ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ , ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জনদুর্ভোগে মানুষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা নগর ভবনে মেয়র ইস্যুতে রাজনীতির খেলা নগর ভবনে মেয়র ইস্যুতে রাজনীতির খেলা আজ সাবেক তিন সিইসির নামে মামলা দেবে বিএনপি নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে জামায়াত সরকারকে সহযোগিতা করবে- গোলাম পরওয়ার নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরি-প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়, কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিতÑ প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগের জাতীয় সেমিনার আজ থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা চলতি বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী ৩৫২ জন শনাক্ত মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা ইসরায়েল- এরদোয়ান তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি পুতিনের ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প আলোচনা বাতিলের পর বেড়েছে পাল্টাপাল্টি হামলা মুহুরী নদীর পানি নামতে শুরু করেছে টঙ্গীতে অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার জয়পুরহাটে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি স্বর্ণ লুটের দাবি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-বাস দুর্ঘটনা নিহত ১ নরসিংদীতে বিএনপির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদলকর্মীর মৃত্যু

ঈদের আমেজ কাটেনি বিনোদন স্পটে ভিড়

  • আপলোড সময় : ০৪-০৪-২০২৫ ১১:২৪:২৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৪-২০২৫ ১১:২৪:২৮ অপরাহ্ন
ঈদের আমেজ কাটেনি বিনোদন স্পটে ভিড় ঈদের পঞ্চম দিনেও বিনোদনপ্রেমীরা ভিড় করেন রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায় চিড়িয়াখানায়

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পঞ্চম ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল । নগরজুড়ে ঈদের ছুটির আমেজ এখনো কাটেনি।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক দোকানপাট ও মার্কেট এখনো বন্ধ রয়েছে। আবার ঈদের ছুটির শেষ সময়েও দোকানি-ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকে কর্মস্থলে ফেরেননি।
অপরদিকে সকাল থেকে জাতীয় চিড়িয়াখানাসহ রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ঈদের ছুটিতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত ও আশপাশের এলাকা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন অনেকে।
চৈত্রের ভ্যাপসা গরম। তারপরও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বের হয়েছেন কেউ কেউ। তবে ঈদের তিন দিনের তুলনায় আজ দর্শনার্থীর সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার টিকিট বিক্রেতারা।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে চিড়িয়াখানায় এসেছেন দর্শনার্থীরা। সকাল থেকে চিড়িয়াখানার গেটের সামনের অংশ হকার ও ব্যাটারিচালিত রিকশার দখলে। ডান পাশের স্থায়ী টিকিট কাউন্টার ও গেটে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বাম পাশের অস্থায়ী গেট দিয়েও দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেন।
একজন টিকিট বিক্রেতা বলেন, সকালে টিকিট বিক্রি হয়েছে কম। দুপুরের পর থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বিকেলে ভিড় আরও বেড়ে যাবে।
গেটে কথা হয় ময়ূরের পাখা বিক্রেতা আজিজুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, দর্শনার্থী কম। ৫০ টাকার পাখা ২০ টাকা বিক্রি করছি আজকে।
আরেক ফেরিওয়ালা জানান, ঈদের তিন দিন অনেক দর্শনার্থী ছিল। সেই তুলনায় আজকে মানুষ কম। গরম, আবার ঈদের ছুটি শেষ, এজন্য আজকে ভিড় কম। আমাদেরও বেচাকেনা কম। চিড়িয়াখানার ভেতরের রাস্তা, লেকের পাড়, গাছের ছায়ায় দর্শনার্থীদের বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। বাঘ, সিংহ, বানরের খাঁচার আশপাশে কেউ কেউ উঁকি মারছেন।
গাজীপুর থেকে চিড়িয়াখানায় এসেছেন তিন বন্ধু। তারা বেলা ১১টায় চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেন। বের হন সাড়ে ১২টার দিকে। তাদেরই একজন মোহাম্মদ মাইনুল হোসেন। তিনি বলেন, গরম আছে আবার গাছের ছায়াও আছে। লেক পাড়েই বসে ছিলাম। তেমন একটা ঘোরা হয়নি। আমরা ছোটবেলার বন্ধু। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ছি। একটু দূরে বেড়াতে এসেছি। আড্ডা দিলাম একসঙ্গে। এখন কোথাও খাওয়া দাওয়া করবো। তারপর বাড়ি যাবো। মিরপুর ১১ নাম্বার থেকে এসেছেন পরিবহন শ্রমিক রনি আহমেদ। তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ভাতিজা তার সঙ্গে এসেছেন।
নয়াবাজার থেকে দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেন জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুন্ড। বেলা সাড়ে ১২টায় বের হয়ে যান তারা। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরম-আবার সঙ্গে ছোট বাচ্চা, পুরোটা ঘুরতে পারিনি।
এদিকে, চিড়িয়াখানায় নতুন প্রাণী না থাকায় বেশিক্ষণ ঘোরার আগ্রহ পাননি অনেকে। তারা বলছেন, ওই একই প্রাণী। তিন বছর আগেও এগুলো দেখেছি। বরং এবার প্রাণির সংখ্যা কম, অনেক খাঁচা খালি। দেখার কিছুই নেই।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন জনবহুল এলাকার মার্কেট ও শপিংমলগুলোর অনেক দোকানের শাটার নামানো। খোলা থাকা দোকানগুলোতেও বেচাকেনা কম। বিশেষ করে মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও মিরপুরের বিভিন্ন মার্কেটে অন্য ছুটির দিনের মতো ভিড় নেই। আবার এলাকা ও পাড়া-মহল্লার অনেক দোকানেও তালা ঝুলছে। আর খোলা দোকানগুলোতে বিক্রেতাদের অলস সময় কাটাতেও দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটি শেষ হয়ে এলেও মানুষের মধ্যে এখনো উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দীর্ঘ রোজা ও ঈদের ব্যস্ততা শেষে মানুষ একটু বিশ্রাম নিতে চাইছে। কর্মস্থলে ফেরার বিষয়েও অনেকে দেরি করছেন। সেজন্য এখনো রাজধানীতে ধীরগতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে মনে করছেন তারা।
নিউমার্কেট এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন বলেন, ঈদের আগে প্রচুর বেচাবিক্রি হয়েছে। চারদিন পর আজ দোকান খুলেছি। তবে কাস্টমার (ক্রেতা) নেই। সবাই এখনো বাড়িতে। সামনের সপ্তাহে হয়ত আগের মতো ভিড় হবে। সকাল থেকে কোনো বেচা-বিক্রি হয়নি। সন্ধ্যার পর হয়ত কিছু মানুষজন আসতে পারে।
রাজন মাহমুদ নামের আরেক দোকানি বলেন, ঈদের সময় অনেক ব্যস্ততা যায়। ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলাম, গতকাল ফিরেছি। আজ দোকান খুলেছি কিন্তু মার্কেটে মানুষের আনাগোনা খুবই কম। ফলে বিক্রিও কম। তাছাড়া এখনো স্টাফরা ফেরেনি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার বাইরে যাওয়া ক্রেতা এবং শ্রমজীবী মানুষরা এখনো ঢাকায় পুরোপুরি না ফেরায় মার্কেট ও ফুটপাতে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া শহরের রাস্তাঘাটেও যানবাহনের চাপ কম। হয়ত আরও কয়েকদিন পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
মাহবুব নামের গাউছিয়া মার্কেটের এক বিক্রেতা বলেন, ক্রেতা নেই বললেই চলে। যারা ঢাকায় ফিরেছেন, তারাও কাজ শুরু করেননি পুরোদমে। আরও দু’একদিন পর হয়ত গতি ফিরবে।
প্রসঙ্গত, এবার সবমিলিয়ে টানা ৯ দিনের লম্বা ছুটি ভোগ করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সে অনুযায়ী, ছুটি শেষে আগামী ৬ এপ্রিল খুলবে অফিস-আদালত। আজ শনিবার থেকে অধিকাংশ বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম চালু হতে পারে। তার আগ পর্যন্ত ঢাকা কিছুটা ফাঁকা থাকার সম্ভাবনাই রয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স