ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫ , ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে কি না, পুনর্বিবেচনা করবে বিএনপি শাহবাগ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অবরোধ ছাত্রদলের আন্দোলন স্থগিত করেছেন ইশরাক পদত্যাগ করলেন কুয়েটের উপাচার্য অটোপাস দেয়া হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ ৫ সিদ্ধান্ত ঈদের আগেই আসছে নতুন নোট থাকছে না কোনো ব্যক্তির ছবি সাগরে রাষ্ট্রীয় তেল চুরি কুমিল্লা সীমান্তে ১৩ জনকে বিএসএফের পুশইন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা মানবিক করিডরের নামে দেশকে যুদ্ধে নিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়- দুদু টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতি জরুরিÑ পরিবেশ উপদেষ্টা হবিগঞ্জে দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত, মহাসড়ক অবরোধ ফ্যাসিস্টের দোসর কিবরিয়া হোসনে আরা বহাল তবিয়তে সারাদেশে একই দামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট জুলাই থেকে কার্যকর ডেঙ্গুতে একদিনে ৪৬ জন হাসপাতালে ভর্তি, করোনায় সংক্রমিত ৬ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি পোলট্রি খামারিরা দিশেহারা আবারও পিএসএল থেকে ক্রিকেটার নিলো আইপিএল উইন্ডিজের বিপক্ষে ইংলিশ দল থেকে ছিটকে গেলেন আর্চার ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন ক্যাবরেরা

ভৈরবের ত্রি-সেতুতে দর্শনার্থীদের ভিড়

  • আপলোড সময় : ০৪-০৪-২০২৫ ১১:২৮:১৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৪-২০২৫ ১১:২৮:১৯ অপরাহ্ন
ভৈরবের ত্রি-সেতুতে দর্শনার্থীদের ভিড়
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
ঈদের আনন্দে মেতেছে ভৈরবের মেঘনা নদীর ত্রি-সেতু প্রাঙ্গণ। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিবার নিয়ে ভিড় করছেন মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত বন্দর নগর ভৈরব উপজেলায় মেঘনা নদীর ওপর ত্রি-সেতুর এলাকায় মানুষের ঢল নামে। ঈদের প্রথম দিন থেকে ত্রি-সেতু এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে কেউ মোটরসাইকেল, অটোরিকশা বা কেউ মাইক্রোবাসে করে আসছেন। মেঘনা নদীর পাড়ে চলছে উল্লাস। সেতু এলাকায় বসেছে বিভিন্ন দোকানের পসরা। এছাড়া রয়েছে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য মেঘনা রিভার তরীসহ ছোট ছোট নৌকা।
দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আফরিন আক্তার মৌ বলেন, ঈদে ঢাকা থেকে আমার বোন বেড়াতে এসেছেন। তাকে নিয়ে ভৈরবের মেঘনার নদীর পাড়ে ঘুরতে এসেছি। ঢাকায়তো আর গ্রামীণ প্রকৃতি দেখার সুযোগ নেই। সে জন্য তাকে নিয়ে ভৈরবের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের জন্য এখানে এসেছি। অনেক ঘুরাঘুরি করেছি নদীতে নৌকা ভ্রমণ করেছি। বোনকে নিয়ে ফুচকা, চটপটি, মটকা চা খেয়েছি।
স্থানীয় একটি হাসপাতালে কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে চাকরি করেন মুনিয়া আক্তার। ঈদের ছুটিতে পরিবার ত্রি-সেতু এলাকায় বেড়াতে আসেন। তিনি বলেন, এটি ভৈরবের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র। এখানে মেঘনা নদীর ওপর একসঙ্গে তিনটি সেতু রয়েছে। এমন দৃশ্য দেখতে বিভিন্ন অঞ্চলের নানা বয়সের লোকজন দেখতে আসেন। আমিও দেখতে এসেছি। এখানে বাচ্চাদের জন্য রয়েছে দোলনা, নাগরদোলা, নৌকা, ট্রেন গাড়ি, স্লিপার কোচসহ বিভিন্ন রাইডস। নদীর পাড় ত্রি-সেতু এলাকায় বিকেল বেলায় সূর্যাস্ত দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় অনেক বেশি।
নেসকে বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিনিধি বলেন, ভৈরবের একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র ত্রি-সেতু এলাকা। এখানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রায়ই ঘুরতে আসি। আজকেও পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। মেঘনা নদী পাড়ে পাথরে বসে বিকেলের সময়টা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালো উপভোগ করা যায়। তবে সেতু এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে দর্শনার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়। যদি ত্রি-সেতু এলাকায় সন্ধ্যার পর আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার করা যায় তাহলে রাতে বেলায় মেঘনা নদীর পাড়ের মনোরম দৃশ্য দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন।
দেলোয়ার হোসেন সেখানে ৮ বছর ধরে ঝালমুড়ি বিক্রি করে আসছেন। তিনি বলেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে ঈদে ভৈরবের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র ত্রি-সেতু এলাকায় দর্শনার্থীরা পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন। এসময়ে আমাদের ঝালমুড়ি বিক্রি বেড়ে যায়। আগে যেখানে প্রতিদিন বিক্রি করতাম ৫-৭ হাজার টাকা এখন ২৫-৩০ হাজার টাকা ঝাল মুড়ি বিক্রি করতে পারি।
নদীর পাড় এলাকার বিখ্যাত মটকা চা বিক্রেতা মো. তানভীর বলেন, ভৈরবের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে মেঘনা নদীর ত্রি-সেতু এলাকায় পাশের নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী ঘুরতে আসছেন। ঈদ ছাড়াও এখানে প্রতিদিন দর্শনার্থীরা ঘুরতে আসেন। ঈদে দোকানে মটকা চা বিক্রি দ্বিগুণ বেড়েছে। আগে যেখানে প্রতিদিন ৭-৮ হাজার টাকা বিক্রি হতো এখন প্রতিদিন ৩৫-৪০ হাজার টাকা মটকা চা বিক্রি করছি।
সেখানে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্য মো. লিটন মিয়া বলেন, ঈদে মেঘনা নদীর পাড়ের সেতু এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা বেড়াতে আসছেন। তারা যেন পরিবার পরিজন নিয়ে নির্বিঘ্নে ঘোরাঘুরি করতে পারেন সেজন্য সর্বদা আমরা দায়িত্ব পালন করছি। নদীতে কিছু বখাটে নৌকা নিয়ে দর্শনার্থীদের নানাভাবে বিরক্ত করে থাকেন। তাদের আমরা নজরদারি রাখছি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য