
দেশে অভুক্ত ও অর্ধভুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে-জিএম কাদের
- আপলোড সময় : ১০-০৩-২০২৫ ০১:৪১:১৬ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১০-০৩-২০২৫ ০১:৪১:১৬ অপরাহ্ন


দেশে অভুক্ত ও অর্ধভুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ের মিলনায়তনে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মতবিনিময় সভায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন এই অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নেই। কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। বাড়ছে বেকারত্ব। এরই মধ্যে প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে আকাশচুম্বী হচ্ছে। একারণেই, দেশে অভুক্ত ও অর্ধভুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, রাজনীতির নামে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের জন্য উশৃঙ্খল জনতার অভাব হয় না। সরকার ঘনিষ্ঠ মহল ভাবাদর্শের এ সকল জনতাকে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনী বাঁধা দিচ্ছে না, অনেক ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে বা করতে বাধ্য হচ্ছে। এই সুযোগে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী বাহিনী যে কাউকে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের দোসর ট্যাগ দিয়ে তার সহায় সম্পদ লুটপাট করতে পারছে। বিনা বাঁধায় মানুষকে অত্যাচার, নির্যাতন ও হেনস্তা করার যেন লাইসেন্স পেয়ে গেছে উচ্ছৃংখল জনতা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশে মবক্রেসী বা মবতন্ত্র চলছে।
জি এম কাদের বলেন, সম্প্রতি গুলশানের একটি বাসায় লুটপাটের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে, অথচ লুটের ঘটনায় ৮০/৯০ জন মানুষ উপস্থিত ছিল বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়। বাকি মানুষ কি কারণে দায় মুক্তি পেল, বোঝা গেল না। ঢালাওভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিগত সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এতে করে তাদের মনোবল দূর্বল করে দেয়া হয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন কে অনেক ক্ষেত্রেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে, সেকারণে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলেও মনে হচ্ছে না। এভাবে বেশি দিন চলতে থাকলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত হবে বলে আশঙ্কা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য-মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, মো. শাহজাহান মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব সামসুল হক, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারী খন্দকার দেলোয়ার জালালী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য-কাজী আবুল খায়ের, মাহমুদ আলম, এম এ রাজ্জাক খান, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক-মেজবাহ উদ্দিন মিলন, মিরপুর থানা সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি মেফতাহ উদ্দিন জসিম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ শান্ত, জাতীয় তরুণ পার্টির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন মৃধা, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক সুজন, জাতীয় ছাত্রসমাজের আহ্বায়ক মারুফ ইসলাম তালুকদার প্রিন্স, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান রেজা, জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শিপন, সদস্য সচিব-মো. আব্দুর রহিম, জাতীয় হকার্স পার্টি আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, উত্তর খান থানা সভাপতি আলাল মেম্বার।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ