ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি রোড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ এক্সিবিশনে যৌথ সক্ষমতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা স্বস্তি নেই সবজির দামে নিত্যপণ্যের দাম চড়া রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ

নির্মাণ কাজ কমে যাওয়ায় কমেছে রড বেচাকেনা

  • আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৬:৫৪:৫২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৬:৫৪:৫২ অপরাহ্ন
নির্মাণ কাজ কমে যাওয়ায় কমেছে রড বেচাকেনা
গাজীপুরে আবাসন শিল্পসহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজ বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক কম। ফলে বাজারে কমেছে রড বেচা-কেনা। রডের দামের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা দেখা গেছে। বিভিন্ন কারখানার রড বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাইকারি ও খুচরা বাজারেও দামের ভিন্নতা দেখা গেছে। রডের পাইকারি, খুচরা ব্যবসায়ী এবং নির্মাণ শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর মানুষ বাড়িঘর নির্মাণ কম করছেন। আর বহুতল ভবন নতুন করে গড়ে ওঠা আশংকাজনক হারে কমে গেছে। যেগুলোর নির্মাণ কাজ অব্যাহত ছিল কেবল সেগুলোর কাজ চলছে।
ভোগড়া বাসন সড়ক এলাকার রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী জামাল হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর রড বিক্রি কম। আগে প্রতিদিন ৫-৭ টন রড বিক্রি হতো। এ বছর তিন দিনেও ৫ টন রড বিক্রি করতে পারিনি। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন জানান, দেশে এবার রডের উৎপাদন বেশি হওয়ায় রডের দাম কম। আবার ডলারের দাম বাড়লে রডের দামও বেড়ে যায়। ডলারের দামের সঙ্গে স্ক্রাবের দাম হ্রাসবৃদ্ধি হয়। জাহাজভাঙা স্ক্রাব থেকে যেহেতু রড উৎপাদন হয়, সেহেতু ডলারের সঙ্গে রডের দাম জড়িত। এছাড়া নির্মাণ কাজ কমে যাওয়ায় রডের বাজারে বেচাকেনা কম হচ্ছে। ভোগড়া এলাকার অপর ব্যবসায়ী এমারত হোসেন জানান, এলাকায় এখন আগের মতো বাড়িঘর নির্মাণ করা হচ্ছে না। যার কারণে রড-সিমেন্টের বিক্রিও কম।
গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার রড ব্যবসায়ী শাকিল এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান জানান, বাজারে বিভিন্ন ধরনের রড রয়েছে। দামের ক্ষেত্রেও রয়েছে ভিন্নতা। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রডের দাম নির্ধারণ হয়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রডের কারখানাগুলোতে বিভিন্ন গ্রেডের রড বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়ে থাকে। আবার একই গ্রেডের রডের দামের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা রয়েছে। রডের বাজার প্রতিদিন ওঠানামা করে। গত বছরের তুলনায় রডের দাম খুব বেশি হ্রাসবৃদ্ধি হয়নি।
গাজীপুরের কয়েকটি রডের দোকান ঘুরে জানা গেছে, বিএসআরএম প্রতিটন ৯০ হাজার টাকা, একেএস ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা, আরআরএম ৮২ হাজার ৫০০ টাকা, এসএসআরএম ৮৫০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য কোম্পানির রড ৮৪ হাজার ৮৫ থেকে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাইকারি ও খুচরা দোকানে দামের ক্ষেত্রে কেজিতে এক টাকা থেকে ৫০ পয়সা পর্যন্ত কম বেশি হয়ে থাকে।
ডেভেলপার কোম্পানি আমান্তা প্রপার্টিজের পরিচালক রমজান হোসেন বলেন, এ বছর ফ্ল্যাট বেচা-কেনা অনেক কম। তাই নতুন করে ভবন ও ফ্ল্যাট তৈরি হচ্ছে না। এছাড়া অনেক কোম্পানি সুদিনের আশায় হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে।
বিল্ডিং নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার মো. মোস্তফা বলেন, শুকনো মৌসুমে অন্যান্য বছর যেভাবে কাজ হতো এ বছর তা হচ্ছে না। খুব প্রয়োজন না থাকলে কেউ বাড়ি নির্মাণ করছেন না। এজন্য রডসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন। কাজ না থাকায় অনেক নির্মাণ শ্রমিক অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছেন।
নির্মাণ শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, আগে এ মৌসুমে কাজ করে শেষ করতে পারতাম না। এখন সপ্তাহে দুই-তিন দিন কাজ করি। কাজ না থাকলে টাকাও নেই। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। অনেকেই অটোরিকশা চালানোসহ ভিন্ন পেশা বেছে নিচ্ছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স