ঢাকা , সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে দিশাহারা হাজারো পরিবার শুল্ক চাপে ব্যবসা-বাণিজ্য হঠাৎ অস্থির শিক্ষাঙ্গন বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনই বিএনপির সামনে এখন চ্যালেঞ্জ-মির্জা ফখরুল পুরুষশূন্য জোবরা গ্রাম, চবি ক্যাম্পাসে উৎকণ্ঠা অর্ধশত শিক্ষার্থীর মাথায় অস্ত্রের কোপ অনেকের থেঁতলে গেছে হাত-পা নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই -আসিফ নজরুল আরও ৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা নীতিমালা সংশোধন ভোট কক্ষের সংখ্যা কমছে নির্বাচনে তিন বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন কৌশল নতুন চ্যালেঞ্জে নির্বাচন কমিশন ২১৩০ কোটি টাকায় আলেকজান্ডারকে দলে ভেড়ালো লিভারপুল ফাইনাল হেরে কর্মকর্তার মুখে থুতু দিলেন সুয়ারেজ! ভায়োকানোর বিপক্ষে হোঁচট খেলো বার্সা মাঠে ডিম পাড়লো পাখি, এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো স্টেডিয়াম পুরুষদের থেকেও বেশি প্রাইজমানি ঘোষণা নারী বিশ্বকাপে! পোরশায় ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালিও পরিছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসছে উন্ডিজ বিপিএলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পেল ‘আইএমজি’

চীনের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির কাজ এই বছরই শুরু হবে-প্রেস সচিব

  • আপলোড সময় : ২৮-০৩-২০২৫ ১১:২৭:২০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৩-২০২৫ ১১:২৭:২০ পূর্বাহ্ন
চীনের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির কাজ এই বছরই শুরু হবে-প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চীনের বিনিয়োগ আনার জন্য আগেও কিছু উদ্যোগ ছিল। কিন্তু উদ্যোগগুলো বেশিদূর আগায়নি। ২০১৬ সালে ঘোষণা দেওয়া হল চীনের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করা হবে। কিন্তু ওই ইকোনমিক জোন দৃশ্যত কোনও প্রোগ্রেস করেনি। কিন্তু প্রফেসর ইউনুস বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বলেছে খুব দ্রুত কাজ করতে। সময়সীমা নির্ধারণ করে বলা হয়েছে, চাইনিজ ইকোনমিক জোনের কাজ এই বছরই শুরু হয়ে যাবে। অন্যান্য জমি সংক্রান্ত কাজ আছে-ইতিমধ্যে বেশিরভাগ কাজই আমরা সর্ট আউট করেছি। চীনের রাষ্ট্রদূত আমাদের জানিয়েছেন যে, কয়েক ডজন চীনা বিনিয়োগকারী তাদের কাজ শুরু করার জন্য অপেক্ষা করছেন। আমরা আশা করছি, এই বছর কাজ শুরু হবে। সবাইকে ডেডলাইন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যেভাবেই হোক এই বছর কাজ শুরু হবে। গত বুধবার চীনের স্থানীয় সময় রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা শক্তিশালী একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে চীন সফরে এসেছেন। বোয়াও ফোরামে পৃথিবীর অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যোগ দেন প্রতি বছর। এই ফোরামে অংশ নিতে এশিয়ার নেতৃবৃন্দরা আসেন। অনেক সময় পশ্চিমা নেতারাও আসেন। এখানে এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট সেক্টরের লিডাররাও আসেন। এখানে আসার পর প্রফেসর ইউনুস একটা ছোটখাটো মিটিং করেছেন। উনার সঙ্গে দুইজন উপদেষ্টা এসেছেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিরাও আছেন। উনাদের নিয়ে তিনি মিটিং করেন। সেখানে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে কি কি করণীয় তা জোরালো ভাবে তুলে ধরা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার খুব সকালে প্রধান উপদেষ্টা বোয়াও ফোরামের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে তিনি চাইনিজ এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রিমিয়ারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর বোয়াও ফোরামে তিনি ৭-৮ মিনিটের একটি বক্তব্য দিবেন। তারপর রাশিয়ান ভাইস প্রিমিয়ার, ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার এবং ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) মহাপরিচালকের সঙ্গে আলাদা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গেও তার বৈঠক আছে। এছাড়া সাইডলাইনে প্রাইভেট সেক্টরের লিডারদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, পরের দিন মূল হাইলাইট হচ্ছে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক। বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এই বৈঠক হওয়ার কথা। ওইদিন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রফেসর ইউনুস ওইদিন অফিসিয়াল বৈঠকের বাইরে অনেকগুলো মিটিংয়ে অংশ নিবেন। শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরও কতটা গভীর করা যায় সেই বিষয়ে আলাপ হবে বলে আমরা আশা করছি। চীন থেকে আমরা অনেক ধরনের সাহায্য ও সমর্থন চাচ্ছি। চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী, আমরা চাই চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উঠুক। সেই অনুযায়ী, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের যে সম্পর্কের গভীরতা সেটাকে আরও কতদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই চেষ্টা থাকবে। প্রেস সচিব বলেন, এসবের বাইরে চীনের সঙ্গে রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা হবে। বেশ কিছুদিন আগে তারা কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল সেই বিষয়গুলো বৈঠকে উঠে আসবে। পরশু দিন প্রফেসর ইউনুস পিকিং ইউনিভার্সিটিতে ভাষণ দিবেন। বিকালের দিকে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। আশা করছি ২৯ মার্চ বিকালে আমরা ঢাকায় পৌঁছাব। তিনি বলেন, উদীয়মান এশিয়ায় অনেক নতুন নতুন ইস্যু তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাবনাগুলো তিনি বোয়াও ফোরামে তুলে ধরবেন। শুক্রবার একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আছে চীনের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে অনেক প্রকল্পের বিষয়ে সরাসরি আলাপ হবে। প্রেস সচিব বলেন, শি জিং পিনের সঙ্গে বৈঠক অনেক বড় একটা ঘটনা। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ম্যানুফেকচারিংয়ের ক্ষেত্রে চীন বিশ্বে এক নম্বর। প্রফেসর ইউনুসের মূল ইচ্ছা বাংলাদেশকে ম্যানুফেকচারিং হাব হিসেবে রূপান্তর করা। সেটা না করতে পারলে আমরা যথেষ্ট কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারবো না। প্রফেসর ইউনূস মনে করেন বাংলাদেশে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি করা উচিত। প্রতিবছর ২০ লাখ তরুণ চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। তাদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। এটার জন্য মূল চালিকা শক্তি হতে পারে ম্যানুফেকচারিং সেক্টর। সেজন্য বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) আনতে হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স