ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিব জনগণের সমস্যা সমাধানে রাজনীতিবিদদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে-তথ্য উপদেষ্টা সর্বনিম্ন ফিতরা ১১০ সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা চলতি বছরের মধ্যে পাচারকৃত অর্থের কিছু অংশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব-অর্থ উপদেষ্টা পদযাত্রায় সংঘর্ষে শিক্ষার্থী-পুলিশ আহত ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে করাসহ ৬ দাবি ঈদের পর এনসিপির চূড়ান্ত রাজনৈতিক এজেন্ডা শ্রমিকদের ওপর হামলার বিচার ও বেতনের দাবি ঝিমিয়ে পড়েছে বিদেশী বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুত অর্থছাড় প্রক্রিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং ক্লাস-প্রাইভেট পড়ানো যাবে না ন্যায়বিচার-মানবাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান চার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রবাসীদের জন্য ‘প্রক্সি ভোট’ নিয়ে ভাবছে ইসি শেখ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ট্রেনের যাত্রী জিম্মি উদ্ধারে গিয়ে ২০ সেনা নিহত ট্রেনে জঙ্গি হামলা জিম্মি ৫শ’ যাত্রী পল্লবী থানায় ঢুকে হামলা ওসিসহ আহত ৩ রাখাল রাহার ৪শ’ কোটি টাকা বাণিজ্যের তথ্য ভুয়া ব্যবসায়ী হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন ডিএফপি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি

সরকারের দ্বিতীয় পর্বেও সংঘাতের আশঙ্কা ড. ইউনূসের

  • আপলোড সময় : ১৬-০২-২০২৫ ০২:৪১:৩৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০২-২০২৫ ০২:৪১:৩৫ অপরাহ্ন
সরকারের দ্বিতীয় পর্বেও সংঘাতের আশঙ্কা ড. ইউনূসের
* জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সংলাপের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু * গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান না জানানোর আহ্বান * অপপ্রচার চালাতে ট্রাম্পের কাছে গিয়েও সুবিধা করতে পারেনি বিরোধীরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় পর্বেও সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে সার্থক করতে ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই মিলে সবরকম চেষ্টা করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিজ্ঞা করি আমরা যেন গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান না জানাই। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘যাদের (ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার) বাংলাদেশের মানুষ তাড়িয়ে দিয়েছে, অস্বীকার করেছে, ত্যাগ করেছে তারা ফিরে আসার জন্য অত্যন্ত ব্যাকুল। প্রতিটি দিন তাদের জন্য মূল্যবান দিন। দেরি হলে তাদের জন্য অসুবিধা। সেজন্য আমাদের শক্ত থাকতে হবে মজবুত থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে মতভেদ থাকবে, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে আমরা একত্রে নই। তিনি বলেন, গত ছয় মাস ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। একটি লন্ডভন্ড অবস্থায় দেশের দায়িত্ব নিয়েছি। চেষ্টা করছি কোনোরকমে সচল করার জন্য। কিন্তু এ ছয় মাসের যে অভিজ্ঞতা সেটা আমাদের সবাইকে প্রচ- সাহস দেবে। এ ছয় মাসের অভিজ্ঞতা হলো আমাদের দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও নেতৃত্বসহ সবাই যে সমর্থন দিয়েছে তা বড় আকারে লেখা থাকবে যে আমরা একত্রিত হতে পারি। আমাদের মধ্যে অনেক তর্ক-বিতর্ক থাকবে, দূরত্ব সৃষ্টি করার হয়তো প্রবণতা আছে। কিন্তু এ একটি জায়গায় আমরা এক আছি ও থাকবো, সে বিশ্বাস আমার আছে। তিনি বলেন, এটা যদি ঠিক থাকে, যেভাবে আমরা প্রথম অধ্যায় শেষ করলাম, দ্বিতীয় অধ্যায়ে যদি আমরা ঠিক থাকতে পারি তাহলে তৃতীয় অধ্যায়ের জন্য আমাদের কোনো চিন্তা নেই, নিশ্চয়ই আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারবো। এ একটা জিনিস আমাদের পরিস্কার থাকতে হবে। এটা একটা মস্ত বড় শক্তি। প্রথম অধ্যায় যেভাবে কাটালাম এবং এ কাটানোর মধ্যে যেসব শক্তি আমাদের ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে, তাদের সুন্দরভাবে সবাই মিলে মোকাবিলা করতে পেরেছি।’ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মহল বর্তমান সরকারকে শুধু সমর্থন নয়, সমর্থনকে কাজে লাগানোর জন্য সর্বাত্মক সহায়তা করছে। আমরা ব্যর্থ হতে চাই না। সমাজে নানাজন নানা মত তো থাকবেই। সংস্কার কমিশন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে সুপারিশমালা তৈরি করেছে। এটি মূল্যবান সম্পদ। এ সম্পদ বাংলাদেশের ইতিহাসে রক্ষিত থাকবে। তাদের সুপারিশ বাস্তবায়নে সবাই মিলে মতামত ও দিকনির্দেশনা দেবেন। এটা কারও একার বাংলাদেশ না সবার বাংলাদেশ। প্রয়োজনে আপনারা নিজেরা আলোচনা করুন। সবাই মিলে নীতিমালা ও আইন-কানুন একবার করে দিলে তা বছরের পর বছর চলতে থাকবে।’ তিনি বলেন, প্রতিজ্ঞা করি আমরা যেন গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান না জানাই। যে কারণে তারা আত্মত্যাগ করেছিল সেটা যেন পরবর্তী সব প্রজন্ম মনে রাখে, তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, তাদের আত্মত্যাগকে সার্থক করার জন্য আমরা সবাই মিলে সবরকম চেষ্টা করবো, তাদের সে স্বপ্ন যেন বাস্তবায়ন করতে পারি। প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, তারা এ ত্যাগ না করলে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকলেও জবাব খোঁজার আমাদের কোনো সুযোগ থাকতো না। প্রশ্ন আমাদের মনে যতটুকু ছিল, বহু বছর ধরে ছিল, সুযোগ পাইনি। অসংখ্য ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা সে সুযোগ পেয়েছি। আমরা কোনোভাবেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত হতে দেবো না। জুলাইয়ের যোদ্ধারা ত্যাগ শিকার না করলে অনেকের মনে, সুযোগ পাইনি। তিনি বলেন, গতকাল শনিবার আমরা প্রতিজ্ঞা করি, আমরা যেন গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান না জানাই। যে কারণে তারা আত্মত্যাগ করেছিল, সেটা যেন পরবর্তী সব প্রজন্ম মনে রাখে। তাদের আত্মত্যাগ সার্থক করতে, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা সবাই মিলে সবরকম চেষ্টা করবো। তিনি জানান, নতুন বাংলাদেশ গড়তে আইনের পরিবর্তন দরকার। আর তা হবে ঐক্যের ভিত্তিতে। কারোর ওপর চাপিয়ে দেয়া হবে না। পরিবর্তন করবে রাজনৈতিক দলগুলো। সরকার সাচিবিক সহযোগিতা দেবে। শুধু বাংলাদেশের জনগণই নয় সারা পৃথিবীর মানুষ আমাদের সমর্থন দিচ্ছে তাই বিরোধীপক্ষ সুবিধা করতে পারছে না। এত সমর্থনের পরও নতুন বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে এটা ভাগ্যের ব্যর্থতা হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স