ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ , ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মার্চ মাসে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ জন নারী-কন্যা শিশু সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি শিক্ষকদের মানহানির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন বাসস এমডি ড্যাপ সংশোধন নিয়ে মতপার্থক্য ত্রয়োদশ নির্বাচনের ভোটার তালিকায় ভুল থাকার শঙ্কা নকশাবহির্ভূত সব রেস্টুরেন্টের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ৬ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু শেখ হাসিনাকে চুপ রাখতে পারবেন না বলে জানান মোদি স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন দিলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর হচ্ছে আইন উচ্চ আদালতের ওপর আমাদের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই-আইন উপদেষ্টা দেশকে ভালোবাসলে কেউ পালাতে পারে না-জামায়াত আমির চীনা বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঢাকায় আসছেন ১০০ ব্যবসায়ী বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি সংলাপে সমাধানের পথ খুঁজছে বিএনপি জাবির ৯ শিক্ষক বরখাস্ত ২৫৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বহিষ্কার সেমিনারের ঘোষণা বিএনপির ৩ অঙ্গ সংগঠনের শুধু আ’লীগ করে বলে আমার স্বামীকে মেরে ফেলা হয়েছে বিজয়নগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ চট্টগ্রামে বন উজাড় করে অর্থনৈতিক অঞ্চল

বাফুফের ওপর থেকে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

  • আপলোড সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ১০:২৯:৪৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ১০:২৯:৪৯ অপরাহ্ন
বাফুফের ওপর থেকে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
সাত বছর পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) অবশেষে মুক্ত হলো ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা থেকে। ২০১৮ সাল থেকে ফিফার কড়া নজরদারিতে থাকা বাফুফে এখন স্বাভাবিক নিয়মে অনুদান পাবে এবং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে।
বাফুফের প্রধান আয়ের উৎস ফিফার অনুদান। তবে ২০১৮ সালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ফিফা বিশেষ নজরদারি আরোপ করে। অনুদানের অর্থ পেলেও তা ধাপে ধাপে ছাড় করা হতো, যা বাফুফের জন্য ছিল এক ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি।
২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাফুফের ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিভিন্ন অসঙ্গতি ধরা পড়ে ফিফার তদন্তে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের এপ্রিলে বাফুফের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করা হয়। পরে ২০২৪ সালের মে মাসে তাঁর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে তিন বছর করা হয়। এ ছাড়া বাফুফের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আবু হোসেন ও ম্যানেজার (অপারেশন্স) মিজানুর রহমানকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
বাফুফের বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিশেষ করে ফিফার নির্ধারিত আর্থিক ব্যবস্থাপনার মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফিফার একটি অডিট প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে এবং তাদের পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফিফার এই সিদ্ধান্ত বাফুফের জন্য বড় স্বস্তি। এখন তারা শুধুমাত্র নিয়মিত অনুদানই পাবে না, বরং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্যও আবেদন করতে পারবে। অর্থের প্রবাহ স্বাভাবিক হওয়ায় দেশের ফুটবলের উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নের পথে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এখন বাফুফের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং ফিফার দেওয়া সুযোগগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স