ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ , ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পরনের কাপড় টিভি ফ্রিজ খাট টাকা সব পুড়ে শেষ বস্তিতে আগুন ঢাকা মেডিকেলের আউটডোরে চিকিৎসা বন্ধ পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধির রেকর্ড ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশু গাজীপুরে উদ্ধার মাগুরার সেই শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ডাক্তার দেখাতে না পেরে রোগীদের বিক্ষোভ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অভিমুখী চিকিৎসকদের পদযাত্রায় বাধা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলো পুলিশ যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা শিক্ষকদের পুলিশের জলকামান-লাঠিচার্জ এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না আজ সারাদেশে ২ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির ডাক ইসি কর্মীদের ওআইসিভুক্ত মিশন প্রধানদের কাছে ভোটের প্রস্তুতি তুলে ধরবেন সিইসি প্রক্সি ভোটে বড় সংশয় ‘বিশ্বাস’ পুলিশের জন্য বিপুলসংখ্যক গাড়ি কেনার উদ্যোগ ১৫ বছরের নিচে কেউ হজে যেতে পারবে না আবাসন ব্যবসায়ীদের দুর্দিন কাটছে না যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন আলোচনায় বসবো না যা ইচ্ছা করুন মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানে কিল সুইচ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অভিমুখী চিকিৎসকদের পদযাত্রায় বাধা

  • আপলোড সময় : ১৩-০৩-২০২৫ ১১:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৩-২০২৫ ১১:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অভিমুখী চিকিৎসকদের পদযাত্রায় বাধা
হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে এক দফা দাবি পূরণ হলেও বাকি চার দফা দাবি আদায়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চিকিৎসকরা। তাদের এই পদযাত্রা দোয়েল চত্বরে যেতেই বাধা দেয় পুলিশ। তবে সেখান থেকে বাধা উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগুতে থাকেন চিকিৎসকরা। পরে হাইকোর্ট মোড় হয়ে শিক্ষাভবনের সামনে গেলে সেখানে আগে থেকেই দেওয়া পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে যায় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পদযাত্রা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলেন, আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করি। কিন্তু পুলিশ আমাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আজ যদি চিকিৎসকদের সঙ্গে খারাপ কিছু হয়, এর দায়ভার ডা. সাইদুর রহমান এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে নিতে হবে। বাকি চার দফা দাবি পূরণ না হলে আমরা ঘরে যাবো না। ডা. হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, আমাদের পাঁচ দফার এক দফা পূরণ হয়েছে। পাঁচ দফা আদায় করতেই হবে। গতকাল বুধবার দুপর ১টা ২০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পদযাত্রা শুরু করেন চিকিৎসকরা। দোয়েল চত্বরে এলে পুলিশ তাদের অনুরোধ করে, সবাই না গিয়ে প্রতিনিধি পাঠাতে। কিন্তু চিকিৎসক এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দোয়েল চত্বর পার হয়ে যান। পরে শিক্ষাভবনের সামনে চিকিৎসকদের পদযাত্রা আটকে দেয় পুলিশ। এর আগে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বেলা ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন চিকিৎসকরা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ কর্মসূচিতে চিকিৎসক এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবি হলো- ১. এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া কেউ ‘চিকিৎসক’ লিখতে পারবেন না। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে হাসিনা সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে। এ ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি লিস্টের বাইরের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরের কোনও ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না। ৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সব শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতি বছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। চিকিৎসকদের বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে। ৪. সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে। এরই মধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এ ক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে, ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে চিকিৎসক সমাজের প্রতিবাদের মুখে সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, যা আজ সাত মাস পেরিয়েও কোনও আলোর মুখ দেখেনি। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স