জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার স্বীকৃতি সংক্রান্ত ৯ দফা দাবি জানিয়েছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস ফাউন্ডেশন’। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান। সংগঠনের ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে অন্তর্ভুক্ত করা, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে হোমিওপ্যাথির স্বীকৃতি নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য বাজেটে হোমিওপ্যাথির জন্য ১০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা হোমিওপ্যাথিক অধিদফতর প্রতিষ্ঠা, ডিএইচএমএস কোর্সকে স্নাতক মান নির্ধারণ, শিক্ষকদের শতভাগ বেতন ও ভাতা দেওয়া, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ আমদানি ও বিক্রিতে শুধু ‘হোমিওপ্যাথিক আইন ২০২৩’ কার্যকর রাখা এবং বায়োকেমিক চিকিৎসা পদ্ধতির কোর্স চালু করা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার কথা উল্লেখ থাকলেও হোমিওপ্যাথির কোনও স্বীকৃতি নেই। তারা এ অবহেলা দ্রুত সংশোধনের দাবি জানান। এছাড়া, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রসারে একটি আলাদা অধিদফতর গঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন এবং জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করার দাবি তুলে ধরেন বক্তারা। তারা বলেন, এসব দাবি পূরণ করা হলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা আরও সমৃদ্ধ হবে এবং জনগণ সহজে সাশ্রয়ী চিকিৎসাসেবা পাবে। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দাবি বাস্তবায়িত না হলে তারা পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ওমর কাউসার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন হোমিওপ্যাথিক সংগঠন, মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও চিকিৎসকরা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের ৯ দফা দাবি
- আপলোড সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ১১:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ১১:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ