* আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি শঙ্কায় কর্মসূচি থেকে সরে এলো বাম সংগঠনগুলো ও ইনকিলাব মঞ্চ
* সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের লাকি আক্তারকে দেখা যায়নি
* অবশেষে দুই সংগঠনই কর্মসূচি স্থগিত করেছে
শহীদ মিনারে বাম সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে গণমিছিল প্রত্যাহার করায় শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা স্থগিত করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। এরআগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার শঙ্কা এবং দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা বিবেচনায় পূর্ব ঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। শনিবার দুপুরে শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত একটি সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। তবে সংগঠন দুইটি কর্মসূচি স্থগিত করলেও যে কোনো মুহুর্তে বড়ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছেন নাগরিক সমাজ। তারা এও বলছেন, পক্ষে-বিপক্ষে কর্মসূচি নিয়ে যেকোনো সময় ইনকিলাব মঞ্চ এবং বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে বড়ধরনের গণ্ডগোলোর সৃষ্টি হতে পারে। তবে সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের লাকি আক্তারকে দেখা যায়নি। এর আগে শুক্রবার রাতে ফেসবুকে কর্মসূচির কথা জানিয়ে যুক্ত হবার আহ্বান জানান লাকী আক্তার। এতে বিভিন্ন মহলকে প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখা যায়। গণমিছিলটি শহীদ মিনার থেকে টিএসসি পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন শুভ বলেন, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এলেও আমাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা বিবেচনায় আজকের গণমিছিল কর্মসূচিটি স্থগিত ঘোষণা করছি। নিশ্চয়ই আমরা শঙ্কিত নই, নারীদের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের এ লড়াই আমরা চালিয়ে যাব।
বাম ঘরানার আটটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সারা দেশে হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়নের প্রতিবাদে ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবিতে শনিবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের ভিসি চত্বর প্রদক্ষিণ করে টিএসসি পর্যন্ত মিছিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। অন্যদিকে শহীদ মিনার থেকে তাদের সরে যেতে আল্টিমেটাম দিয়েছিল ইনকিলাব মঞ্চ। ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধায় শহীদ মিনারের দিকে যেতে না পারলেও নিজেদের কর্মসূচি স্থগিত করে বাম সংগঠনগুলো। তবে সমাবেশ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণসহ ৭ দফা দাবি জানানো হয়।
সমাবেশের শেষে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, আমাদের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। গতকাল থেকে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, আমরা যেন এই কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করি, পালন না করি। আমলার ভয় ভীতি দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের আজকের সমাবেশ থেকে দাবি জানাই, অবিলম্বে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগ আমল থেকে এই অন্তর্ভুক্তির সরকারকালীন সময় পর্যন্ত যতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার বিচার করতে হবে। আমরা আগামী দিনে আমাদের লড়াই সংগ্রাম আরো দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাব। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের গণমিছিল হওয়ার কথা ছিল শহীদ মিনার থেকে টিএসসি পর্যন্ত। সেই গণ মিছিল স্থগিত করে এখানেই সমাপ্ত করছি।
সমাবেশের শুরুতে লিখিত বক্তব্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন অবশ্য বলেছিলেন, সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, আছিয়াসহ সকল হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়নের বিচার এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবিতে আজ আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে গণ মিছিল করছি। তিনি বলেন, আপনারা জানেন জুলাই-আগষ্ট মাসজুড়ে এক রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে বিতাড়ন করা হয়েছে। বৈষম্যহীন সমাজের আকাক্সক্ষায় লাখো মানুষ এই গণ আন্দোলনে সামিল হয়েছিল। মানুষ আশা করেছিল হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে মানুষ একটা নিরাপদ সমাজ পাবে, পাবে স্বস্তির জীবন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হওয়ার প্রত্যাশা থাকলেও বারবার আমাদের আশাভঙ্গ ঘটেছে। সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। অভ্যুত্থানের পরপরই বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। মব সন্ত্রাসের নামে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা, পাওনা টাকার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের হত্যা, রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা, চট্টগ্রাম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী হত্যাসহ কোনো অপরাধের বিচার করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থ হয় নাই। সরকারের ব্যর্থতা এবং বিচারহীনতার দীর্ঘ ইতিহাস অপরাধীদের অপরাধ সংঘটিত করতে উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকার কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেনি। উল্টো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নারী নিপীড়নকারী মব সন্ত্রাসীদের পরোক্ষ সমর্থন অপরাধীদের মনোবল দৃঢ় করেছে।
সমাবেশে বলা হয়, আছিয়ার মৃত্যুতে সারাদেশে শোকাহত। কিন্তু আছিয়ার মতো ঘটনা বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। বরগুনায় কিশোরী ধর্ষণ, বিচার চাওয়ায় কিশোরীর বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। সরকার ধর্ষকদের বিচার করতে না পারলেও, ধর্ষণের প্রতিবাদে আন্দোলনকারী উপর খড়গহস্ত হয়েছে। পুলিশ দিয়ে হামলা করে পরবর্তীতে তাদের নামেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্রমাগত অভ্যুত্থানের চেতনা থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। সমাবেশে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন রায়হান উদ্দিন। দাবিগুলো হচ্ছে-১.আছিয়াসহ সকল হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়নের বিচার করতে হবে। ২.‘ব্যর্থ’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণ করতে হবে। ৩. জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। ৪. মসজিদ, মন্দির, মাজারে হামলাকারী মব সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে। ৫. চট্টগ্রাম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ, যৌথ বাহিনী দ্বারা শ্রমিক হত্যার বিচার করতে হবে। ৬. সাগর-রুনি, তনু, আফসানা, মুনিয়াসহ পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ আমলে সংগঠিত হত্যার বিচার করতে হবে। ৬. হিন্দু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা, লুটপাটের বিচার করতে হবে। এতে বক্তব্যে রাখেন, সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল), পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) প্রতিনিধিরা।
এদিকে, গতকাল শনিবার শাহবাগ থেকে শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করে ইনকিলাব মঞ্চ। শহীদ মিনারে গিয়ে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় সেখানে বক্তব্য দেয়ার কথা প্লাটফর্মটির নেতাদের। কিন্তু তারা শাগবাগ থেকে পদযাত্রা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবির হাট পর্যন্ত গিয়ে আবার শাহবাগে ফিরে এসে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরআগে দুপুর ১২টায় তারা শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করেন। এর আগে বেলা ১১টায় জুলাই, শাপলা ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণ এবং ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবিতে শাহবাগে জমায়েত হয় ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা-‘বিচার বিচার বিচার চাই, শাপলার বিচার চাই’, ‘শাহবাগ না বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, শ তে শাহবাগী, তুই হাসিনা তুই হাসিনা’, ‘ল তে লাকী আক্তার তুই হাসিনা তুই হাসিনা’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, শাহবাগের বিচার চাই’, ‘শাহবাগী/মবতন্ত্র/সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘দিল্লী না ঢাকা’’ ঢাকা ঢাকা’, ইত্যাদি সেøাগান দিতে থাকেন। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদী বলেন, আমরা মার্চ নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে যাব। আমরা কারো গায়ে হাত দেব না। কেউ আমাদের গায়ে হাত তুলতে আসলে আমরা তাকে আঘাত না করে পুলিশে দেব। তাদের বিচার হওয়ার আগে পর্যন্ত আমরা থানায় অবস্থান করবো। আমরা জানতে চাই, আমাদের কেন আটকানো হলো? শহীদ মিনারে যদি শাহবাগের কসাই লাকী আক্তার তারা সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে থাকে আপনারা আমাদের আটকে রাখতে পারবেন না। আমরা যাবোই সেখানে। আমরা তাদের ৫ মিনিট সময় দিচ্ছি। এর মধ্য যদি তারা সেখান থেকে লেজ গুটিয়ে পালায় আমরাও ঘরে ফিরে যাব। তিনি বলেন, শাহবাগ হলো ফ্যাসিবাদের আস্তানা। এই শাহবাগ বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করেছে। তারা আয়নাঘর তৈরি করেছে। তারা এ দেশের ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার শত্রু। দেশের সার্বভৌমত্বের স্বার্থে কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। পরে শহীদ মিনারে বাম সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে গণমিছিল প্রত্যাহার করায় শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা স্থগিত করে ইনকিলাব মঞ্চ। কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ২৫ এপ্রিল শাহবাগে ‘শহীদী সমাবেশ’ করা হবে। পরে শাহবাগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কর্মসূচি ঘোষণা করে ২ দফা দাবি জানান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীর উসমান হাদী। ইনকিলাব মঞ্চের দাবিগুলো হলো-১. জুলাই, পিলখানা, শাপলা গণহত্যার বিচার করতে হবে। ২. গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে শরীফ উসমান হাদী বলেন, ২৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকেল ৩টায় আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও জুলাই, পিলখানা, শাপলা গণহত্যার বিচারের দাবিতে আমরা শাহবাগে ‘শহীদী সমাবেশ’ কর্মসূচি ঘোষণা করলাম। এদিন জুলাই শহীদের বাবা মায়েরা, শাপলার শহীদের বাবা-মায়েরা, পিলখানায় শহীদের সন্তানেরা উপস্থিত থাকবেন। তবে এর আগে যদি লাকী আক্তার গং আবার কোথাও দাঁড়াতে চায় আমরা ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে তাদের রুখে দেব। তিনি বলেন, শাহবাগে যারা ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটিয়েছে তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তি প্রদান করতে হবে। আমরা জানতে পেরেছি, দেশকে অস্থিতিশীল করতে আওয়ামী লীগ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে। জাতিসংঘের মহাসচিবের সামনে দেশকে অস্থিতিশীল হিসেবে দেখাতে এই প্রচেষ্টা করছে শাহবাগিরা। আজকে যদি আমরা শাহবাগে অবস্থান না করতাম তারা আবার শাহবাগ দখল করে আরেকটা শাহবাগ করতো। তারা আজকে শহীদ মিনারে ১০ মিনিট দাঁড়িয়েই লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। সেজন্য আমরা আজকে আর শহিদ মিনারে যাইনি। এরপর তোমরা যেখানেই দাঁড়াবা আমরা সেখানেই তোমাদের প্রতিহত করতে যাব। এ দেশে আর কোনো শাহবাগ কায়েম করতে দেব না আমরা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

ইনকিলাব মঞ্চ-বাম ছাত্রদের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা
- আপলোড সময় : ১৬-০৩-২০২৫ ০৫:০২:০৪ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৬-০৩-২০২৫ ০৫:০২:০৪ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ