ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি

খোলামেলা ইফতারির দোকান, খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

  • আপলোড সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ১১:৩২:৫৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ১১:৩২:৫৩ অপরাহ্ন
খোলামেলা ইফতারির দোকান, খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
রমজানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাহারি ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। মুখরোচক নানা পদ থাকে অস্থায়ী এসব দোকানে। স্থায়ী হোটেলগুলোতেও থাকে বাড়তি আয়োজন। রোজাদারদের কথা ভেবে অনেক দোকানে পরিবেশ নিয়ে বাড়তি সতর্কতাও থাকে। এই সময়ের জন্য এটি স্বাভাবিক চিত্র। তবে যাত্রাবাড়ীতে ইফতার বাজারে দেখা গেছে ভিন্ন দৃশ্য। বেশিরভাগ দোকানই খোলামেলা। এতে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে ক্রেতাদের মনে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ মোড় থেকে শহীদ ফারুক সড়কের পুরোটাই ইফতারি বিক্রেতাদের দখলে। অপরদিকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, পার্ক মোড় ও জুরাইন রোডেও একটার সঙ্গে লাগোয়া আরেকটা ইফতারির দোকান। অলিগলিতেও একই অবস্থা। দুপুর ২টার পর থেকে ইফতারের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠে পুরো যাত্রাবাড়ী এলাকা। ভ্রাম্যমাণ ছোট ছোট দোকানগুলোতে রয়েছে নিয়মিত আইটেম ছোলা, মুড়ি, আলু চপ, পেঁয়াজু ও বেগুনি। বড় হোটেলগুলোতে নিয়মিত আইটেম ছাড়াও রয়েছে খাসির লেগ রোস্ট, আস্ত মুরগির লেগ রোস্ট, কোয়েলের রোস্ট, মোরগ মুসাল্লাম, বটি কাবাব, টিকা কাবাব, জিলাপি ও হালিম। এর বাইরেও রয়েছে তন্দুরি চিকেন ও নানা রকম শরবত। যদিও রাস্তার পশের দোকানগুলোর পরিবেশ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ক্রেতা। রাজধানীর প্রবেশদ্বার হওয়ায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় এমনিতেই যানবাহনের চাপ থাকে। এতে ধুলাবালির আধিক্য দেখা যায়। কিন্তু সে তুলনায় ইফতারির দোকানগুলোতে তেমন সতর্কতা দেখা যায়নি।
শহীদ ফারুক রোডের ক্রেতা আইনজীবী নুরউদ্দিন মিয়া জানান, গত পাঁচ বছর ধরে এই এলাকায় থাকছেন। ভোজনপ্রিয় হওয়ায় তিনি বাইরে থেকে ইফতার কিনতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুরান ঢাকার মতো ঐতিহ্যবাহী সব আইটেম পাওয়া না গেলেও মোটামুটি মানের পদ পাওয়া যায়। তাই প্রতি রমজানেই এখান থেকে ইফতার কেনেন। তবে তিনি মনে করেন, সেখানে অধিকাংশ ইফতারির দোকানেই ধুলার রাজত্ব। কেউ কেউ এ বিষয়ে কিছুটা সচেতন, তবে বেশিরভাগ দোকানিই উদাসীন। জুরাইন রোডের আরেক ক্রেতা সাকিনা বেগম বলেন, মাঝে মাঝে রমজানে বাইরে থেকে ইফতার কিনতে আসি। তবে ধুলাবালিপ্রবণ এলাকা হওয়ায় খাবারগুলো যতটা সম্ভব ঢেকে রাখতে বিক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শহীদ ফারুক রোডের আল ইসলাম হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের বিক্রেতা হাবিব বলেন, এলাকাটিতে ধুলাবালি একটু বেশি। তাই আমরা সেভাবেই ঢেকে রাখার চেষ্টা করি। তারপরও ক্রেতাদের চাপে অনেক সময় ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (অভিযোগ বিভাগ) মো. মাসুম আরেফিন গনমাধ্যমকে বলেন, ভোক্তাদের নিরাপদ খাবার নিশ্চিতের বিষয়ে আমরা সব সময়ই বদ্ধপরিকর। এবারের রমজানের শুরুতেই যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইফতারির খোলাবাজারে আমাদের ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে। পুরো রমজানে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স