ঢাকা , রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
৮ম দিনে এসেছে ১০২ নতুন বই শিক্ষাখাতে বিশৃঙ্খলা দিশেহারা সরকার শিক্ষাখাতে বিশৃঙ্খলা দিশেহারা সরকার বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের রায় প্রকাশ ধানমন্ডি-৩২ সহ দেশব্যাপী ভাঙচুর ও সহিংসতায় উদ্বেগ টিআইবির প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে দেশের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরবে বিএনপি বাজারে চাল ও তেল নিয়ে অস্থিরতা কাটছে না উল্টো পথে অটোরিকশা বাসের ধাক্কায় নিহত ৩ আওয়ামীপন্থী ১৪৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা বিবিসি বাংলা নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন প্রেস সচিব শেখ হাসিনার পরিবারের সম্পত্তি ধ্বংস ও ব্যক্তি আক্রমণ থেকে বিরত থাকুন-প্রধান উপদেষ্টা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান কারানির্যাতিত প্রবাসীরা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ শাহবাগে জলকামানে মিছিল ছত্রভঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ পরিকল্পনা কমিশন সংস্কারে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৭ সুপারিশ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাওন ও সাবাকে ছেড়ে দিলো পুলিশ নিষিদ্ধ হচ্ছে আ’লীগ! ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ
তৈরি করা হচ্ছে নতুন বিধিমালা

রফতানি হবে দেশের বালু-মাটি

  • আপলোড সময় : ১৭-০৫-২০২৪ ১২:৫০:০৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৫-২০২৪ ১২:৫০:০৩ অপরাহ্ন
রফতানি হবে দেশের বালু-মাটি রফতানি হবে দেশের বালু-মাটি
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে বালু-মাটি রফতানির সুযোগ রাখা হলেও প্রক্রিয়া নির্ধারিত ছিল নাবালু ও মাটি রফতানির প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে নতুন বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২৪এর খসড়া করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়খসড়া অনুযায়ী নানান প্রক্রিয়া অনুসরণের পর বালু বা মাটি রফতানির চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন প্রধানমন্ত্রীখসড়া বিধিমালাটি চূড়ান্ত করতে সংশ্লিষ্টদের মতামত নিচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বালু ও মাটি রফতানির সম্ভাবনা রয়েছেবিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে রফতানির বিষয়টি আছেকিন্তু কী পদ্ধতিতে রফতানি হবে সেটি নির্ধারিত ছিল নাবলা ছিল বিধিমালা দিয়ে তা নির্ধারিত হবেকিন্তু ২০১১ সালে আইনের অধীনে করা বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালাতেও তা ছিল নাএখন নতুন বিধিমালায় সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা
ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (সায়রাত) দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বর বলেন, নতুন বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালার খসড়া করা হয়েছেসংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে সেটি চূড়ান্ত হবেএতে নতুন কিছু বিষয় থাকছেএটি বেশ বিস্তারিত বিধিমালাতবে কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত নয়পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ দেশের প্রধান নদীগুলোতে নাব্য সংকট রয়েছেবালুর চরে হারিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথপ্রতি বছর খননের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলো সচল রাখতে হচ্ছেএক্ষেত্রে নদীগুলোর অতিরিক্ত বালু রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছেবিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে আগ্রহও দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরাভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বিগত সময়ে সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে বালু আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছেকিন্তু সরকারের পক্ষ থেকেও কিছু পদক্ষেপ ছিলপরে আর সেই উদ্যোগগুলো আলোর মুখ দেখেনি
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, বিভিন্ন দেশে আমাদের বালুর চাহিদা আছেসব দিক বিবেচনা করে আমাদের জন্য সুবিধাজনক হলে আমরা বালু বা মাটি রফতানি করতে পারিতিনি বলেন, আমাদের কাছে বিধিমালার খসড়াটা এলে প্রয়োজনীয় মতামত দেবোরফতানির প্রক্রিয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও যুক্ত থাকবেখসড়া বিধিমালায় বালু বা মাটি রফতানির বিষয়ে বলা হয়েছে, সরকারের সময় সময় প্রণীত রফতানি নীতি ও আদেশে বালু ও মাটি রফতানির বিধান থাকা সাপেক্ষে বাংলাদেশ থেকে বালু বা মাটি বিদেশে রফতানির কেস টু কেস প্রস্তাবের বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় এই বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেএতে বলা হয়, নদীর কোনো ডুবোচর বা চর যেখানে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ অনুযায়ী উত্তোলনযোগ্য বালু বা মাটি আছে, ওই স্থান থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করলে পরিবেশ বা প্রতিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না বা নদী ভাঙনের শিকার হবে না বা নদীর গতিপথের পরিবর্তন হবে না বা সরকারি কোনো স্থাপনার ক্ষতি হবে না, এ বিষয়ে বন পরিবেশ ও জলবায়ু  পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার ইতিবাচক মতামত থাকলে, কেবল সেই স্থান থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করে বিদেশে রফতানির জন্য আবেদন করতে পারবেবালু বা মাটি রফতানি করতে আগ্রহী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশের আমদানি রফতানি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরে নির্ধারিত ফরমে দাখিল করা আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে ভূমি মন্ত্রণালয় কেবল সে ক্ষেত্রেই পদক্ষেপ নেবে বলে বিধিমালায় বলা হয়েছেআবেদন পাওয়ার পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগ তা প্রাথমিকভাবে যাচাইবাছাই করে আবেদনটি যথাযথ হলে পরীক্ষা করে সুপারিশ ও মতামত দিতে তা সুপারিশ প্রেরণ কমিটির কাছে উপস্থাপন করবেসুপারিশ প্রেরণ কমিটির সভাপতি হবেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অথবা যুগ্ম-সচিব (মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ)
সুপারিশ প্রেরণ কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পর ভূমি সচিবের সভাপতিত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রতিনিধির সমন্বয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় পর্যালোচনা করে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় বালু বা মাটি রপ্তানির প্রস্তাব কেস টু কেস পর্যালোচনা করে বাতিল করতে পারবে, কিংবা প্রয়োজনীয় মনে করলে রফতানি প্রস্তাব বিবেচনার জন্য জাতীয় কমিটিতে উপস্থাপনের সুপারিশ করতে পারবেবিধিমালায় আরও বলা হয়, উপস্থাপিত সুপারিশ ও প্রস্তাবিত বালু বা মাটির উৎস, রফতানির অনুকূল বা প্রতিকূল প্রভাব, প্রস্তাবিত বালু বা মাটির পরিমাণ, পরিমাপের একক ও একক ভিত্তিক মূল্য এবং রফতানি সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সম্যক পর্যালোচনার পর প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ করে জাতীয় কমিটি বালু বা মাটি রফতানির প্রস্তাব সরকার প্রধানের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ বা নামঞ্জুর করতে পারবে কিংবা কমিটির বিবেচনায় যুক্তিযুক্ত অন্য কোনো নির্দেশনা দিতে পারবেবালু বা মাটি রফতানির আবেদন বা প্রস্তাব প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ করে জাতীয় কমিটি অনুমোদনের সুপারিশ করার পর তা অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ সরকার প্রধানের কাছে পাঠাতে হবেপ্রাপ্ত আবেদন বা প্রস্তাব অনুমোদন বা বাতিল বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত ভূমি মন্ত্রণালয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানাবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে
ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বালু আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেনএরপর ওই বছরের ২৩ নভেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে বালু রফতানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়পরের বছরের ২৯ মে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ নাসিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তখনকার ভূমিমন্ত্রী মো. রেজাউল করিম হীরা জানিয়েছিলেন, মালদ্বীপের বিশেষজ্ঞ দল এসে পর্যবেক্ষণ করে কোন মানের ও কী পরিমাণ বালু আমদানি করবে তা ভূমি মন্ত্রণালয়কে জানাবেমালদ্বীপের চাহিদা জানানোর পর আমরা আমাদের মতামত জানাবোএরপরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রফতানির কাজ সম্পন্ন করা হবেসর্বশেষ ২০১৭ সালের ৭ মার্চ জাতীয় বালু মহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যমুনার বালু মালদ্বীপ ও সিঙ্গাপুরে রফতানি করা হবেএ দুই দেশে রফতানির জন্য উত্তোলিত বালু প্রতি ঘনফুটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক টাকাতখনকার ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের সভাপতিত্বে ওই সভায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেনএ উদ্যোগগুলো পরে আরও বাস্তবায়িত হয়নি
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স