ঢাকা , সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন ড. কুদরত এ খোদা সিরাজগঞ্জে দ্ইু নৌকার সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫ তফসিল ঘোষণায় সিইসির তড়িঘড়ি সন্দেহের কারণ- গোলাম পরওয়ার রাজউকের এস্টেট ভ‚মি ২-এর এডি আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় বেসরকারি স্বাস্থ্যখাত হবে সেবামুখী ব্যবসা -ডা. তাহের সাগরে ভেসে যাওয়া ২ বন্ধু সৈকতে ফিরলো লাশ হয়ে কক্সবাজারে নদী-পরিবেশ দূষণ করলে হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ -নৌপরিবহন উপদেষ্টা নুরের মাথায় রক্তক্ষরণসহ নাকের হাড় ভেঙেছে তিন দফা দাবিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের মহাসমাবেশ নুরের ওপর হামলার নির্দেশের অডিওটি ভুয়া- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিপি নুরুল হকের সুস্থতা কামনা করছি- মহাসচিব জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা অগ্নিসংযোগ বাতিল হওয়া এনআইডি সংশোধনের আবেদন ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দু’ রাজনৈতিক দলের সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে যা জানালো আইএসপিআর বিভিন্ন এজেন্সি থেকে জঙ্গি লিস্ট দিয়ে বলা হতো ছাড়া যাবে না- আসিফ নজরুল জমে উঠেছে ভোটের মাঠ একে একে চলে গেলেন সাতজন হাসপাতাল-ফার্মাসিউটিক্যাল সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করবে বিএনপি-আমির খসরু খাদ্য, পানি, বায়ু ও প্রকৃতি সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে-পরিবেশ উপদেষ্টা খাদ্য, পানি, বায়ু ও প্রকৃতি সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে-পরিবেশ উপদেষ্টা

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি আজ

  • আপলোড সময় : ২৫-০২-২০২৫ ০১:০৮:৫৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-০২-২০২৫ ০১:০৮:৫৫ অপরাহ্ন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি আজ
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন আজ মঙ্গলবার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছে। গতকাল সোমবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আপিল বিভাগের বুধবারের কার্যতালিকায় রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য ১৯ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে। ওইদিন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে শুনানি করবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। তাকে সহযোগিতা করবেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। গত ২৩ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চে এক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে আজহারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আর অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ সংক্রান্ত ৫ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছর জেল ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রায়ে উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল। পরে আজহারুল ইসলাম খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করা হয়। ওই আপিলের ওপর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ। আপিলের রায়ে বিচারপতিরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে আজহারের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়। পাশাপাশি ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ছয়টি। প্রথম অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ থেকে ২৭ মার্চের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাসানী (ন্যাপ) নেতা ও রংপুর শহরের বিশিষ্ট আয়কর আইনজীবী এ ওয়াই মাহফুজ আলীসহ ১১ জনকে অপহরণ করে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এরপর তাদের ৩ এপ্রিল রংপুর শহরের দখিগঞ্জ শ্মশানে নিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়। দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, আসামি একাত্তরের ১৬ এপ্রিল তার নিজ এলাকা রংপুরের বদরগঞ্জ থানার ধাপপাড়ায় ১৫ জন নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করে তাদের বাড়িতে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করেন। তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, আসামি একই বছরের ১৭ এপ্রিল নিজ এলাকা রংপুরের বদরগঞ্জের ঝাড়ুয়ারবিল এলাকায় ১২শ’র বেশি নিরীহ লোক ধরে নিয়ে হত্যা করে তাদের বাড়িতে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করেন। চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ১৭ এপ্রিল কারমাইকেল কলেজের চার জন অধ্যাপক ও একজন অধ্যাপকের স্ত্রীকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে অপহরণ করে দমদম ব্রিজের কাছে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেন। পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়, ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রংপুর শহর ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নারীদের ধরে এনে টাউন হলে আটকে রেখে ধর্ষণসহ শারীরিক নির্যাতন চালান। একইসঙ্গে নারীসহ নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালিদের অপহরণ, আটক, নির্যাতন, গুরুতর জখম ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এ আসামি। ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রংপুর শহরের গুপ্তপাড়ায় একজনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। একই বছরের ১ ডিসেম্বর রংপুর শহরের বেতপট্টি থেকে এজনকে অপহরণ করে রংপুর কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন ও গুরুতর জখম করেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ