ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫ , ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে অর্থনীতি স্থবির হবে না-অর্থ উপদেষ্টা কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ঘরমুখো মানুষের ঢল শেরপুরে পাটচাষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিরলে মতিউর রহমানের মডেল কৃষি বাড়ি দেখতে আসছেন অনেকে কলারোয়ায় তিন ‘স’ মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কুড়িগ্রামে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে জীবন্ত গরু-ছাগল সিরাজগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ঈদ উৎসবে জমজমাট ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬০৫২১ জন ক্রিমিয়া রেলসেতুতে ১১০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে হামলা যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইরানের সুদানে গৃহযুদ্ধের কারণে দেশ ছেড়েছেন ৪০ লাখ মানুষ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ৩৬ জনের মৃত্যু মার্কিন অভিনেতা জোনাথন জসকে গুলি করে হত্যা রোমান্টিক সময় কাটাচ্ছেন তাহসান-রোজা দম্পতি কাঁধে কাঁধ মেলালেন শাকিব-নিশো চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেলো তাণ্ডব ‘অপারেশন সিঁদুর’ কল্যাণ জয় পেয়েছে বেঙ্গালুরুর!

বাফুফের ওপর থেকে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

  • আপলোড সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ১০:২৯:৪৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ১০:২৯:৪৯ অপরাহ্ন
বাফুফের ওপর থেকে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
সাত বছর পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) অবশেষে মুক্ত হলো ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা থেকে। ২০১৮ সাল থেকে ফিফার কড়া নজরদারিতে থাকা বাফুফে এখন স্বাভাবিক নিয়মে অনুদান পাবে এবং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে।
বাফুফের প্রধান আয়ের উৎস ফিফার অনুদান। তবে ২০১৮ সালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ফিফা বিশেষ নজরদারি আরোপ করে। অনুদানের অর্থ পেলেও তা ধাপে ধাপে ছাড় করা হতো, যা বাফুফের জন্য ছিল এক ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি।
২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাফুফের ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিভিন্ন অসঙ্গতি ধরা পড়ে ফিফার তদন্তে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের এপ্রিলে বাফুফের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করা হয়। পরে ২০২৪ সালের মে মাসে তাঁর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে তিন বছর করা হয়। এ ছাড়া বাফুফের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আবু হোসেন ও ম্যানেজার (অপারেশন্স) মিজানুর রহমানকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
বাফুফের বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিশেষ করে ফিফার নির্ধারিত আর্থিক ব্যবস্থাপনার মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফিফার একটি অডিট প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে এবং তাদের পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফিফার এই সিদ্ধান্ত বাফুফের জন্য বড় স্বস্তি। এখন তারা শুধুমাত্র নিয়মিত অনুদানই পাবে না, বরং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্যও আবেদন করতে পারবে। অর্থের প্রবাহ স্বাভাবিক হওয়ায় দেশের ফুটবলের উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নের পথে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এখন বাফুফের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং ফিফার দেওয়া সুযোগগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স