ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নাম তার মৈশানি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে ব্যাটারিচালিত রিকশায় জরুরি অবস্থা ঘোষণায় মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগবে তারাকান্দায় ব্যক্তি মালিকানায় জমির উপর দিয়ে সরকারি রাস্তার প্রকল্প মামলা প্রত্যাহার না হলে বিএনপির সংবাদ বর্জনের হুঁশিয়ারি সংবাদিকদের সরকার সর্বক্ষেত্রেই ধারাবাহিক ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছে যশোর ক্ষণিকা পিকনিক কর্নারে বছরে কোটি টাকা লুটপাট ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২০ দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে- আমীর খসরু অস্ত্র মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে চার্জশিট যশোরে দুই কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ আটক ৩ বাউল সংগীতে হৃদয় ছোঁয়া কণ্ঠস্বর রফিক সরকারের সার মজুতে বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি ভাঙনের কবলে উপকূলবাসী লাল চাঁদ হত্যার বিচারে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি- মির্জা ফখরুল শ্যামলীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই খুলে নিয়ে গেলো জামা-জুতাও অদৃশ্য শত্রু ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে- তারেক রহমান দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ডাকসুর প্যানেল নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর লুকোচুরি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা

কাস্টমস্ কর্মকর্তার অঢেল সম্পদ!

  • আপলোড সময় : ১০-০৪-২০২৫ ১২:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৪-২০২৫ ১২:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
কাস্টমস্ কর্মকর্তার অঢেল সম্পদ!
যশোর থেকে শেখ দিনু আহমেদ
কাস্টমস্ এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ কুমিল্লায় পরিদর্শক পদে কর্মরত বেলায়েত হোসেন বিলুর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে যশোর শহরের বকচর এলাকায় ১০ শতক জমি ক্রয় করে সেখানে বিশাল দুটি আলীশান বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমান বাজারে ওই জমির প্রতি শতকের মূল্য সর্বনিম্ন ১৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ ১০ শতক জমির মোট মূল্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুটি জমির ১টিতে ৪ তলা ভবন এবং অপর জমিতে ১টি ১ তলা ভবন তিনি নির্মাণ করেছেন। বর্তমান বাজার অনুযায়ী এ ভবন দুটি নির্মাণ করতে অনুমান ৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। যা তার বৈধ আয়ের সাথে ব্যয়ের কোনো সামঞ্জস্যতা নেই। অর্থাৎ আয়বহির্ভূত অবৈধ অর্থে তিনি এসব সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এছাড়া ঢাকা উত্তরায় ১টি ফ্ল্যাট এবং নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাড়িতে তিনি নামে-বেনামে আরও অনেক সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এছাড়া তার স্ত্রী মালা বেগমের নামে ব্যাংকে রয়েছে অনেক টাকা। দুদক তদন্ত করলে এ তথ্যের সত্যতা মিলবে। কাস্টমস্ পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বিলুর একজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বেলায়েত হোসেন বিলু যশোরে এক সময় সিপাহী পদে চাকরি করতেন। বছর খানেক আগে তিনি পদোন্নতি পেয়ে পরিদর্শক হিসেবে কুমিল্লা কাস্টমস্ এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগে যোগদান করেন।
এদিকে দুদকের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি সুকৌশলে এসব সম্পদ স্ত্রীর নামে খরিদ করেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। কাস্টমস্ পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বিলু দীর্ঘদিন সিপাহী পদে চাকরি করলেও কাস্টমস্ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে তিনি বদলি হয়ে দু’হাতে অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন বড় অংকের টাকা। এই অবৈধ অর্থে তিনি আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে কাস্টমস্ বিভাগের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এব্যাপারে কাস্টমস্ পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বিলুর বক্তব্য গ্রহণের জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে তার স্ত্রী মালা বেগম জানান, এসব সম্পদ আমার নামে। আর স্বামীর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। কাজেই কোনো কথা থাকলে আমার সাথে বলেন। এক পর্যায়ে তিনি এ প্রতিবেদককে একজন ব্যক্তির মাধ্যমে ঘুষ দেয়ারও চেষ্টা করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুর্নীতিবাজ কাস্টমস্ পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বিলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে বলে তারা মন্তব্য করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ