ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ , ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জনদুর্ভোগে মানুষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা নগর ভবনে মেয়র ইস্যুতে রাজনীতির খেলা নগর ভবনে মেয়র ইস্যুতে রাজনীতির খেলা আজ সাবেক তিন সিইসির নামে মামলা দেবে বিএনপি নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে জামায়াত সরকারকে সহযোগিতা করবে- গোলাম পরওয়ার নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরি-প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়, কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিতÑ প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগের জাতীয় সেমিনার আজ থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা চলতি বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী ৩৫২ জন শনাক্ত মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা ইসরায়েল- এরদোয়ান তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি পুতিনের ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প আলোচনা বাতিলের পর বেড়েছে পাল্টাপাল্টি হামলা মুহুরী নদীর পানি নামতে শুরু করেছে টঙ্গীতে অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার জয়পুরহাটে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি স্বর্ণ লুটের দাবি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-বাস দুর্ঘটনা নিহত ১ নরসিংদীতে বিএনপির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদলকর্মীর মৃত্যু

ঘোড়াঘাটে রাবার ড্রাম স্থাপনের দাবি এলাকাবাসীর

  • আপলোড সময় : ২৫-০৩-২০২৫ ১০:৩৮:৪৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-০৩-২০২৫ ১০:৩৮:৪৭ অপরাহ্ন
ঘোড়াঘাটে রাবার ড্রাম স্থাপনের দাবি এলাকাবাসীর
হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
ঘোড়াঘাট উপজেলার তিরমোহনী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় রাবার ড্রাম স্থাপনের দাবী জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরিকল্পিতভাবে রাবার ড্রাম স্থাপন করা হলে কৃষি ফসল উৎপাদন ও মাছ চাষের সুযোগ পাবে এলাকার কৃষক ও মৎস জীবিরা। এটি কৃষি ও পরিবেশের জন্য উপকারী হবে। তাই এলাকাবাসীর দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে এই এলাকার নিচু জমি প্লাবিত হয়, যা কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এছাড়া, পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের অভাবে আশপাশের গ্রামগুলোতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়, যা স্থানীয়দের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতি বছর বর্ষায় ফসল ডুবে যায়। রাবার ড্রাম থাকলে অতিরিক্ত পানি সংরক্ষণ করতে পারবে এবং সেচের সুবিধাও পাবে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কামনা করেছেন এলাকাবাসী। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা, নবাবগঞ্জ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী রংপুরের পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলা ঘেষে বয়ে গেছে এই করতোয়া নদী। খনন আর সংস্কারের অভাবে নদীর প্রবাহমান স্তর অনেকটা কমে গেছে। বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানিতে নদীটি ভরে যায়। এর কারনে নদীর তীর সংলগ্ন শত শত বিঘা কৃষি জমির ফসল পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। আবার বর্ষা মৌসুম শেষে শুকনো মৌসুম আসলে দুই ধারের কৃষি জমিগুলো আবাদের উপযোগী হয়ে পড়ে। উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকা কৃষকেরা জানান, ত্রিমোহনী ঘাট সংলগ্ন করতোয়া নদীতে রাবার ড্রাম স্থাপন করা হলে বর্ষা মৌসুমের পানি ধরে রেখে ওই পানি দিয়ে শুকনো মৌসুমে রবি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। অপরদিকে দৃষ্টিনন্দন এই ত্রিমোহনী ঘাট সংলগ্ন করতোয়া নদীতে সেতুটি ভ্রমণ পিপাসুদের দর্শনীয় স্থান হিসেবে চিহ্নিত হবে। বাংলাদেশ পানি উন্নযন বোর্ড বা “পাউবো”র তথ্য মতে, করতোয়া নদী মহাস্থানগড়ের কাছে রাজশাহী বিভাগ সহ রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, গাইবান্ধা জেলা উৎস দেওনাই-চাডালকাটা-যমুনেশ্বরী নদী মোহনা বাঙালি নদী দৈর্ঘ্য ১২২ কিলোমিটার (৭৬ মাইল) করতোয়া নদী বা করতোয়া নিম্ন নদী বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১২২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৪৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বন্যাপ্রবণ নদীটির প্রবাহের প্রকৃতি বারোমাসি এবং নদীতে জোয়ারভাটার প্রভাব নেই। বাংলাদেশ পানি উন্নযন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক করতোয়া নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর (উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের) ১৪। করতোয়া নিম্ন নদীটি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মিলনপুর ইউনিযনে প্রবহমান দেওনাই-চাডালকাটা-যমুনেশ্বরী নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই নদী ক্রমান্বয়ে মিঠাপুকুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, পীরগঞ্জ, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, শিবগঞ্জ, বগুড়া সদর, শাজাহানপুর ও শেরপুর উপজেলায় পৌঁছেছে। তীরবর্তী স্থাপনা এই নদীর তীরে বগুড়া পৌরসভা, শেরপুর পৌরসভা, শিবগঞ্জ পৌরসভা, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা এবং দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরসভা। এই নদীতে ব্যারাজ বা রেগুলেটর এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ কোন বাঁধ নেই।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য