ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ , ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকার সংস্কার কমিশন করলেও নদীর ক্ষেত্রে প্রতিফলন নেই-আনু মুহাম্মদ বাড্ডায় কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে নিহত ১ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল খরচেও কমানো যাচ্ছে না নানামুখী আতঙ্ক রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা সেই শিশু আছিয়া না ফেরার দেশে ধর্ষণে আতঙ্ক -উদ্বেগ ভারতকে অযাচিত বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে বলল ঢাকা প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরে যাচ্ছেন ২৬ মার্চ সালমান এফ রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা খরায় পুড়ছে চা-বাগান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা ইফতারিতে দই-চিড়ার জাদু একরাতে দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা এলাকায় আতঙ্ক স্বাভাবিক নিত্যপণ্যের বাজার, সংকট সয়াবিনে মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণ ছেঁউড়িয়ায় শুরু লালন স্মরণোৎসব দোহাজারীতে বাসচাপায় ৩ জন নিহত হেনস্তার পর ছাত্রীকে ফেলে দিলো দুর্বৃত্তরা ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ভ্যাট দেয় না বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরনের কাপড় টিভি ফ্রিজ খাট টাকা সব পুড়ে শেষ বস্তিতে আগুন

জামিনে এসে সাঁওতালদের মামলায় জড়ানোর পাঁয়তারা চেয়ারম্যানের

  • আপলোড সময় : ২০-০২-২০২৫ ১২:০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০২-২০২৫ ১২:০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
জামিনে এসে সাঁওতালদের মামলায় জড়ানোর পাঁয়তারা চেয়ারম্যানের
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে এসে সাঁওতালদের মামলায় জড়ানোর পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের রাজাবিরাট এলাকার বরট্ট (আদিবাসীপাড়া) গ্রামের সাঁওতাল নারী ফিলুমিনা হাসদাকে মারধর ও বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় তিনি গত ৮ জানুয়ারি ঢাকায় গ্রেফতার হন। এ ঘটনায় তাকে দল থেকেও বহিষ্কার করে বিএনপি।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন জানান, জমি নিয়ে বিরোধে গত ৩ জানুয়ারি সুন্দর মন্ডলের স্ত্রী ফিলুমিনা হাসদা (৫২) ও তার পরিবারের ওপর হামলা, মারধর ও অগ্নিসংযোগ করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও  ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম স¤পাদক রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় ফিলুমিনা হাসদার বড় ছেলে জুলিয়াস সরেন বাদী হয়ে চেয়ারম্যান রফিকুলসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ কারণে গত ৫ জানুয়ারি রফিকুল ইসলামকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে, মামলা হওয়ায় গা ঢাকা দেন রফিকুল ইসলাম। পরে ৮ জানুয়ারি ঢাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরের দিন আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
প্রায় এক মাস জেলে থাকার পর তিনি ৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে বেরিয়ে আসেন চেয়ারম্যান রফিকুল। জামিনে আসার পর থেকে মামলার বাদীসহ সাঁওতালদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন চেয়ারম্যান ও তার লোকজন।
ভুক্তভোগী ব্রিটিশ সরেন বলেন, জামিনে আসার পর থেকে চেয়ারম্যান স্থানীয় সাঁওতালদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি নিজের পুকুরের মাছ বিষ দিয়ে নিধনের পর  ফিলুমিনা হাসদার পরিবারের ওপর দায় চাপিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও তার লোকজন বিভিন্ন সময়ে আমাদের নিরীহ সাঁওতালদের নানা রকমের হুমকি দিচ্ছে। ফলে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করছি। সাঁওতালদের রক্ষায় প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ইউনিয়নের অভিভাবক, কারো সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ নয়। পুকুরের মাছ নিধন হওয়ায় আমি থানায় অভিযোগ করেছি, কারো নাম উল্লেখ করে মামলা করিনি। 
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পুকুরের মাছ নিধন হওয়ায় থানায় অভিযোগ করেছেন, কারো (সাঁওতালদের) নামে মামলা করেননি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য