ঢাকা , শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ , ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকার সংস্কার কমিশন করলেও নদীর ক্ষেত্রে প্রতিফলন নেই-আনু মুহাম্মদ বাড্ডায় কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে নিহত ১ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল খরচেও কমানো যাচ্ছে না নানামুখী আতঙ্ক রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা সেই শিশু আছিয়া না ফেরার দেশে ধর্ষণে আতঙ্ক -উদ্বেগ ভারতকে অযাচিত বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে বলল ঢাকা প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরে যাচ্ছেন ২৬ মার্চ সালমান এফ রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা খরায় পুড়ছে চা-বাগান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা ইফতারিতে দই-চিড়ার জাদু একরাতে দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা এলাকায় আতঙ্ক স্বাভাবিক নিত্যপণ্যের বাজার, সংকট সয়াবিনে মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণ ছেঁউড়িয়ায় শুরু লালন স্মরণোৎসব দোহাজারীতে বাসচাপায় ৩ জন নিহত হেনস্তার পর ছাত্রীকে ফেলে দিলো দুর্বৃত্তরা ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ভ্যাট দেয় না বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরনের কাপড় টিভি ফ্রিজ খাট টাকা সব পুড়ে শেষ বস্তিতে আগুন

ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের ক’জন ছাত্র -মঈন খান

  • আপলোড সময় : ১৯-০২-২০২৫ ১১:০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০২-২০২৫ ১১:০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের ক’জন ছাত্র -মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে আজকে যারা প্রতিনিধিত্ব করছেন, সরকারে ৩ জন আছেন, এছাড়া বিভিন্ন কমিটিতে সমন্বয়ক রয়েছেন, নাগরিক কমিটি রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী কমিটি রয়েছে। তাদের সরাসরি প্রশ্ন করতে চাই- এই যে চারটি গ্রুপ যে রয়েছে, তাদের মধ্যে ক’জন সত্যিকারের ছাত্র রয়েছে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঢাকাস্থ মীরসরাই জাতীয়তাবাদী ফোরাম কর্তৃক ‘গণঅভ্যুত্থান, গণপ্রত্যাশা এবং রাষ্ট্র সংস্কার’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, রাজপথে যারা ছিল, যারা নিজেদের সাধারণ ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছিল, তাদের মধ্যে কি কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না অবশ্যই ছিল। যারা সত্যিকারের ছাত্র রাজপথে ছিল, তারা কি কেউ বিএনপির সদস্য ছিল না এটা বুঝতে হবে। সত্যটা হলো, তারা সেদিনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি বলে নিজেদের পরিচয় দেয়নি, তারা পরিচয় দিয়েছিল সাধারণ ছাত্র বলে। এই সত্যগুলো বুঝতে না পারলে আমরা যে সংকটে আছি, সে সংকট থেকে কিন্তু বের হতে পারবো না। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কোনও পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। যে মুহূর্তে তারা পক্ষপাতিত্বে চলে যাবেন, তখনই তাদের কার্যপদ্ধতি ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমরা শুনেছি, ছাত্ররা নাকি এই সরকারকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছে, আমরা জানি না সারা দেশের মানুষ কি তাদের দায়িত্ব দেয়নি ১৮ কোটি মানুষ কি দায়িত্ব দেয়নি তারা কি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে সেই আন্দোলনে তো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গিয়েছিল। আমরা আবু সাঈদকে দেখেছি, তোমরা গুলি করো কিন্তু আমি প্রত্যয় থেকে সরবো না। যে ছেলেটি আন্দোলনকারীদের পানি খাইয়েছে, তার কথা ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। সব কিছু ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিন্তু এই সরকার আসেনি উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, এই সরকার একটি বিশাল দায়িত্ব নিয়ে এসেছে, সেই দায়িত্বটি কী স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে বাংলাদেশকে রূপান্তর করতে হবে। এটা ছোটখাটো জিনিস নয়, আমি আনন্দিত তারা চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছে। শুধু গ্রহণ করলে হবে না দায়িত্বটি তাদের সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এটা শুধু তাদের জন্য না, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ জন্য। সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, সংস্কার এমন একটি জিনিস, যেটা একবার করে ফেললাম আর সবকিছু সুন্দর হয়ে গেলো সেটাকে বুঝায় না। কারণ সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমি আজকে যেটি সংস্কার করলাম, সেটি আগামীকাল আবার সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, মুক্ত চিন্তা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার প্রমুখ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স