ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পুলিশের জন্য বিপুলসংখ্যক গাড়ি কেনার উদ্যোগ ১৫ বছরের নিচে কেউ হজে যেতে পারবে না আবাসন ব্যবসায়ীদের দুর্দিন কাটছে না যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন আলোচনায় বসবো না যা ইচ্ছা করুন মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানে কিল সুইচ সংঘাত থেকে বাঁচতে লেবাননে পালাচ্ছেন সিরীয়রা ইউক্রেনের পর ৩ দেশে হামলা করবেন পুতিন বিপরীতমুখী অবস্থানে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র নিহত ২৭ সশস্ত্র হামলাকারী উদ্ধার ১৫৫ যাত্রী অনুপ্রবেশে ৫ বছর কারাদণ্ড লিভারপুলকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টারে পিএসজি লেভারকুজেনের সাথে জয় পেলো বায়ার্ন বেনফিকার বিপক্ষে সহজ জয় পেলো বার্সা আফগানিস্তান সিরিজ বাতিল করলো আয়ারল্যান্ড জানা গেলো যে জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই শামীম তামিমের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, বড়ো ব্যবধানে জয় পেলো মোহামেডান কোন ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরছে বাংলাদেশ টাইগার্স আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আফগানিস্তানকে নিষিদ্ধের আহ্বান রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিব
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

পদযাত্রায় সংঘর্ষে শিক্ষার্থী-পুলিশ আহত

  • আপলোড সময় : ১২-০৩-২০২৫ ০৩:২৮:৫১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৩-২০২৫ ০৩:২৮:৫১ অপরাহ্ন
পদযাত্রায় সংঘর্ষে শিক্ষার্থী-পুলিশ আহত
আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে ব্যর্থতা’র দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সব ধর্ষণের বিচারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম। তবে ঢাকার শাহবাগ পার হওয়ার পর পুলিশ তাদের আটকে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্য আহত হন। বিকেল পৌনে চারটার দিকে পদযাত্রাটি শাহবাগ পার হয়ে বাংলামোটরের দিকে যাওয়ার সময় ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়া হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি ঘটনার পর সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পদযাত্রায় অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা বলেন, সারা দেশে অব্যাহতভাবে খুন-ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। যা ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যর্থ হয়েছেন। তাকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে। এসব নিপীড়নের বিচার করতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনাসহ সব ধর্ষণকাণ্ডের বিচার, অংশীজনদের অংশগ্রহণে ধর্ষণ ও নিপীড়ন প্রতিরোধের আইনসমূহের যৌক্তিক সংস্কার, কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়নবিরোধী সেল আইন করে কার্যকর করার দাবিও জানান তারা। পদযাত্রায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সীমা আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া শাইনা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যান ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্লাটফর্ম সদস্যরা। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশ সদস্যরা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্লাটফর্ম সদস্যদের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে রওনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশেপাশে সভা-সমাবেশের ওপর ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থামিয়ে দেয়া হয় এবং তাদের একটি ছোট প্রতিনিধিদলকে স্মারকলিপি জমা দিতে বলা হয়। এ সময় তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে এবং একজন পুলিশ সদস্যের ওপর চড়াও হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। এর আগে মাগুরায় শিশু ধর্ষণসহ সারা দেশে নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় একে একে রাজধানীর কমপক্ষে ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। আস্তে আস্তে মিছিল ভারী হতে থাকে। তারা পুলিশকে কথা দিয়েছিলেন শাহবাগ মোড়ে যাবেন না। জাদুঘরের সামনেই থাকবেন। সে অনুযায়ী জাদুঘরের আশপাশেসহ শাহবাগ এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়েই আচমকা শাহাবাগ মোড়ে গিয়ে বসে পড়েন একদল শিক্ষার্থী। আর বাকিরা যানবাহন আটকিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। ২৪ এর বাংলাদেশে ধর্ষকের ঠাই নেই, আমার বোনের কান্না আর না আর না, সারা বাংলায় খবর দে ধর্ষকদের কবর দে, তুমি কে আমি কে আছিয়া আছিয়া, একটা একটা ধর্ষক ধর ধইরা ধইরা জবাই কর। ইন্টেরিম জবাব দে নইলে হাতে চুড়ি দে। এমন না না স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা নানাভাবে বুঝিয়ে তাদেরকে শাহবাগ মোড় ত্যাগে রাজি করাতে সক্ষম হন। ১৫ মিনিট পর তারা জাদুঘরের সামনে ফিরে যান। তবে এর আগে ৬ দফা দাবি পেশ করেন শিক্ষার্থীরা। বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজের শিক্ষার্থী মো. নকীব সাদাত মাইকে শিক্ষার্থীদের নিবৃত করে বলেন- দেশে ধর্ষণের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। এ সরকারের কাছে আমাদের অনেক বড় প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু আমরা দিন দিন আশাহত হচ্ছি। এ কারণে আমরা আজ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি। সরকারের কাছে আমরা ছয়টি দাবি পেশ করেছি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স