ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষক সঙ্কটে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা আড়ালে শক্তির জানান দিতে চায় জামায়াত নির্বাচন নিয়ে সংশয় উৎকণ্ঠায় বিএনপি পিআর পদ্ধতি খায় না মাথায় দেয়-প্রশ্ন সালাহউদ্দিনের ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৪ গুলিতে নিহতদের ময়নাতদন্ত কেন হয়নি হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল-সাবেক আইজিপি গোপালগঞ্জে গ্রেফতার আতঙ্ক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা মাদ্রাসার মোহতামিমকে অবরুদ্ধ করে কমিটিতে বিএনপি নেতার স্বাক্ষর কুষ্টিয়ায় ‘চাঁদা না পেয়ে’ হামলার অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে গাজীপুরে কাভার্ড ভ্যানচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে মা-মেয়ের মৃত্যু সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত র‌্যাবের পোশাকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ৫ জন কারাগারে যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়া বিমান দুবাই থেকে ফিরল ৩০ ঘণ্টা বিলম্বে সাঁতার জানতেন ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ, পুকুরে ডুবে মৃত্যু রহস্যজনক চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ বিএনপির ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ তিন লাখ মানুষের জন্য তিনজন চিকিৎসক গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বোরো মৌসুমে সার নিয়ে শঙ্কিত কৃষক

  • আপলোড সময় : ২৭-০২-২০২৫ ০৩:০৫:৩১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০২-২০২৫ ০৩:০৫:৩১ অপরাহ্ন
বোরো মৌসুমে সার নিয়ে শঙ্কিত কৃষক
বোরো মৌসুমে সার নিয়ে শঙ্কিত কৃষক। বেশি দামেও মিলছে না সার। এখন বোরো ধান চাষের ভরা মৌসুম। কিন্তুফসল উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সারের সংকটে দিশাহারা কৃষকরা। এরই মধ্যে সংকটের কারণে এলাকাভেদে বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সারের দাম। সামনের দিনগুলোতে সারের দাম আরো বাড়ার শঙ্কায় সারের আগাম মজুত করছে সচ্ছল কৃষকরা। তাতে নষ্ট হচ্ছে বাজারের ভারসাম্য। ফলে প্রান্তিক কৃষকরা একদমই সার পাচ্ছে না। আর সারের সংকট হলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়ার পাশাপাশি কমবে উৎপাদনও। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষক। কৃষক এবং কৃষিখাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের বিভিন্ন স্থানেই দ্বিগুণ বা তারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সার। এক বস্তা ডিএপি সারের সরকারি বিক্রয়মূল্য ১ হাজার ৫০ টাকা হলেও কোথাও কোথাও তা ২১শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারপরও কৃষকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছে না। সার কিনতে গেলে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা কৃষকরা সার সংকটের কথা বলছে। কিন্তু দাম বেশি দিলেই পাওয়া যাচ্ছে সার। ফলে অপেক্ষাকৃত অবস্থাবান কৃষকরা সার ডিলারদের কাছ থেকে বস্তাপ্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা বেশি দরে ২০ থেকে ৩০ পার্সেন্ট সার সংগ্রহ করতে পেরেছে। কিন্তু প্রান্তিক ও বর্গাচাষিরা ছিটেফোঁটা সারও কিনতে পারেনি। সূত্র জানায়, প্রয়োজনীয় সার সংগ্রহ করতে না পেরে বোরো চা নিয়ে কৃষকদের মাঝে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ কৃষকরা প্রয়োজনের ১০ ভাগের এক ভাগ সার সংগ্রহ করতেই হিমশিম খাচ্ছে। টিএসপি বাজারে নেই। ডিএপির দাম বেশি। আর দিনে সার না থাকলেও রাতে আছে। আর সারের জন্য এসে কৃষকরা ঘুরে যাচ্ছে। অথচ ইতিমধ্যে আগাম বোরো ধানের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ দিন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় সারের প্রয়োজন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সরকারি দামের চেয়ে বস্তাপ্রতি এক থেকে দেড়শ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। কোথাও কোথাও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সার ডিলাররা সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে প্রতি বস্তায় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকারও বেশি আদায় করছে। যদিও সারের ডিলার ও ব্যবসায়ীদের অজুহাত, সারের বরাদ্দ কম পাওয়ায় চাহিদা বেড়েছে। ফলে দাম কিছুটা বাড়ছে। আর কৃষকদের অভিযোগ, অনেক ডিলারের কাছে ডিএপি সার পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও যাদের কাছে আছে তারা ১ হাজার ৫০ টাকার ডিএপি সারের বস্তা প্রতি ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা নিচ্ছে। অন্যান্য সারেও অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা হচ্ছে। এদিকে কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে দেশের রাসায়নিক সার কারখানাগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়িয়ে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা জরুরি। কারণ বোরো ও রবি মৌসুমে রাসায়নিক সারের ৭০ শতাংশের বেশি ব্যবহৃত হয়। আর সময়মতো সার না পেলে খাদ্য সংকটের শঙ্কা আছে। অন্যদিকে কৃষি কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে সারের কোনো সংকট নেই। আমদানিকৃত সার সমুদ্রপথে আসতে যে সময় লাগে সেটা ছাড়া সার নিয়ে কোনো সংকট নেই। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান জানান, দেশে সারের কোনো সংকট নেই। কোথাও যানবাহনের কারণে সার পৌঁছাতে দেরি হতে পারে। আর কোথাও হয়তো কেজিতে সর্বোচ্চ ৫ টাকা পর্যন্ত সারের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স