ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ , ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
দাবি আদায়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়িতে অবস্থান, স্থবির ডিএই ইউপিডিএফের আস্তানায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশে আরাকান আর্মির জলকেলি উৎসব নিয়ে তোলপাড় নকশা না মানা ঢাকার ৩৩৮২ ভবন ভাঙা হবে -রাজউক চেয়ারম্যান তিন স্তরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমছে ২০২৩ সালে কর ফাঁকি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বহুল প্রত্যাশিত বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় হচ্ছে ইউএসটিআর বৈঠকে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর প্রতিশ্রুতি দেবে ঢাকা কাতারের সঙ্গে শ্রমবাজার ও ভিসা ইস্যুতে আলোচনা হবে-পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মারা গেলেন পোপ ফ্রান্সিস হুমকির মুখে হাজার পোশাক কারখানা সংবাদপত্রের গুণগত মানোন্নয়নে টাস্কফোর্স গঠন করবে সরকার : তথ্য উপদেষ্টা শ্রীপুর থানার ওসির ঝুট ব্যবসায়ীর কাছে ঘুষ চাওয়ার অডিও ভাইরাল ঢাকা দখলের পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগ রামপুরায় বাসায় ঢুকে চারজনের হাত-পা বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতি আওয়ামী লীগকে ৯০ দিনের মধ্যে নিষিদ্ধের দাবি জানালো ৫ সংগঠন ঢাকাস্থ মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাহাদাৎ ও সম্পাদক সৈকত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি
সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদন

২০২৩ সালে কর ফাঁকি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা

  • আপলোড সময় : ২২-০৪-২০২৫ ০১:০১:৩৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৪-২০২৫ ০১:০১:৩৭ অপরাহ্ন
২০২৩ সালে কর ফাঁকি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা
কর ফাঁকির কারণে ২০২৩ সালে (২০২২-২৩ অর্থবছর) আনুমানিক ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালে কর ফাঁকির এই পরিমাণ ছিল ৯৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত ১১ বছরে দেশে কর ফাঁকির পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে করপোরেট আয়কর সংস্কার ও কর ন্যায্যতার দৃষ্টিকোণ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়। সিপিডির গবেষণায় উঠে এসেছে, একদিকে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে অনেক প্রতিষ্ঠান কর দিতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন। গবেষণায় অংশ নেয়া ৪৫ শতাংশ কোম্পানি জানিয়েছে, করপোরেট কর দেয়ার সময় কর কর্মকর্তারা ঘুষ চেয়েছেন। এ ছাড়া বিদ্যমান কর হার অন্যায্য বলে দাবি করেছে ৮২ শতাংশ কোম্পানি। সংবাদ ব্রিফিংয়ে আলোচনা করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী তামিম আহমেদ। করপোরেট আয়কর নিয়ে গবেষণার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়-এমন মোট ১২৩টি কোম্পানির তথ্য নিয়েছে সিপিডি। এ ছাড়া তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক, তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও চামড়া-এই পাঁচটি খাতের ব্যবসায়ী নেতাদের মতামত নেয়া হয়েছে। জরিপটি পরিচালিত হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। সিপিডির মতে, ২০২৩ সালে আনুমানিক ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা কর ফাঁকি হয়েছে। এর মধ্যে করপোরেট কর ফাঁকির পরিমাণই অর্ধেক বা ৫০ শতাংশ; সেই হিসাবে ২০২৩ সালে আনুমানিক ১ লাখ ১৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা করপোরেট কর ফাঁকি দেয়া হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১১ সালের পর থেকে দেশে কর ফাঁকি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১২ সালে কর ফাঁকির পরিমাণ ছিল ৯৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা-২০১৫ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকায়। সিপিডি বলছে, উচ্চ করহার, দুর্বল নজরদারি, জটিল আইন-কানুন ও কর ব্যবস্থায় ব্যাপক দুর্নীতি কর ফাঁকির মূল কারণ। প্রতিবেদনে বলা হয়, কর ন্যায্যতার দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপক কর ফাঁকি সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে এবং আইনের প্রতি অনুগত নাগরিকদের ওপর করের বোঝা বাড়িয়ে দেয়। খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় থাকা বাংলাদেশের জন্য এই পরিস্থিতি বড় চ্যালেঞ্জ। এলডিসি উত্তরণের পর বহুজাতিক কোম্পানির বিনিয়োগ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে কর ফাঁকি ও কর পরিহারের ঝুঁকিও বাড়বে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সিপিডি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর ব্যবস্থার ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন ও নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ করেছে। খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, কর ফাঁকি ছাড়াও প্রণোদনা ও কর ছাড়ের কারণে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে। বিনিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন খাত ভিত্তিক কর ছাড় দেয়া হচ্ছে। এগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করা উচিত। প্রণোদনা বা কর ছাড় বিনিয়োগের ভিত্তি হতে পারে না বলে তার মত। বাংলাদেশের প্রণোদনা কাঠামো পরিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় তৈরি বলে অভিযোগ করেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তার মত, এই কাঠামো থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, কর ফাঁকি ছাড়াও প্রণোদনা ও কর ছাড়ের কারণে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে। বিনিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন খাত ভিত্তিক কর ছাড় দেয়া হচ্ছে। এগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করা উচিত। প্রণোদনা বা কর ছাড় বিনিয়োগের ভিত্তি হতে পারে না বলে তার মত। বাংলাদেশের প্রণোদনা কাঠামো পরিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় তৈরি বলে অভিযোগ করেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তার মত, এই কাঠামো থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স