ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পুলিশের জন্য বিপুলসংখ্যক গাড়ি কেনার উদ্যোগ ১৫ বছরের নিচে কেউ হজে যেতে পারবে না আবাসন ব্যবসায়ীদের দুর্দিন কাটছে না যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন আলোচনায় বসবো না যা ইচ্ছা করুন মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানে কিল সুইচ সংঘাত থেকে বাঁচতে লেবাননে পালাচ্ছেন সিরীয়রা ইউক্রেনের পর ৩ দেশে হামলা করবেন পুতিন বিপরীতমুখী অবস্থানে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র নিহত ২৭ সশস্ত্র হামলাকারী উদ্ধার ১৫৫ যাত্রী অনুপ্রবেশে ৫ বছর কারাদণ্ড লিভারপুলকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টারে পিএসজি লেভারকুজেনের সাথে জয় পেলো বায়ার্ন বেনফিকার বিপক্ষে সহজ জয় পেলো বার্সা আফগানিস্তান সিরিজ বাতিল করলো আয়ারল্যান্ড জানা গেলো যে জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই শামীম তামিমের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, বড়ো ব্যবধানে জয় পেলো মোহামেডান কোন ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরছে বাংলাদেশ টাইগার্স আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আফগানিস্তানকে নিষিদ্ধের আহ্বান রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিব
ইফতার মাহফিলে তারেক রহমান

জনগণের সমস্যা সমাধানে রাজনীতিবিদদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে

  • আপলোড সময় : ১২-০৩-২০২৫ ০৩:৩৩:০৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৩-২০২৫ ০৩:৩৩:০৯ অপরাহ্ন
জনগণের সমস্যা সমাধানে রাজনীতিবিদদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে
জনগণের সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, জনগণকে ঘিরে আমরা রাজনীতি করি। সুতরাং আজকে দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে। রাজনীতিবিদরা কেন এসব বিষয়ে বেশি বেশি ডিবেট করছে না যে, আমি কীভাবে বাজার ব্যবস্থাপনা সাজাব? উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো হবে? এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। জাতির সামনে এসব নিয়েও কথা বলা উচিত। গতকাল মঙ্গলবার ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনপডিএম) ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শুধু সংস্কার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হলেই চলবে না। কোনো দল ক্ষমতায় আসলে কীভাবে সমস্যার সমাধান করবে? এসব নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তারেক রহমান বলেন, আমাদের ভিন্ন-ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু আমরা গণতন্ত্র ও একটি মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে সবাই ঐকমত্য। যেখানে মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে। দেশের বহুল আলোচিত বিষয় হচ্ছে সংস্কার উল্লেখ করে বিএনপি শীর্ষ এই নেতা বলেন, বিশেষ করে আমরা ছোট, বড়, মাঝারি সব রাজনৈতিক দল মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও একটি সুন্দর পরিবেশের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। প্রায় সব দল মিলে জাতির সামনে আড়াই বছর আগে ৩১ দফা প্রণয়ন করেছি। যখন অনেকেই সংস্কারের কথা বলেননি। আমরা স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সংস্কারের কথা বলেছি। আজকে অনেকেই অনেক কথা বলছেন সংস্কার নিয়ে। আমরা স্বাগত জানাই। তবে, রাজনীতির মূল লক্ষ্য হলো জনগণ এবং দেশ। অবশ্যই সংস্কারের প্রয়োজন আছে। এসব নিয়ে আলোচনা থাকবেই। বাংলাদেশে এক কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের পরিবর্তে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট হলে কী কী হবে, এসব নিয়ে আলোচনা আছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নিয়ে কথা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়ে কথা হচ্ছে। তারেক রহমান বলেন, প্রায় ২০ কোটি মানুষের দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা কী হবে? বাজার ব্যবস্থা কী হবে? এসব নিয়ে কথা বলার নামও তো সংস্কার। শুধু কী নির্বাচনের সময় বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা বলাই কী সংস্কার? যাতে মানুষ মিনিমাম চিকিৎসা সুবিধা পায় সেটিও ভাবতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষা দিতে হলে একটি শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। এ বিষয়েও ডিবেট বা কর্মপরিকল্পনা থাকা উচিত প্রত্যেকটি দলের। শিক্ষা ব্যবস্থাকে কীভাবে দেখতে চাই, সেটিও সংস্কারের অংশ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদেরকে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। ২০ কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান করা ও চাহিদা মেটাতে হলে এটা করতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন খাল খননের মাধ্যমে কৃষক যে জমিতে এক ফসল হতো সেখানে দুইবার ফসল ফলিয়েছেন। যেখানে দুইবার ফসল হতো সেখানে তিনবার ফসল ফলিয়েছেন। বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। তিনি কৃষকের মেরুদণ্ড ধীরে ধীরে মজবুত করেছিলেন। এটিও তো অনেক বড় সংস্কার। আমাদেরকে শিল্পন্নোয়নের কথা ভাবতে হবে। কীভাবে উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তা দেয়া যায় সে বিষয়েও চিন্তা করতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। এটাও কিন্তু অনেক বড় সংস্কার। তারেক রহমান আরও বলেন, আমি বহু বছর ধরে দেশের বাইরে। ঢাকা শহরসহ সারা দেশে পরিবেশ দূষণ তীব্রতর হচ্ছে। পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন। আমরা কী রাজনৈতিক দলগুলো এসব নিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারি না? কীভাবে উন্নতি ঘটাতে পারি? দূষণ কমাতে পারি। আমি তো মনে করি এই দূষণ কমানোও সংস্কারের অংশ। কারণ লাখ-লাখ মানুষ দূষণের কারণে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে পারে। এনডিএম’র চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক এবং পেশাজীবীরা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স