ঢাকা , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ , ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন চয়নিকা চৌধুরী রিমান্ড শেষে কারাগারে পলক ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন শেখ হাসিনাসহ ইসি কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা সংস্কারের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চায় ভাসানী অনুসারি পরিষদ ওসি আলিমের দখল ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস রাখাইনে মানবিক করিডোর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয় : রাষ্ট্রদূত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার-আহতদের ফ্ল্যাট দেবে সরকার সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগে ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষার মানোন্নয়নে বিনিয়োগে আগ্রহী জাইকা গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হলে পোশাক শিল্পে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানি সম্ভবÑ আইটিইটি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা নিহত ৫ ৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ আসছে চট্টগ্রাম বন্দরে : আশিক চৌধুরী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে মন্ত্রণালয় ঘেরাও নারীবিদ্বেষী সব ধরনের প্রচারণা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি টিউলিপ সিদ্দিককে দুদকে তলব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জাল থেকে বেরোতে পারছে না সরকার ফেনীতে ৩ সমন্বয়ককে পিটিয়ে আহত মেহেরপুরে মাইক্রোবাস ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩

খরায় পুড়ছে চা-বাগান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা

  • আপলোড সময় : ১৪-০৩-২০২৫ ০১:০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৩-২০২৫ ০১:০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন
খরায় পুড়ছে চা-বাগান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
দীর্ঘ অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন চা-বাগানে। এর ফলে চা-গাছ বিবর্ণ হয়ে মারা যাচ্ছে। নদনদী, ছড়া, জলাশয় ও লেক শুকিয়ে যাওয়ায় চাহিদামতো সেচ দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চায়ের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলায় ২২টি চা-বাগান রয়েছে। এর মধ্যে অনেক চায়ের টিলা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে বাড়ছে না চা-গাছের কুঁড়ি।
আসছে না নতুন পাতাও। খরায় নতুন সৃজিত চা-এর ৩০ শতাংশ চারাগাছ ও ১০ শতাংশ পুরাতন চা-গাছ পুড়ে গেছে। চা-বাগান কর্তৃপক্ষ কিছু কিছু টিলায় নিয়মিত সেচ দিয়ে এ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে। গত তিন-চার মাসে কমলগঞ্জে হালকা কোনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চলমান দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে উপজেলার চা-বাগানের নতুন সৃজিত চা-গাছগুলো রোদে পুড়ে মারা যাচ্ছে। অনাবৃষ্টির ফলে চা-বাগানের নার্সারি বাগানসমূহেও ফড়িংয়ের আক্রমণেরও শিকার হচ্ছে। শীত মৌসুমে চা-বাগানগুলোতে পুরাতন বৃদ্ধ চা-গাছ উপড়ে ফেলে সেখানে নতুন করে চারা-গাছ লাগানো হয়। বাগানের প্লান্টেশন এলাকার চা-গাছ কাটিং (আগাছা ছেঁটে দেয়া) হয়। এসব কাজের পর নিয়মিত সেচ দেয়ার প্রয়োজন হয়।
চা-বাগানের একটি সূত্র জানান, এ সময়ে সাধারণত চা-বাগান অঞ্চলে ১৫ সেন্টিমিন্টার বৃষ্টিপাত হয়। তবে এ বছর এ সময়ে শুরু হয়েছে খরা। তিনি আরও বলেন, মাঘ মাসের বৃষ্টি চা-বাগানের জন্য খুবই উপকারী। মাঘে কোনো বৃষ্টি না হওয়ায় চলমান অনাবৃষ্টিতে চা-বাগান প্লান্টেশন এলাকাধীন পানির উৎস খুঁজে তা আটকিয়ে কিছু অংশে সেচ দেয়ার চেষ্টা চলছে। আর যেসব প্লান্টেশন এলাকায় সেচ দেয়া যাচ্ছে না, সেখানকার নতুন সৃজিত চারাগাছ মরে যাচ্ছে।
চাশিল্পে কর্মরতদের ধারণা, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে চাশিল্পেও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। চা-গাছ মরে যাওয়ার প্রধান কারণ প্রতিকূল আবহাওয়া। তাদের মতে চা-গাছের ছায়াদানকারী গাছ উজাড় বন্ধ করা ও চা-বাগানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীনালা, ছরা, খাল খনন করে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই সমস্যা সমাধান করতে হবে।
বাংলাদেশ চা সংসদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বলেন, চা-গাছ রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েও পানির অভাবে সেচ দেয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনিতেই চা রফতানি আগের তুলনায় কমে গেছে। এরপর যদি উৎপাদনঘাটতি হয়, তাহলে তার প্রভাব হবে অন্যরকম।
বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বলেন, বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এখন কোনো উৎপাদন নেই। তবে দু’-একটি বাগানে পাতা চয়ন শুরু হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুকূল নয়। বর্তমানে প্রতি কেজি চায়ের উৎপাদনে খরচ হয় ২২০ টাকা আর বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। কেজিতে ৪০ টাকা ঘাটতি দিয়ে চাশিল্প কতক্ষণ টিকে থাকবে। সরকারি মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) পরিচালক মহসিন মিয়া মধু সাংবাদিকদের জানান, চায়ের উৎপাদন খরচ অব্যাহতভাবে বাড়ছে। যা বাগান মালিকদের জন্য অস্বস্তিকর।
বাংলাদেশ চা সংসদের সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান ও জেমস ফিনলে চা কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোহাম্মদ শিবলী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ২০২৪ সালে চা-বাগানে গ্রীষ্মকালে তীব্র খরা বয়ে গেছে। তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছিল। এই তাপমাত্রা চা-গাছের জন্য অনুকূল ছিল না। এছাড়া সার, সেচ, কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচের কম মূল্যে চা বিক্রির প্রভাবের কারণে চায়ের উৎপাদন কম হয়েছে। এছাড়া জাতীয় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ১০ ভাগ অবদান রাখা এনটিসি চা-বাগানগুলোতে বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে গত চা মৌসুমে দীর্ঘ সময় জুড়ে শ্রমিক ধর্মঘট চলায় বাগানের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এসব মিলিয়ে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাঘাত ঘটে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার-আহতদের ফ্ল্যাট দেবে সরকার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার-আহতদের ফ্ল্যাট দেবে সরকার