ঢাকা , বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫ , ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
হরমুজ প্রণালী অবরোধ ও মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান ভারতের ওপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হতে পারে নিজস্ব মজুদ কমায় ইউক্রেনে অস্ত্রের চালান স্থগিত যুক্তরাষ্ট্রের ২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে বিসিবির বাইরের যারা থাকবেন এশিয়া কাপের সম্ভাব্য সূচি প্রকাশ, একাধিকবার মুখোমুখি হতে পারে ভারত-পাকিস্তান চেলসি ছাড়লেন কেপা, আর্সেনালে নতুন যাত্রা বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষকের স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে শামিকে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে অনিশ্চিত ভারতের বাংলাদেশ সফর মিয়ানমারকে হারিয়ে নারী এশিয়ান কাপে ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সমতা ফেরাতে মরিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ জুভেন্টাসকে হারিয়ে শেষ আটে রিয়াল, কোয়ার্টারে বরুশিয়ার মুখোমুখি যেসব কারণে হাইকোর্টে আসামিদের সাজা কমলো নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না-অর্থ উপদেষ্টা শেখ হাসিনাসহ তিন জনের পক্ষে শুনানি ৭ জুলাই যতক্ষণ দুঃখ প্রকাশ না করছো তোমরা শান্তি পাবে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সঙ্কট, নিরসনের উদ্যোগ ময়মনসিংহে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও একজন গ্রেফতার বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪০ লুটপাট-অগ্নিসংযোগ

নির্মাণ কাজ কমে যাওয়ায় কমেছে রড বেচাকেনা

  • আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৬:৫৪:৫২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৬:৫৪:৫২ অপরাহ্ন
নির্মাণ কাজ কমে যাওয়ায় কমেছে রড বেচাকেনা
গাজীপুরে আবাসন শিল্পসহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজ বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক কম। ফলে বাজারে কমেছে রড বেচা-কেনা। রডের দামের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা দেখা গেছে। বিভিন্ন কারখানার রড বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাইকারি ও খুচরা বাজারেও দামের ভিন্নতা দেখা গেছে। রডের পাইকারি, খুচরা ব্যবসায়ী এবং নির্মাণ শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর মানুষ বাড়িঘর নির্মাণ কম করছেন। আর বহুতল ভবন নতুন করে গড়ে ওঠা আশংকাজনক হারে কমে গেছে। যেগুলোর নির্মাণ কাজ অব্যাহত ছিল কেবল সেগুলোর কাজ চলছে।
ভোগড়া বাসন সড়ক এলাকার রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী জামাল হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর রড বিক্রি কম। আগে প্রতিদিন ৫-৭ টন রড বিক্রি হতো। এ বছর তিন দিনেও ৫ টন রড বিক্রি করতে পারিনি। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন জানান, দেশে এবার রডের উৎপাদন বেশি হওয়ায় রডের দাম কম। আবার ডলারের দাম বাড়লে রডের দামও বেড়ে যায়। ডলারের দামের সঙ্গে স্ক্রাবের দাম হ্রাসবৃদ্ধি হয়। জাহাজভাঙা স্ক্রাব থেকে যেহেতু রড উৎপাদন হয়, সেহেতু ডলারের সঙ্গে রডের দাম জড়িত। এছাড়া নির্মাণ কাজ কমে যাওয়ায় রডের বাজারে বেচাকেনা কম হচ্ছে। ভোগড়া এলাকার অপর ব্যবসায়ী এমারত হোসেন জানান, এলাকায় এখন আগের মতো বাড়িঘর নির্মাণ করা হচ্ছে না। যার কারণে রড-সিমেন্টের বিক্রিও কম।
গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার রড ব্যবসায়ী শাকিল এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান জানান, বাজারে বিভিন্ন ধরনের রড রয়েছে। দামের ক্ষেত্রেও রয়েছে ভিন্নতা। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রডের দাম নির্ধারণ হয়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রডের কারখানাগুলোতে বিভিন্ন গ্রেডের রড বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়ে থাকে। আবার একই গ্রেডের রডের দামের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা রয়েছে। রডের বাজার প্রতিদিন ওঠানামা করে। গত বছরের তুলনায় রডের দাম খুব বেশি হ্রাসবৃদ্ধি হয়নি।
গাজীপুরের কয়েকটি রডের দোকান ঘুরে জানা গেছে, বিএসআরএম প্রতিটন ৯০ হাজার টাকা, একেএস ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা, আরআরএম ৮২ হাজার ৫০০ টাকা, এসএসআরএম ৮৫০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য কোম্পানির রড ৮৪ হাজার ৮৫ থেকে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাইকারি ও খুচরা দোকানে দামের ক্ষেত্রে কেজিতে এক টাকা থেকে ৫০ পয়সা পর্যন্ত কম বেশি হয়ে থাকে।
ডেভেলপার কোম্পানি আমান্তা প্রপার্টিজের পরিচালক রমজান হোসেন বলেন, এ বছর ফ্ল্যাট বেচা-কেনা অনেক কম। তাই নতুন করে ভবন ও ফ্ল্যাট তৈরি হচ্ছে না। এছাড়া অনেক কোম্পানি সুদিনের আশায় হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে।
বিল্ডিং নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার মো. মোস্তফা বলেন, শুকনো মৌসুমে অন্যান্য বছর যেভাবে কাজ হতো এ বছর তা হচ্ছে না। খুব প্রয়োজন না থাকলে কেউ বাড়ি নির্মাণ করছেন না। এজন্য রডসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন। কাজ না থাকায় অনেক নির্মাণ শ্রমিক অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছেন।
নির্মাণ শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, আগে এ মৌসুমে কাজ করে শেষ করতে পারতাম না। এখন সপ্তাহে দুই-তিন দিন কাজ করি। কাজ না থাকলে টাকাও নেই। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। অনেকেই অটোরিকশা চালানোসহ ভিন্ন পেশা বেছে নিচ্ছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ