ঢাকা , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
কেরানীগঞ্জ-৩: পলকে থামানো মানে তৃণমূলকে থামানো এবার ভূতের চরিত্রে দেখা যাবে রাশমিকাকে পুরুষদের প্রতি যে অনুরোধ করলেন তামান্না আইনি জটিলতায় জড়ালেন সুহানা যদি অপরাধী হতাম তাহলে চুপচাপ থাকতাম: জয় ভক্ত অটোগ্রাফ চাওয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন ফারিয়া ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন অপু-শাকিব নিজের অভিনীত সিনেমা দেখে আবেগে কেঁদে দিলেন ‘দ্য রক’ জটিল রোগে ভুগছেন জাংকুক সরকারের ওপর চাপ বেড়েছে ঋণ পরিশোধের কোনো ব্লেম নিতে রাজি নই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করবো-সিইসি ফরিদপুরের সালথায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা: স্বামী আটক ছড়িয়ে পড়া গুজবে কান না দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সেনাপ্রধানের আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকার কি পথ হারিয়েছে প্রশ্ন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই তিন প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা সবারই প্রতিশ্রুতি নারীবান্ধব ক্যাম্পাস ডাকসু নিয়ে কোনো ধরনের টালবাহানা চলবে না : ছাত্রদল হলত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন প্রভাব: চ্যালেঞ্জ ও অনিশ্চয়তা ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়ালো

ঠাকুরগাঁওয়ে ১৫৩ কোটি টাকার ‘কালো সোনা’ উৎপাদনের সম্ভাবনা

  • আপলোড সময় : ২৫-০৩-২০২৫ ১০:৪২:০৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-০৩-২০২৫ ১০:৪২:০৫ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে  ১৫৩ কোটি টাকার ‘কালো সোনা’ উৎপাদনের সম্ভাবনা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে ‘কালো সোনা’ নামে পরিচিত পেঁয়াজ বীজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। গত কয়েক বছরে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবারও পেঁয়াজের বীজ চাষে ব্যাপক সাড়া পড়েছে চাষিদের মাঝে। এসব বীজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি বিভাগ বলছে এবারে ঠাকুরগাঁও জেলায় ১৫৩ কোটি টাকার পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পতিলা ভাষা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল বারেক। ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে প্রথম শুরু করেন  পেঁয়াজের বীজ চাষের কাজ। অল্প খরচে লাভবান হওয়ায় এবারে ৫ একর জমিতে করেছেন এই পেঁয়াজের বীজ চাষ। বাজারে ভালো দাম পেলে যা বিক্রি করবেন ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা। তার উৎপাদিত পেঁয়াজের বীজ বিভিন্ন ঠাকুরগাঁও জেলায় দিচ্ছেন তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল বারেক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুধু আব্দুল বারেক নয় তার মতো ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন কৃষক পেঁয়াজ চাষে পেয়েছেন সফলতা। এবারে বাজারে ভালো দাম পেলে আগামীতে আরও বেশি পেঁয়াজের চাষ বাড়বে বলে ধারণা স্থানীয় চাষিদের। বর্তমানে সকাল হলেই এসব বীজ খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন সকলে। কেউ সেচ দিতে,কেউ হাতের আলতো ছোঁয়ায় পরাগায়ন করতে ব্যস্ত। এতে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরীরাও এসব কাজ করছেন। পেঁয়াজ খেতে দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন অনেকেই। যাতে করে সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতাও। তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল বারেক বলেন,শুরুটা ছিলো ৩৩ শত জমি দিয়ে। তাতে ভালো লাভবান হওয়ায় পরবর্তীতে আবারো করি পেঁয়াজ বীজের চাষ।
এবারে ৫ এক জমিতে করেছি। যে পরিবার খরচ হয়েছে আশা করি তার থেকে বেশি লাভবান হবো। এই পেঁয়াজ বীজ নিজের খেতে উৎপাদন করে বিভিন্ন জেলায় পাঠাই।
আমি আশা করি এবারে আমার এই খেত থেকে প্রায় ৩৫-৪০ লাখ টাকার লাভ করতে পাড়বো। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে চলতি বছরে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৫৪৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৬১২ মেট্রিক টন পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের আশায় রয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৫৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আলমগীর কবির বলেন, পেঁয়াজ বীজ চাষ করে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছে। এর মধ্যে আমাদের ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সব থেকে বেশি চাষ হয় পেঁয়াজ বীজের। আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি এই পেঁয়াজ বীজের মধ্য দিয়ে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য