ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ , ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সফর হবে দু’দেশের জন্য মাইলফলক স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হবে আজ স্বরূপকাঠির সুটিয়াকাঠি বলদিয়া সংযোগ সেতুর বেহাল দশা ভারত থেকে এলো সাড়ে ১১ হাজার মেট্রিক টন চাল সাতক্ষীরায় গাছে ঝুলছিল যুবকের লাশ শেখ হাসিনা রাইফেল দিয়ে ইতিহাস পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন- রিজভী শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের ভিসা ফি বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য মাদারীপুরে শ্রমিকদলের একাংশের সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যা রাজধানীতে ছিনতাই চাঁদাবাজি অনেকাংশে কমে গেছে : ডিএমপি কমিশনার আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি নাহিদের ঐকমত্য কমিশনে প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে নেজামে ইসলাম পার্টি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কারো হস্তক্ষেপ কাম্য নয়- সারজিস ছাত্রনেতারা আগ্রহ নিয়ে তার কাছে গিয়েছিলেন : নুর বর্জ্য পৃথকীকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে-পরিবেশ উপদেষ্টা বিপর্যয়ে ট্রাভেল এজেন্সি খাত সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত না করার আহ্বান জাতীয় পার্টি মহাসচিবের একনেকে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি টাকার ১৫ প্রকল্প অনুমোদন জনগণের ইস্যুগুলো নিয়ে কথা বলা উচিত এটাই রাজনীতি-তারেক রহমান ৭১ ও ২৪ এক কাতারে রাখায় দ্বিমত বিএনপির টিক চিহ্ন নয়, সংস্কারের উপযুক্ত পদ্ধতি আলোচনা

একটি দল সম্পর্কে লিখছেন না, সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস

  • আপলোড সময় : ১১-০৩-২০২৫ ১০:৫১:২৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৩-২০২৫ ১০:৫১:২৫ অপরাহ্ন
একটি দল সম্পর্কে লিখছেন না, সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, গত ১৭ বছরে অবৈধভাবে যেসব ব্যবসায়ীরা টাকা কামিয়েছেন তারা দেশ ধ্বংস করতেই সেই টাকা খরচ করছেন। ছাত্র জনতার আন্দোলনের সফলতার শেষ মুহূর্তে গত বছরের ৩ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যবসায়ী সম্মেলনে কোন কোন ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন তা গণমাধ্যম প্রকাশ করার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে একটি রেস্টুরেন্টে গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে আমরা বিএনপি পরিবার আয়োজিত ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, এসব ব্যবসায়ীদের অনেকের নামে হত্যা মামলা থাকলেও কেন তারা গ্রেফতার হচ্ছেন না? শুধুমাত্র ব্যবসায়ী নয়, সচিবালয়ে খবর নেন। সেখানে আওয়ামী লীগের দোসররা এখন অবস্থান নিয়ে আছে। তাদের অনেকেই এখনো আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করার চেষ্টা করছেন। একটি বিশেষ দলকে নিয়ে কেউ নিউজ করে না বলে অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আপনারা শুধুমাত্র বিএনপিকে নিয়ে নিউজ করেন। ওই দলকে কারা টাকা দেয়, কারা হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করে দেয় সেটিও জাতির সামনে প্রকাশে সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করেন তিনি। মির্জা আব্বাস বলেন, সাংবাদিকদের অবদান খাটো করে দেখার সুযোগ নাই। সাংবাদিকবিহীন কোনো জাতি-রাষ্ট্র আছে বলে আমি মনে করি না। সাংবাদিক বিহীন কোনো রাষ্ট্র যদি থাকে অবশ্যই সেটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অবশ্যই স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য প্লাটফর্ম থাকতে হবে।
সাংবাদিকদের প্রচেষ্টা ও কার্যক্রমের বিনিময়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের শুধু ঘটনা নিয়েই কাজ করা নয়, তাদের কোথায় কি হতে যাচ্ছে এ বিষয়েও কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসরা কে কোথায় অবস্থান করছেন, কার কি অবস্থা, কি করেছেন, সবগুলোই বের করা সাংবাদিকদের দায়িত্ব জানান তিনি। সমালোচনা করে তিনি বলেন, একটি বিশেষ দল সম্পর্কে সাংবাদিকরা কিছু লিখছেন না। শুধু বিএনপির বিরুদ্ধে লিখছেন। পর্দার অন্তরালয়ে অনেক কিছুই ঘটছে সেগুলো কিন্তু আপনার লিখছেন না। কোন ব্যবসায়ী কোন দলকে কত টাকা দেয়, কোন দল কোন ব্যবসায়িকে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, কোন ব্যবসায়ীকে বাঁচাতে চেষ্টা চালাচ্ছে, এগুলো কিন্তু আপনারা লিখছেন না। অনেক ব্যবসায়ী হত্যা মামলার আসামি তাদের বিরুদ্ধে লিখছেন না, এমনকি জুলাই আগস্টে হত্যাকাণ্ডের পরেও তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু লিখছে না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা কেন লিখছেন না? এতে জাতির ক্ষতি হচ্ছে। জুলাই আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যার পক্ষে ছিল যে ব্যবসায়ীরা তাদের মধ্যে কে গ্রেফতার হলো, কে হলো না, কেন হলো না এগুলো লিখতে হবে। ব্যবসায়ীরায় গেল ১৭ বছর অবৈধভাবে হাজার কোটি টাকা ইনকাম করেছে এরাই পরের ১৭ বছর এই টাকা ব্যয় করবে দেশকে ধ্বংস করতে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের লেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ওদের সাবধান করেন। ওরা মনে করে টাকা হলেই সাংবাদিকদের কেনা যায়। কিন্তু টাকা হলেই সাংবাদিক কেনা যায় না, আমি আমার জীবনে এমন বহু সাংবাদিক দেখেছি। তবে কিছু কিছু সাংবাদিককে টাকা হলে কিনা যায়, যারা জাত সাংবাদিক নয়। ১৫ বছর অবৈধ টাকা কামাই করে যারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়, এরা এভাবে ঘুরলে দেশ অসুস্থ হয়ে পড়বে, গণতন্ত্র অসুস্থ হয়ে পড়বে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আমরা যেন নতুন বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে নতুন কোন ভুল না করি। ছাত্র এবং পাশাপাশি জনতার যে অভ্যুত্থান সেটির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ঠিক রেখেই আমাদের চলতে হবে। তিনি বলেন, এখনো কেন সাংবাদিকতার বিকাশে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করা হয়নি? সাবেক একজন তথ্যমন্ত্রী হিসেবেও আমি আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে জিজ্ঞাসা করতে চাই এ আইন কার স্বার্থে এখনো বলবৎ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, দলের কঠিন দুঃসময়ে সাংবাদিকরা ছিলেন আমাদের অন্যতম ভরসা। সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য জাতি জানতে পেরেছে। আগামীতেও সবসময় সাংবাদিকদের সহযোগিতা বিএনপি পাবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। আমরা বিএনপি পরিবার আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে ইফতার পার্টিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ও দলের যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, মিডিয়ার সেলের আহবায়ক ড. মওদুদ আলমগীর পাভেল ও সদস্য বিএনপি নেত্রী শাম্মী আক্তার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম রনি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স