ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন মৎস্য ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ সিলেটে পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে ১৫০০-২০০০ ব্যক্তি বাংলাভাষী লোকজনকে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করতে দেব না- মমতা রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই-জোনায়েদ সাকি ইসির রোডম্যাপে খুশি বিএনপি-মির্জা ফখরুল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেসির জোড়া গোলে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে বিদায় নিলো ম্যানইউ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন হামজা ‘মুসলিম হওয়ার কারণে অনেকে আমাকে টার্গেট করেন’ ভারতের ২৬ বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ দেখছেন না শ্রীকান্ত নতুন ক্যাটাগোরিতে বেতন কত কমল বাবর-রিজওয়ানের? বড় ব্যবধানে হারলো সাকিবের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স বাংলাদেশকে হারানো সহজ হবে না: স্কট এডওয়ার্ডস রাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩য় বারের মতো পুনর্বিন্যস্ত পিছিয়েছে ভোট জকসু নির্বাচনে বয়সসীমা থাকছে না
কোটা সংস্কার আন্দোলন

পুলিশ সদস্য হত্যার জবানবন্দি নেয়া হয়েছিল অত্যাচার করে-আইন উপদেষ্টা

  • আপলোড সময় : ২১-০৪-২০২৫ ০৪:৩০:১৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৪-২০২৫ ০৪:৩০:১৭ অপরাহ্ন
পুলিশ সদস্য হত্যার জবানবন্দি নেয়া হয়েছিল অত্যাচার করে-আইন উপদেষ্টা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মাতুয়াইলে এক পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখার মামলায় যে দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, সেগুলো ‘অত্যাচার করে’ আদায় করা হয়েছে বলে বিশ্বাস করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সেসব জবানবন্দি এখনো কেন প্রত্যাহার করা হয়নি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা কিশোর হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের মুক্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা। গতকাল রোববার সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ বা সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ‘৫০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর তখনকার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশের আইজিপির সঙ্গে কথা বলে জুলাই আন্দোলনের মামলাগুলো যেন ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের জানানো হয়েছিল, সব মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, শুধু অল্প কিছু মামলা, যেগুলো হত্যা রিলেটেড, সেগুলো এখনো তদন্তাধীন। “ফাইয়াজের মামলাটা এরকম একটা মামলা যেখানে দুইজন আসামি ১৬৪ (ধারায়) স্টেটমেন্ট দিয়েছে; অর্থাৎ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আমি খবর নিয়ে জানলাম উনারা যদি স্টেটমেন্টটা প্রত্যাহার না করে, তাহলে ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া খুবই দুষ্কর। এবং এটা সম্পূর্ণভাবে পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। ফাইনাল রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই।” আইন উপদেষ্টা বলেন, “এ মামলায় দুইজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আছে। আমি বিশ্বাস করি পুলিশ সেগুলো অত্যাচার করে আদায় করেছিল। এগুলো আট মাসেও কেন প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হল না? আপনারা এগুলো কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করেন। সেটি আট মাসেও কেন প্রত্যাহার হয়নি সেটা সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবেন। এটা প্রত্যাহার হলে মামলাটি নিষ্পত্তির পথ সুগম হয়।” তিনি বলেন, হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের ভাইকে কোনো আশ্বাস দেয়া হয়নি। কেবল বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মাতুয়াইল হাসপাতালের বিপরীত পাশে এক পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখার মামলায় ১৭ জন আসামির মধ্যে ১৬ নম্বর আসামি ফাইয়াজ। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ফাইয়াজের বয়স তখনো ১৮ হয়নি বলে তার আইনজীবীর ভাষ্য। জন্ম নিবন্ধন অনুসারে ফাইয়াজের জন্ম তারিখ ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল। ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সে ঢাকার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ প্লাস পায়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স