ঢাকা , শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ , ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি পেল ১৩৩ প্রতিষ্ঠান শাস্তির আওতায় আসছে বিপুলসংখ্যক চালকল পিছিয়ে পড়েও জয়ের দেখা পেলো মিয়ামি প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের সাথে জয় পেলো বার্সা হামজার হোম অভিষেকের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ঢাকা স্টেডিয়াম অবশেষে সেঞ্চুরির আক্ষেপ ঘুচলো জ্যোতির আজ মাঠে গড়াচ্ছে পিএসএল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে ইনজুরির ধাক্কা প্রোটিয়া শিবিরে অবশেষে অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট ফিক্সিং অভিযোগে তদন্ত শুরু করলো বিসিবি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন উন্মুক্ত বৈশাখের আয়োজন থেকে ‘মঙ্গল’ শব্দ বাদ দিতে হবে-ইসলামী আন্দোলন আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়ে ঐকমত্য হেফাজত-এনসিপি পদত্যাগ করে দলের দায়িত্ব নিন-প্রধান উপদেষ্টাকে দুদু প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ১৬ এপ্রিল ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতেও প্রভাব দেখছে এডিবি মুজিববর্ষ-ম্যুরাল নির্মাণ : হাসিনা-রেহানাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের ভারতের ভেতর দিয়ে নেপাল-ভুটানে রফতানি করতে পারবে বাংলাদেশ-রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সামনের দিনে আরও বাড়বে -মনোজ কুমার ফসলের উৎপাদন খরচ খুঁজতে ভ্রমণ ব্যয়ই ১০ কোটি টাকা

জোটের মধ্যে ফাটল ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ

  • আপলোড সময় : ০৬-০৪-২০২৫ ০২:৫৯:৩০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৪-২০২৫ ০২:৫৯:৩০ অপরাহ্ন
জোটের মধ্যে ফাটল ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ
ইউরোপ ও আমেরিকার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করছে বাংলাদেশ। জোটে ফাটল ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে সমঝোতা ছিল, সেটিকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে নতুন ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছেন ট্রাম্প। বাণিজ্যের ওপর শুল্ক আরোপ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ইউরোপের নিরাপত্তা বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভিন্ন অবস্থানের প্রভাব সারা বিশ্বে অনুভূত এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। নতুন এই প্রেক্ষাপটে গোটা বিষয়টির ওপর নজর রাখছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ইউরোপ ও আমেরিকা এখন আর এক জায়গায় নেই। বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তারা বিভক্ত। বাংলাদেশের জন্য ইউরোপ ও আমেরিকা উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, আগে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা হলে সেটি ইউরোপের জন্য প্রযোজ্য হতো। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ-রাশিয়া ভারসাম্য রক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্প্রসারণ ঠেকানোর জন্য নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো) গঠন করা হয়। প্রথম থেকেই এর নেতৃত্বে ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য অনেক অর্থনৈতিক বিনিয়োগও করেছে দেশটি। ইউরোপকে বাণিজ্য সুবিধাও দিতো যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে লেনদেন-ভিত্তিক পররাষ্ট্র নীতির প্রতি ঝুঁকে পড়ার কারণে গোটা ব্যবস্থাটি ভেঙ্গে পড়েছে। একদিকে ইউরোপের বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক বসাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আরও অধিক অর্থ ব্যয় করার জন্য চাপ দিচ্ছে ইউরোপকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার যে উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্র নিয়েছে, সেটিতে ইউরোপের সম্পৃক্ততা নেই। এর মানে হচ্ছে ইউরোপের ভাগ্যে কী হবে, সেটি নির্ধারণ করা হচ্ছে ইউরোপকে ছাড়াই। স্বাভাবিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের এই মনোভাবকে ভালো চোখে দেখছে না ইউরোপ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ উভয়ই জাতিসংঘে পৃথক রেজ্যুলেশন প্রস্তাব করে। যুক্তরাষ্ট্রের রেজ্যুলেশনে বাংলাদেশ ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলেও ইউরোপের রেজুলেশনে ভোট দানে বিরত ছিল বাংলাদেশ। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ উভয়ই বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তাদের রেজ্যুলেশনের জন্য। বাংলাদেশ সবদিক বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের রেজ্যুলেশনে হ্যাঁ ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আগে ইউরোপ ও আমেরিকার অবস্থান একই রকম থাকতো এবং এই কারণে তাদের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার বিষয় ছিল না। কিন্তু এখন বিভিন্ন বিষয়ে মতদ্বৈধতা থাকার কারণে বাংলাদেশকে ভারসাম্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমরা ইউরোপের রেজ্যুলেশনে কেন ভোট দানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেটি আমরা তাদের ব্যাখ্যা করেছি। ইউরোপ আমাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে বাংলাদেশের কাছে আমেরিকা ও ইউরোপের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার ছাড়াও ওই দুটি অঞ্চল থেকে প্রচুর বিনিয়োগ ও উন্নয়ন সহযোগিতা পেয়ে থাকে বাংলাদেশ। এছাড়া উন্নত জীবনের আশায় অনেক বাংলাদেশি ওই অঞ্চলে অবস্থান করে। এ বিষয়ে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ইলন মাস্কসহ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি হয়নি যে একপক্ষকে সমর্থন দিলে অন্যপক্ষ বিগড়ে যাবে। আমরা সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। গোটা বিষয়টি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে নেই এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি জানান।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স