ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
লক্ষীপুরের কামানখোলা জমিদার বাড়িকালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে ভাঙ্গায় আসন বিন্যাস নিয়ে উত্তেজনা, থানায় হামলা–অগ্নিসংযোগ ওরিয়েন্টেশনে চমক দেখালো ডিএমআরসি গাংগুরিয়া ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও শুভ উদ্বোধনী ক্লাস অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য এনআইডি কার্যক্রম শুরু ইসির যমুনা ও সচিবালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি গণঅধিকার পরিষদের মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ১১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, আসামি ৩১ জন টানা ১৪ দিনের দীর্ঘ ছুটি আসছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন টেলিকম নীতিমালা ঝুঁকিপূর্ণ রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ে বাড়ছে অপরাধ দেড় শতাধিক সাবেক আমলাকে খুঁজছেন গোয়েন্দারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিপুল টাকার আর্থিক অনিয়ম সোনা চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ছে বিমানের ক্রুরা ডাকসু-জাকসুতে নির্দিষ্ট সংগঠনকে জালিয়াতি করে জয়ী করেছে কর্তৃপক্ষ-রিজভী কারাবন্দিদের সাজার মেয়াদ কমবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ দোহায় আরব-মুসলিম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাপা ও ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি মামুনুল হকের খিলগাঁওয়ে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত বিয়েতে বাধা দেওয়ায় প্রেমিকাকে খুন, গ্রেফতার ৩

যুদ্ধে অংশ নেয়া আশুগঞ্জের আকরাম যেভাবে রাশিয়া গেলেন

  • আপলোড সময় : ২১-০৪-২০২৫ ০৩:০৩:৩৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৪-২০২৫ ০৩:০৩:৩৩ অপরাহ্ন
যুদ্ধে অংশ নেয়া আশুগঞ্জের আকরাম যেভাবে রাশিয়া গেলেন
রুশ বাহিনীর হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার এক তরুণের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার এক সহযোদ্ধা মুঠোফোনে পরিবারকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সহযোদ্ধার বরাত দিয়ে ওই যুবকের পরিবার জানিয়েছে, যে স্থানে সে নিহত হয়েছে, সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। জানা যায়, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন হোসেনপুর গ্রামের মো. মোরশেদ মিয়ার ছেলে মো. আকরাম হোসেন। আকরামের এক সহযোদ্ধার ফোনে এ খবর জানার পর গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিহতের স্বজনদের মাঝে চলছে মাতম। তারা নিহতের লাশ ফেরত, আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন। তাদের দাবি, আর কোনো বাবা-মার বুক যেন এভাবে কেউ খালি করতে না পারে, সে পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মো. আকরাম হোসেন কীভাবে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন সে বিষয়ে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবারের খরচে নরসিংদীর একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ওয়েল্ডারের কাজ শেখেন ২৫ বছর বয়সী আকরাম। পরে স্বজনের কাছ থেকে ঋণ করে প্রায় ৯ মাস আগে আকরামকে রাশিয়া পাঠান তার বাবা মোরশেদ মিয়া। মোরশেদ মিয়া বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, কৃষি কাজ করি। ছেলেকে ভালো ওয়েল্ডিংয়ের কাজ শিখিয়ে বিদেশ পাঠাইতে চাইছি, শিখছেও। পরে চায়না কোম্পানিতে জয়েন করার কথা। রাশিয়ায় যাওয়ার পর চায়না কোম্পানিতে চার মাস আমার পুতে কাজ করছে। সেখানে ওয়েল্ডার হিসেবে গেছে। কিন্তু ওয়েল্ডার হিসেবে না দিয়া তাকে হেলপার হিসাবে ছয়শো টাকা বেতনে কাজ দেওয়া হয়েছে।’ পরিবারের দাবি, যে চার মাস রাশিয়ায় চীনা একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন আকরাম, সেখান থেকে নিয়মিত বেতনভাতা দেওয়া হতো না। খাওয়া নিয়েও ছিল সংকট। নিহত আকরামের বাবা জানান, মূলত ওয়েল্ডার হিসেবে যাওয়ার পর সহযোগী হিসেবে কাজ করতে দেওয়া এবং বেতন কম দেওয়ার কারণে ওই চাকরিতে অনীহা তৈরি হয় তার। তিনি বলেন, ‘ঠান্ডা ও বরফের মধ্যে কাজ করতে দেওয়া হতো। ঠিকমতো বেতন দিতো না, ভাত দিতো না, রাশিয়ান খাবার দিতো।’ রাশিয়ায় চীনা কোম্পানিতে কাজ করার পর সেখানকার একটি গ্রুপের সঙ্গে আকরামের পরিচয় হয় বলে তার বাবা মোরশেদ মিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘ওই গ্রুপের একজন লোক আকরামসহ সাতজন বাঙালি ছেলেকে রাশিয়ার মস্কো নিয়ে যায়। সেখানকার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কিছুদিন ট্রেনিংও দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদেরকে যুদ্ধের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ইউক্রেন।’ আকরামের বাবা আরও বলেন, ‘আমি যখন জানতে পারলাম, ছেলেরে জিগাইলাম কেমনে কী গেলি ইউক্রেন? তখন ছেলে আমারে জানাইলো আমারে এদেশের নাগরিকত্ব দিবে এবং দুই বিলিয়ন টাকাও দিবে রাশিয়া সরকার। আমার ছেলেডারে লোভ-লালসা দেখাইয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে নিয়া গেছে দালাল চক্র।’ গত দুই মাসে বেশ কিছুদিন পরপর অল্প সময়ের জন্য পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন আকরাম। তখন সেখানকার ভীতিকর পরিবেশে থাকা ও যুদ্ধের সেই অভিজ্ঞতার কথাও পরিবারকে জানাতেন তিনি। এ সময় যুদ্ধের পোশাক পরা নিজের কিছু ছবিও পরিবারের কাছে পাঠান তিনি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স