ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকারি চাকরি আইন বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভে কর্মচারীরা ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড ৬ জনের যাবজ্জীবন বহাল কালো টাকা সাদা করার বিধান সংস্কারের সম্পূর্ণ বিপরীত-টিআইবি দূরত্ব ঘুচিয়ে চমৎকার জুলাই সনদ তৈরির প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার সারাদেশে একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি টেকসই অর্থনীতির বাজেট এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বঞ্চনার গল্প যেন অরণ্যেরোদন চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা রাষ্ট্র সংস্কারে উপেক্ষিত নারী তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু-আইন উপদেষ্টা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রথমবারের মতো বিটিভির স্টুডিও থেকে হচ্ছে বাজেট ঘোষণা ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে নতুন বাজেট আজ দুধ শুধু পণ্য নয় এটি সংস্কৃতির অংশÑ মৎস্য উপদেষ্টা রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি পাহাড় ধসের ঝুঁকি সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু বিজিএমইএ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ‘ফোরাম’ প্যানেল বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ জাপা চেয়ারম্যানসহ ২৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা

চিলমারীর চরে স্বপ্ন বুনছেন হাজারও ভূমিহীন কৃষক

  • আপলোড সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:১৬:২০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:১৬:২০ পূর্বাহ্ন
চিলমারীর চরে স্বপ্ন বুনছেন হাজারও ভূমিহীন কৃষক
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে উঠা চরে স্বপ্ন বুনছেন ভূমিহীন হাজারও কৃষক। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে আবাদ করা মতো নিজের জমি বলতে কিছুই নেই। এরপরও আবাদ করে অন্তত নিজের খাওয়ার জন্য শাক-সবজি ও অন্য কিছু ফলানো ইচ্ছা করে।
আমাদের সেই ইচ্ছাটা পূরণ করেছে বাড়ীর পাশে জেগে উঠা ব্রহ্মপুত্র নদের চর। প্রতি বছর নদের সেই চরে আমরা আলু, পিয়াজ, রসুন, ভুট্টা, ডাল, শাক-সবজি ও মিষ্টি কুমড়াসহ এমনকি ইরি-বোরো ধানও চাষ করে আসছি। আর সেই ফসলেই কিছুটা হলেও নিজের চাহিদা পূরণ হয়। অনেক সময় বিক্রি করে থাকি। এ কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার রাজার ভিটা এলাকার অধিবাসী মো. কেরামত আলী। একই এলাকার আবুল হোসেন ও ফুল মিয়া জানান, গত বছরও নদের চরে আলু আবাদ করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করে পরে বিক্রি করেছি।
বেশ কিছু টাকাও পেয়েছি। কিন্তু এবার বীজের দাম বেশি ছিল। সেই তুলনায় আলুর দাম নেই। তাই আলুতেই উৎপাদন খরচই উঠছে না। তারপরও নিজের চাহিদা পূরণ হওয়ায় খুশি এই দুই কৃষক। কারণ অন্যান্য ফসলে লাভ হয়েছে তাদের। চিলমারীর রাজার ভিটা ছাড়াও পাত্রখাতা, গুড়াতি পাড়া, পুটিমারী কাজলডাঙ্গা এলাকায় জেগে উঠা চরে কুষকরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ইরি-বোরো চাষ করে ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্ন দেখছেন। এক সময়ে যাদের অনেক জমি-জমা ছিল কিন্তু নদী গর্ভে বিলিন হয়ে এখন তারা ভূমিহীন। তাই নদের বুকে জেগে উঠা চরই তাদের একমাত্র অবলম্বন। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে জেগে উঠা চরে কৃষকরা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন, কেউ জমিতে জৈব সার দিচ্ছেন আবার কেউ মাটি সমান করছেন। নারী শ্রমিকরাও দল বেঁধে বেরো ধান ক্ষেতে নিরানীর কাজ করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষান দাস জানান, নদী চরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন করায় বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে এবং লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য