ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫ , ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিষাক্ত মাশরুম খাইয়ে তিন আত্মীয়কে হত্যায় এরিন প্যাটারসন দোষী সাব্যস্ত মাস্কের ‘রাজনৈতিক দল’ গঠনের উদ্যোগকে ‘হাস্যকর’ বললেন ট্রাম্প খারকিভে রুশ ড্রোন হামলায় বহুতল ভবন ও কিন্ডারগার্টেনে বিস্ফোরণ, আহত ২৭ ব্রাজিলে ব্রিকস নেতাদের বৈঠকে ট্রাম্পের অতিরিক্ত ১০% শুল্ক আরোপের হুমকি যুদ্ধবিরতির আভাসের মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৮২ ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলা, অচল বন্দর-বিদ্যুৎকেন্দ্র টেক্সাসের ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ জনে, নিখোঁজ ৪১ ছয় মাস মাঠের বাইরে জামাল মুসিয়ালা, বড় ধাক্কায় বায়ার্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টানা ৩০ বছরের আধিপত্য ধরে রাখল অস্ট্রেলিয়া গোল্ড কাপের মুকুট ফিরল মেক্সিকোর ঘরে ইউরোপের বদলে নেপালের পথেই বাংলাদেশ, সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে দুটি প্রীতি ম্যাচ লারার ৪০০ ছোঁয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে মুল্ডারের বিস্ময়কর সিদ্ধান্ত আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারের লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কার তিন তারকা গোল্ডেন বুটের দৌড়ে কে থাকবেন শীর্ষে, চমক দেখাতে পারেন হাকিমিও বাংলাদেশ সফরের আগে ইনজুরির ধাক্কায় পাকিস্তান দিনাজপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৮ জন দগ্ধ গণহত্যার বিচার ও সংস্কারের পরেই নির্বাচন-নাহিদ মব বন্ধ না করে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, প্রশ্ন মান্নার জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা তদন্তে কুয়ালালামপুরকে সহযোগিতা করবে ঢাকা আরও ২৯৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত

ছায়ানটের সন্জীদা খাতুন আর নেই

  • আপলোড সময় : ২৭-০৩-২০২৫ ০১:৫৩:৪৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৩-২০২৫ ০১:৫৩:৪৩ অপরাহ্ন
ছায়ানটের সন্জীদা খাতুন আর নেই
বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গণের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সঙ্গীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সন্জীদা খাতুন মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। সন্জীদা খাতুনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন ছায়ানটের অনুষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক রশীদ আল হেলাল। সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। সন্জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই তার কর্মজীবন শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন। সন্জীদা খাতুনকে জীবনের প্রায় শুরু থেকে দেখা গেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকায়। যখন তিনি কলেজের শিক্ষার্থী, তখন থেকেই পড়াশোনা, আবৃত্তি ও অভিনয়ের পাশাপাশি গানের চর্চা করেছেন। পাশাপাশি কিছু সাংগঠনিক কাজেও যুক্ত হয়েছেন। শিল্পী কামরুল হাসানের নেতৃত্বে ব্রতচারী আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। মুকুল ফৌজে কাজ করেছেন, আবার ছেড়েও দিয়েছেন। তার প্রথম গানের গুরু ছিলেন সোহরাব হোসেন। তার কাছে তিনি শিখেছিলেন নজরুলসঙ্গীত, আধুনিক বাংলা গান এবং পল্লিগীতি। পরে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখেছেন হুসনে বানু খানমের কাছে। পরে আরও অনেকের কাছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার, আবদুল আহাদ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেনসহ কয়েকজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই সন্জীদা খাতুন সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। একুশে ফেব্রুয়ারির দুপুরে বাসায় ফিরে ছাত্রহত্যার খবর পেয়েছিলেন। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি সবকিছু বন্ধ, সকালে বাসা থেকে বের হয়ে নানা খোঁজখবর নিয়ে বিকেলে মাকে নিয়ে রওনা দিলেন অভয় দাস লেনের এক বাসার উদ্দেশে নারীদের প্রতিবাদ সভায় যোগ দিতে। সেই ভয়ের পরিবেশে দূর পথ হেঁটে গেলেন সে বাসার চত্বরে। সেখানে গিয়ে দেখেন বেগম সুফিয়া কামাল, বেগম দৌলতুন্নেসা, নূরজাহান মুরশিদ প্রমুখ উপস্থিত। কিন্তু সেদিন সে পরিস্থিতিতে কেউ সভার সভাপতি হতে চাননি। শেষ পর্যন্ত সন্জীদা আপার মা সাজেদা খাতুনকে সভাপতির আসনে বসিয়ে দিলেন। মা গুটিসুটি হয়ে বসে থাকলেন। অন্যরা বক্তৃতা করলেন। সেদিন সন্জীদা খাতুন প্রথম বক্তৃতা করলেন। শুরুতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে তার কথায় “দু-এক লাইনের” বক্তৃতা দেন। তিনি বলেছিলেন, একুশ আমাকে ভাষা দিয়েছে। সন্জীদা খাতুন বিপুল কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন সামগ্রিকভাবে বাঙালির মানস ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ