়া ও ট্যাংরা মাছ পাওয়া যায়। সব জেলে চাল পায় না। মেম্বারদের খরচ দিলে তালিকা নাম দেয়। সদরের চররমনী মোহন গ্রামের জেলে ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমরা মাছ ধরা ছাড়া অন্য কাজ করতে পারি না। নিষেধাজ্ঞার সময়ের জন্য সরকার ৮০ কেজি চাল দেয়। এখনো পুরোটা পাইনি। লক্ষ্মীপুর জেলে ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তফা বেপারী বলেন, নিষেধাজ্ঞার দুই মাস ঘিরে ৪ মাসের জন্য দুইবারে সরকার চাল দেয়। কিন্তু এখনো দ্বিতীয় ধাপের চাল আসেনি। এতে জেলেরা পরিবার পরিজন নিয়ে অসহনীয় কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, জেলেদের দ্বিতীয় ধাপের চাল এখনো বরাদ্দ আসেনি। আসলে দ্রুত তা বিতরণ করে দেবো। বিগত সময়ে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বরাদ্দের চাল আসতো। এবার মন্ত্রণালয় থেকে এখনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য