প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-সিনেমায় কাজ করে নিজের অভিনয় শৈলী দেখিয়ে কুড়িয়েছেন প্রশংসাও অভিনেত্রী রুনা খান। শুধু অভিনয়েই নয়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের রূপ-লাবণ্যও ধরে রেখেছেন অভিনেত্রী। ৪০ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী প্রতিনিয়ত দর্শকদের সামনে নিজেকে নতুনভাবে মেলে ধরেন। ওয়েস্টার্ন পোশাক হোক কিংবা বাঙালি সাজ, নিজের গ্ল্যামারাস লুকে ভক্তদের মুগ্ধ করতে তার জুড়ি নেই। তবে এসব করতে গিয়ে প্রায় সময় বির্তকের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। তবে এসবে খুব একটা পাত্তা দেন না তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার তো সমালোচনা ভীষণ ভালো লাগে, উপভোগ করি। কখনোই মনে করি না, আমি একটা কাজ করছি মানে সবার ভালো লাগবে। যাদের খুব ভালো লাগবে তারা প্রশংসা করবে, যাদের লাগবে না তারা সমালোচনা করবে; সমালোচনা থেকে কাজটা ভালো করবে।’এছাড়া নিজের বয়স নিয়েও সর্বদাই অকপট রুনা খান। অভিনেত্রী মনে করেন, বয়স লুকানো যায় না, লুকানোর বিষয়ও না। বয়স উদযাপন করার বিষয়। তবে বাড়তি বয়স নিয়ে অন্যান্য তারকাদের সঙ্গেও তুলনা করা হয় রুনাকে। বিশেষ করে, পঞ্চাশের অভিনেত্রী জয়া আহসানের সঙ্গে তুলনা করা হয় তাকে। আর এ বিষয়টিকে ‘বোকা চর্চা’ বলে মনে করেন রুনা খান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রুনা খানকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি এর আগেও একবার বলেছি, জয়া আপা আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচাইতে অর্জন সমৃদ্ধ, নিবেদিত প্রাণ একজন অভিনয়শিল্পী। আমি মনে করি, একজন শিল্পীর সঙ্গে ‘তুলনা’ জিনিসটাই সুন্দর ব্যাপার না।’ হোক জয়া আহসান কিংবা রুনা খান, চল্লিশ পেরিয়েও এখনও আবেদনময়ী এই তারকারা। এ নিয়ে অবশ্য সমালোচনাও হয়েছে বিস্তর! তবে কোনটা কোন ধরনের সমালোচনা, সেটিও বিশ্লেষণ করলেন রুনা। বলেন, ‘জয়া আপা, আমি- আমরা তো আর কচি খুকি নই, মানে আমরা তো ১২-১৪ বছরের খুকি নই! আমাদেরও তো বয়স হয়েছে, অভিজ্ঞতা হয়েছে। যেটা গঠনমূলক সমালোচনা, সেটা খুব দারুণ ব্যাপার। আমি যেটাকে ভীষণভাবে স্বাগত জানাই। আর যেটা পরশ্রীকাতরতা থেকে সমালোচনা, অ্যাটেনশন পাওয়া থেকে সমালোচনা, সেগুলোও আমরা...বললামই, আমরা তো আর কচি খুকি নই।’
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

সমালোচনা উপভোগ করেন রুনা খান
- আপলোড সময় : ১৮-০২-২০২৫ ০৭:৫৩:১০ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৮-০২-২০২৫ ০৭:৫৩:১০ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ