ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫ , ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ওয়ালটনের প্যাসেঞ্জার কার ব্যাটারি গ্রাভিটন উদ্বোধন করলেন কন্ঠশিল্পী তাহসান জুলুমের প্রতিবাদ করায় যাত্রী ফারুক এর উপর বাস স্টাফদের হামলা পুষ্টি কর্মসূচি শিশুস্বাস্থ্যে পরিবর্তন আনতে পারে যশোরে ১১ আ’লীগ নেতার আদালতে আত্মসমর্পণ ময়মনসিংহে ডাম্পট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২ হবিগঞ্জে ১৪৪ ধারা ভেঙে সংঘর্ষ, ভাঙচুর-লুটপাট স্মার্ট পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে আটাব-আরেফ মালয়েশিয়ায় আটকদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে সরকার প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি উৎপাদনশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক্স শিল্পখাত আ’লীগ সরকারের সুবিধাভোগী জসিম মোল্লা এখন বিএনপি নেতা ঢাকার রাস্তায় দেশীয় প্রযুক্তির ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানোর উদ্যোগ ঝিকরগাছা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের হিসাবরক্ষকের খুটির জোর কোথায় ? দেশ গঠনে কোনও আপস করবো না -নাহিদ এবার অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের প্রতিবাদ বিশিষ্ট নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার হারানোর শঙ্কা পোরশায় ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ বাংলাদেশী ইব্রাহিমের লাশ তিনদিন পর ফেরত দিল বিএসএফ বিষাক্ত মাশরুম খাইয়ে তিন আত্মীয়কে হত্যায় এরিন প্যাটারসন দোষী সাব্যস্ত
দেশের দীর্ঘতম রেলসেতুর উদ্বোধন

তিন মিনিটে যমুনা পার

  • আপলোড সময় : ১৮-০৩-২০২৫ ১০:৩০:৪৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৩-২০২৫ ০১:১৪:১৬ পূর্বাহ্ন
তিন মিনিটে যমুনা পার
শাহিদুর রহমান শাহিদ
দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে উদ্বোধনী ট্রেনটি সেতুর পূর্ব প্রান্তের ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে ট্রেনটি পূর্ব প্রান্ত থেকে সেতুতে ওঠে। মাত্র ৩ মিনিটে ১২টা ১৫ মিনিটে সেতু পার হয়। পরে পশ্চিম প্রান্তের সয়দাবাদ স্টেশনে দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে পৌঁছে যায়। আগে যমুনা বহুমুখী সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগত, যা নতুন রেলসেতুর কারণে মাত্র ৩ মিনিটে নেমে এসেছে।
এ রেলওয়ে সেতু পার হতে লাগবে তিন থেকে পাঁচ মিনিট; যা উত্তরাঞ্চলসহ দেশের যোগাযোগ, বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, মূল সেতু পার হতে ট্রেনে লাগবে দুই-তিন মিনিট। সেতুর দুই পাড়ের স্টেশন সয়দাবাদ ও ইব্রাহিমাবাদের মধ্যে দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার। এই অংশ পার হতে ৭ মিনিটের বেশি লাগবে না। আগে যমুনা সড়কসেতু পার হতে ট্রেনের সময় লাগত ২০ থেকে ২৫ মিনিট। নতুন সেতু দিয়ে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি যাতায়াতের সময়ও কমবে। নতুন সেতু চালুর ফলে পুরোনো যমুনা সড়কসেতুর রেলপথ দিয়ে আর ট্রেন চলাচল করছে না।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে দেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বাধুনিক যমুনা রেলসেতু গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। নতুন এ রেলসেতু চালু হওয়ার ফলে ঢাকা ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগ আরও দ্রুত ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে। একই সঙ্গে ট্রান্স এশিয়ান রেলপথে সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নতুন এক ধাপে এগিয়ে গেল।
সকালে সেতুর পূর্ব প্রান্তে টাঙ্গাইলের ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)-এর দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক ইতো তেরুয়ুকি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন।
অতিথিরা অনুষ্ঠানের মঞ্চে টাম্বলার লিভার (রেলের লাইন পরিবর্তনের যন্ত্র) টেনে রেলসেতুর উদ্বোধন করেন। পরে অতিথিরা বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা ওড়ান।
যমুনা নদীর ওপর বর্তমান সড়কসেতুর পাশে নতুন রেলসেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
উদ্বোধনের পর বিশেষ অতিথিরা উদ্বোধনী ট্রেনে করে ইব্রাহিমাবাদ থেকে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ রেলস্টেশনে যাত্রা করেন। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সেতুর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর সড়কসেতু চালু হয়। ওই সেতুতে শেষ মুহূর্তে রেল ট্র্যাক যুক্ত করা হয়। এর মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৬ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ার পর সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। তখন থেকে সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করত। এ সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর পৃথক রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
নতুন যমুনা রেলসেতুটি ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ সেতু, যা যমুনা নদীর ওপর ৫০টি পিলার এবং ৪৯টি স্প্যানের মাধ্যমে নির্মিত হয়েছে। এটি বর্তমানে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু। নতুন রেলওয়ে সেতুটি যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে অবস্থিত।
মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার হলেও দুদিকে ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে।
সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় শুরুতে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তীতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ অর্থায়ন করেছে জাপানের জাইকা, আর বাকি ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার।
প্রকল্পের শুরুতে এই সেতুর নাম ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছরের ডিসেম্বরে সেতুর নাম পাল্টে যমুনা রেলসেতু রাখা হয়।
সেতুটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে জাপানি যৌথ প্রতিষ্ঠান ওটিজি ও আইএইচআই জয়েন্ট ভেঞ্চার। নির্মাণ কাজে জাপান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৭ হাজার কর্মী চার বছর ধরে পরিশ্রম করেছেন।
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০২১ সালের মার্চে প্রথম পিলারের পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়।
১২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী থেকে সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেন প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে যমুনা রেল সেতু পার হয়ে ঢাকায় পৌঁছায়। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর সময় একটি ট্রেন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সেতুটি অতিক্রম করেছিল। এতে সেতুটি পারি হতে সময় লেগেছিলো প্রায় সাড়ে ৩ মিনিট।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, তারা সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল নির্ধারিত করে দিয়েছে। তবে এর চেয়েও কম গতিতে ট্রেন চলাচল করবে।
এই সেতুতে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
একসময় প্রমত্তা যমুনা উত্তরাঞ্চলকে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের শিল্পোসমৃদ্ধ জেলাগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে উত্তরের জনপদগুলো ছিল অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত। যমুনা বহুমুখী সেতু নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ চালু হলে পরিবর্তন আসতে থাকে এসব জনপদের। উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে যেতে থাকে উত্তরের জেলাগুলো।
তবে ওই সেতুতে রেল যোগাযোগ চালু করা হলেও সেটা ছিল চরম বিড়ম্বনার। যাত্রীবাহী ট্রেন চললেও সেতু পার হতে তিন-চার গুণ বেশি সময় লাগত। ২০০৮ সালে মূল সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি আরও কমিয়ে ঘণ্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার করা হয়। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
সেতুটি জাপানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে। এটি অন্যান্য সেতুর তুলনায় অনেক বেশি টেকসই ও নিরাপদ। সেতুর নিচ দিয়ে গ্যাস পাইপলাইন, বিদ্যুৎ লাইন ও অন্যান্য সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে, যা উত্তরবঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্যিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সেতুটির মাধ্যমে ৮৮টি ট্রেন দ্রুতগতিতে চলাচল করতে পারবে, যেখানে আগে যমুনা বহুমুখী সেতু দিয়ে মাত্র ৩৮টি ট্রেন চলাচল করত।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) গৌতম কুমার কুণ্ডু বলেন, এই সেতুতে ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের এক নতুন দুয়ার উন্মোচিত হলো। এখন থেকে এই সেতু দিয়ে অনেক কম সময়ে দ্রুতগতিতে ট্রেন পারাপার করতে পারবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেন, এই রেলসেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটি বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রার প্রতীক। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, জাপানের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে এই সেতু নির্মিত হয়েছে। এটি উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি বলেন, বাংলাদেশ-জাপান অংশীদারিত্বের প্রতীক হিসেবে এই প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। এই সেতুর মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হলো।
জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক ইতো তেরুয়ুকি বলেন, এই রেলসেতু শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করবে। এটি ট্রান্স এশিয়ান রেলপথের সঙ্গে সংযোগের একটি বড় ধাপ।
যদিও সেতুটি ডাবল লাইন রেলওয়ে সেতু, তবুও প্রাথমিকভাবে সিঙ্গেল ট্র্যাক চালু করা হয়েছে। ফলে যাত্রীদের পুরোপুরি সুবিধা পেতে কিছুটা সময় লাগবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ডাবল ট্র্যাক চালুর কাজ দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে। এটি চালু হলে ট্রেনের গতি ও সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।
সেতুর দুই প্রান্তে সিঙ্গেল ট্র্যাকের কারণে পুরোপুরি সুফল পেতে কিছুটা দেরি হবে, তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ডাবল ট্র্যাকের কাজ শুরু করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধনের ফলে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের মধ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি খরচ কমবে, যমুনা সেতু ও মহাসড়কের ওপর চাপ হ্রাস পাবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
এই সেতু চালুর ফলে উত্তরবঙ্গের কৃষিপণ্য ও শিল্পপণ্য দ্রুত পরিবহন করা যাবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।
নতুন রেলসেতুর উদ্বোধনের ফলে উত্তরাঞ্চলের ২৩টি জেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। যমুনা নদী আগে উত্তরাঞ্চলকে রাজধানী ঢাকা ও দেশের অন্যান্য শিল্পোন্নত অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। নতুন সেতুর ফলে সেই সমস্যা দূর হলো।
উত্তরাঞ্চলের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন, আগে যমুনা বহুমুখী সেতু দিয়ে ট্রেনে যাতায়াতে অনেক সময় লাগত, এখন মাত্র কয়েক মিনিটে আমরা পার হতে পারবো। এটি আমাদের জন্য বিশাল এক আশীর্বাদ।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ