ঢাকা , সোমবার, ০২ জুন ২০২৫ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বঞ্চনার গল্প যেন অরণ্যেরোদন চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা রাষ্ট্র সংস্কারে উপেক্ষিত নারী তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু-আইন উপদেষ্টা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রথমবারের মতো বিটিভির স্টুডিও থেকে হচ্ছে বাজেট ঘোষণা ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে নতুন বাজেট আজ দুধ শুধু পণ্য নয় এটি সংস্কৃতির অংশÑ মৎস্য উপদেষ্টা রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি পাহাড় ধসের ঝুঁকি সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু বিজিএমইএ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ‘ফোরাম’ প্যানেল বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ জাপা চেয়ারম্যানসহ ২৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা ঝিনাইদহে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত আহত ৪ কেএনএফের ইউনিফর্ম জব্দের ঘটনায় কারখানা মালিক রিমান্ডে মবের নামে নাশকতার সুযোগ নেই আরও ১১ জনকে পুশইন, মোট সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে নয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিমি. বেগে ঝড়ের আভাস সিলেট-মৌলভীবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নিরঙ্কুশ ভ্যাটের বকেয়া পরিশোধ করছে না চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

  • আপলোড সময় : ২১-০২-২০২৫ ০২:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০২-২০২৫ ০২:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন
নিরঙ্কুশ ভ্যাটের বকেয়া পরিশোধ করছে না চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিরঙ্কুশ ভ্যাটের বিপুল টাকা পরিশোধ করছে না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) ৪৬৭ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় এক যুগ ধরে জমা ওই বিপুল টাকা পরিশোধ করছে না। বিভিন্ন সেবার বিপরীতে ওই ভ্যাট আদায়ে জোর দেয়া হলেও দীর্ঘদিন ধরে তা বকেয়া রয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ওই অর্থ আদায়ে বারবার তাগাদা দিলেও তা পরিশোধ করা হয়নি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সেবা খাতের বিপরীতে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ২০১৩-১৪ অর্থবছরে খাতওয়ারি নিরীক্ষা করে অপরিশোধিত ৭৬ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকার ভ্যাট বকেয়া থাকার তথ্য উদ্ঘাটন করে। একই পদ্ধতিতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮৬ কোটি ৫৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ভ্যাট বকেয়া থাকার তথ্য উদ্ঘাটন করা হয়। চূড়ান্ত দাবি করা টাকা পরিশোধ করতে একাধিকবার তাগিদপত্রও দেয়া হলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই টাকা এখনো পরিশোধ করেনি। তাছাড়া ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (ভ্যাট গোয়েন্দা) নিরীক্ষা করে আরো ৩০৪ কোটি ৯৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার অপরিশোধিত ভ্যাটের তথ্য উদ্ঘাটন করে। তিনটি চূড়ান্ত দাবিনামার মাধ্যমে মোট ৪৬৭ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করতে অনুরোধ করা হয়।
সূত্র জানায়, বকেয়া ভ্যাটের টাকা পরিশোধ না করে ২০২১ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই টাকার দাবিনামা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করে। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে বকেয়া রাজস্ব মওকুফের আবেদন নাকচ করে তা পরিশোধের জন্য অনুরোধ করে। তারপর বিভাগীয় দপ্তর থেকে ২০২৪ সালে দ্বিতীয় নোটিস এবং সদর দপ্তর থেকে গত ১৪ মে শেষ নোটিস জারি করা হয়। বিষয়টি সুরাহা করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বানের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত ৬ সেপ্টেম্বর নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে জানান।
এদিকে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, যেসব নির্দিষ্ট সেবায় ভ্যাট প্রযোজ্য ছিলো সেসব ক্ষেত্রে বন্দর নিয়মিতই ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সব ধরনের সেবায় ভ্যাট দেয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে বন্দরের পক্ষ থেকেও যুক্তি তুলে ধরা হয়। আর সমপ্রতি এনবিআর থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি বন্দর কর্তৃপক্ষ পায়নি।
অন্যদিকে এ বিষয়ে এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নীতি) ড. মো. আব্দুর রউফ জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বকেয়া ভ্যাট নিরঙ্কুশ। অর্থাৎ ওই বকেয়া নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা ও আপিল শেষ হয়েছে। ভ্যাট আইনে নিরঙ্কুশ বকেয়া আদায়ের জন্য অনেক ব্যবস্থা আছে। বকেয়া আদায়ের জন্য প্রতি কমিশনারেটে এক বা একাধিক বকেয়া আদায় কর্মকর্তা অ্যাসাইন করা থাকে। তিনি বকেয়া আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য