ঢাকা , সোমবার, ১২ মে ২০২৫ , ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সাতাশ পর্যন্ত টাইগারদের দায়িত্ব পাচ্ছেন টেইট ক্ষমা চাইলেন রিশাদ হোসেন টেস্ট থেকে অবসর নিলেন বিরাট কোহলি কোহলির পর অবসরের ইঙ্গিত দিলেন রোহিত আইপিএল শুরু হলেও ফিরছেন না অষ্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা রিয়ালের সাথে জয় পেলো বার্সা ইয়ামালের প্রশংসায় ফ্লিক ওয়েস্টহ্যামের কাছে হারের স্বাদ পেলো ম্যানইউ অভিযোগ-দুর্নীতির তথ্য জানাতে নতুন ব্যবস্থা সহযোগী শাহরিয়ার বিপ্লব এখনও অধরা রংপুরে ২৯ হাজার গ্রাহকের ১২১ কোটি টাকা লোপাট জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিল দাবি গণঅধিকার পরিষদের নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে অনেক সময় লাগবে-আসিফ নজরুল পুঁজিবাজার পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার পাঁচ নির্দেশনা অনলাইনেও নিষিদ্ধ হচ্ছে আ’লীগ, বন্ধ সব পেজ ৭৮ জনকে পুশইন ভারতের নৌবাহিনীর আওয়ামী লীগকে স্থায়ী নিষিদ্ধসহ ৩ দাবি তীব্র তাপদাহে দুর্বিষহ জনজীবন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আমরা আনন্দিত-ফখরুল একদিনে বজ্রপাতে শিশুসহ প্রাণ গেলো ১০ জনের

যুদ্ধে অংশ নেয়া আশুগঞ্জের আকরাম যেভাবে রাশিয়া গেলেন

  • আপলোড সময় : ২১-০৪-২০২৫ ০৩:০৩:৩৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৪-২০২৫ ০৩:০৩:৩৩ অপরাহ্ন
যুদ্ধে অংশ নেয়া আশুগঞ্জের আকরাম যেভাবে রাশিয়া গেলেন
রুশ বাহিনীর হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার এক তরুণের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার এক সহযোদ্ধা মুঠোফোনে পরিবারকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সহযোদ্ধার বরাত দিয়ে ওই যুবকের পরিবার জানিয়েছে, যে স্থানে সে নিহত হয়েছে, সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। জানা যায়, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন হোসেনপুর গ্রামের মো. মোরশেদ মিয়ার ছেলে মো. আকরাম হোসেন। আকরামের এক সহযোদ্ধার ফোনে এ খবর জানার পর গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিহতের স্বজনদের মাঝে চলছে মাতম। তারা নিহতের লাশ ফেরত, আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন। তাদের দাবি, আর কোনো বাবা-মার বুক যেন এভাবে কেউ খালি করতে না পারে, সে পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মো. আকরাম হোসেন কীভাবে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন সে বিষয়ে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবারের খরচে নরসিংদীর একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ওয়েল্ডারের কাজ শেখেন ২৫ বছর বয়সী আকরাম। পরে স্বজনের কাছ থেকে ঋণ করে প্রায় ৯ মাস আগে আকরামকে রাশিয়া পাঠান তার বাবা মোরশেদ মিয়া। মোরশেদ মিয়া বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, কৃষি কাজ করি। ছেলেকে ভালো ওয়েল্ডিংয়ের কাজ শিখিয়ে বিদেশ পাঠাইতে চাইছি, শিখছেও। পরে চায়না কোম্পানিতে জয়েন করার কথা। রাশিয়ায় যাওয়ার পর চায়না কোম্পানিতে চার মাস আমার পুতে কাজ করছে। সেখানে ওয়েল্ডার হিসেবে গেছে। কিন্তু ওয়েল্ডার হিসেবে না দিয়া তাকে হেলপার হিসাবে ছয়শো টাকা বেতনে কাজ দেওয়া হয়েছে।’ পরিবারের দাবি, যে চার মাস রাশিয়ায় চীনা একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন আকরাম, সেখান থেকে নিয়মিত বেতনভাতা দেওয়া হতো না। খাওয়া নিয়েও ছিল সংকট। নিহত আকরামের বাবা জানান, মূলত ওয়েল্ডার হিসেবে যাওয়ার পর সহযোগী হিসেবে কাজ করতে দেওয়া এবং বেতন কম দেওয়ার কারণে ওই চাকরিতে অনীহা তৈরি হয় তার। তিনি বলেন, ‘ঠান্ডা ও বরফের মধ্যে কাজ করতে দেওয়া হতো। ঠিকমতো বেতন দিতো না, ভাত দিতো না, রাশিয়ান খাবার দিতো।’ রাশিয়ায় চীনা কোম্পানিতে কাজ করার পর সেখানকার একটি গ্রুপের সঙ্গে আকরামের পরিচয় হয় বলে তার বাবা মোরশেদ মিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘ওই গ্রুপের একজন লোক আকরামসহ সাতজন বাঙালি ছেলেকে রাশিয়ার মস্কো নিয়ে যায়। সেখানকার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কিছুদিন ট্রেনিংও দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদেরকে যুদ্ধের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ইউক্রেন।’ আকরামের বাবা আরও বলেন, ‘আমি যখন জানতে পারলাম, ছেলেরে জিগাইলাম কেমনে কী গেলি ইউক্রেন? তখন ছেলে আমারে জানাইলো আমারে এদেশের নাগরিকত্ব দিবে এবং দুই বিলিয়ন টাকাও দিবে রাশিয়া সরকার। আমার ছেলেডারে লোভ-লালসা দেখাইয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে নিয়া গেছে দালাল চক্র।’ গত দুই মাসে বেশ কিছুদিন পরপর অল্প সময়ের জন্য পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন আকরাম। তখন সেখানকার ভীতিকর পরিবেশে থাকা ও যুদ্ধের সেই অভিজ্ঞতার কথাও পরিবারকে জানাতেন তিনি। এ সময় যুদ্ধের পোশাক পরা নিজের কিছু ছবিও পরিবারের কাছে পাঠান তিনি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স