ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি

তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্না

  • আপলোড সময় : ১৯-০২-২০২৫ ০২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০২-২০২৫ ০২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন
তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্না
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্নার শেষ নেই। কেউ শোনে না তাদের কান্না। হাজারো মানুষের কান্নায় আজ জর্জরিত তিস্তা পাড়ের দুকূল। ভোট আসে দিন বদলায়, কিন্তু তিস্তা পাড়ের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। উপজেলা থেতরাই ইউনিয়নের নগরপাড়ার বাসিন্দা বিধবা মালেকা (৬০) ও মনোয়ারা বেওয়া (৬৫) বলেন, কয়েক বছর আগেও ছিল বসত বাড়িসহ জমিজমা। কিন্তু তিস্তার আগ্রাসী ভাঙনে আজ নিঃস্ব। নেই মাথা গোজার ঠাঁই। কোনো রকমে নদীর কিনারে আশ্রিত আছি। যে কোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যাবে থাকার ঘরটি। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে গেলে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে পরিবার নিয়ে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুরে তিস্তার ভাঙনে নদী তীরবর্তী হাজারো মানুষ। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনে মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রামসহ বসতবাড়ি, আবাদি জমি ও স্থাপনা। গাছপালাসহ আধাপাকা বোরো ধানখেত। গত কয়েক বছরে হাজার হাজার বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে শত শত বিঘা আবাদি জমি, গাছপালা, পুকুর ও মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙনে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দিশেহারা হয়ে পরেছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। তিস্তা ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবি জানিয়েছে তিস্তা পারের মানুষ। একই এলাকার লালমিয়া (৬০) বলেন, কয়েক বছর আগে তিস্তা নদীর ভাঙনে আমার ঘরবাড়ি ২০ বার ভেঙেছে। অন্যখানে জায়গা নিয়ে কোনো রকম জীবনযাবন করছি। তাই এই সমাবেশে অবস্থান নিয়েছি। আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি নদীতে যেন বাঁধ দেয়। আমেনা বেওয়া (৫৫) বলেন, তিস্তা নদী আমার সব কিছু নিয়া গেছে। আবাদি জমি গেছে। ৫ লাখ টাকার গাছ নদী ভাঙনের কারণে ৮০-৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। এখন বাড়িটা ভাঙলে আমরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাবো। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, চলতি বছর অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধে ছয় কিলোমিটার পয়েন্টে ৪০ কোটি টাকার প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য